সুরাইয়া বিনতে হাসান
ঢাকা দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল মহানগরগুলোর একটি। কিন্তু এই শহরের দ্রুত বৃদ্ধি যেমন সুযোগ এনেছে, তেমনি এনেছে ভয়াবহ চ্যালেঞ্জ তার মধ্যে সবচেয়ে বড় একটি হলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। উন্নয়নের ঝলকানির আড়ালে ঢাকা আজ হোঁচট খাচ্ছে একটি পুরনো সমস্যায় ,অকার্যকর ড্রেনেজ সিস্টেমে।
বর্ষাকাল এলেই ঢাকার চিত্র বদলে যায়। কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই শহরের রাস্তাঘাট, গলি, এমনকি প্রধান সড়ক পর্যন্ত ডুবে যায় হাঁটু–কিংবা কোমরসমান পানিতে।কারণ স্পষ্ট শহরের অধিকাংশ ড্রেনেজ সিস্টেম পুরোনো, অপরিকল্পিত ও রক্ষণাবেক্ষণহীন। ঢাকা ওয়াসা ও দুই সিটি করপোরেশন মিলে প্রায় ২,৫০০ কিলোমিটার ড্রেন নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে। কিন্তু এই ড্রেনগুলোর প্রায় ৪০ শতাংশই নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। অনেক জায়গায় ড্রেন ভরাট হয়ে গেছে আবর্জনা, পলিথিন ও ময়লায়।ঢাকার প্রাকৃতিক জলাধার, খাল ও নালা একসময় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পথ ছিল, কিন্তু এখন অধিকাংশই দখল বা ভরাট হয়ে গেছে। ফলে পানি বের হতে না পেরে শহরের রাস্তায় জমে থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা। ঢাকা শহরে প্রতিদিন প্রায় ৭,৫০০ থেকে ৮,০০০ টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে প্রায় ৬৫–৭০ শতাংশ বর্জ্য দুই সিটি করপোরেশন (উত্তর ও দক্ষিণ) বিভিন্নভাবে সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা করে। বাকি বর্জ্য পড়ে থাকে খাল, নালা, রাস্তার পাশে বা উন্মুক্ত স্থানে, যা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ হুমকি সৃষ্টি করে।
ঢাকার ড্রেনেজ সমস্যা কোনো একদিনে তৈরি হয়নি, আবার একদিনে এর সমাধানও সম্ভব নয়। তবে সমন্বিত উদ্যোগ, নাগরিক সচেতনতা ও দূরদর্শী পরিকল্পনা থাকলে এই শহর আবারও শ্বাস নিতে পারবে। উন্নয়নের আলো তখনই টেকসই হবে, যখন ঢাকার রাস্তায় নয় ড্রেনে পানি স্বাভাবিকভাবে চলবে।এখনই সময় দায়িত্ব নেওয়ার সরকার, প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে, যেন ঢাকা সত্যিই “জলাবদ্ধতার শহর” নয়, “সমাধানের শহর” হয়ে উঠতে পারে।
সুরাইয়া বিনতে হাসান
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
ঢাকা দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল মহানগরগুলোর একটি। কিন্তু এই শহরের দ্রুত বৃদ্ধি যেমন সুযোগ এনেছে, তেমনি এনেছে ভয়াবহ চ্যালেঞ্জ তার মধ্যে সবচেয়ে বড় একটি হলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। উন্নয়নের ঝলকানির আড়ালে ঢাকা আজ হোঁচট খাচ্ছে একটি পুরনো সমস্যায় ,অকার্যকর ড্রেনেজ সিস্টেমে।
বর্ষাকাল এলেই ঢাকার চিত্র বদলে যায়। কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই শহরের রাস্তাঘাট, গলি, এমনকি প্রধান সড়ক পর্যন্ত ডুবে যায় হাঁটু–কিংবা কোমরসমান পানিতে।কারণ স্পষ্ট শহরের অধিকাংশ ড্রেনেজ সিস্টেম পুরোনো, অপরিকল্পিত ও রক্ষণাবেক্ষণহীন। ঢাকা ওয়াসা ও দুই সিটি করপোরেশন মিলে প্রায় ২,৫০০ কিলোমিটার ড্রেন নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে। কিন্তু এই ড্রেনগুলোর প্রায় ৪০ শতাংশই নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। অনেক জায়গায় ড্রেন ভরাট হয়ে গেছে আবর্জনা, পলিথিন ও ময়লায়।ঢাকার প্রাকৃতিক জলাধার, খাল ও নালা একসময় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পথ ছিল, কিন্তু এখন অধিকাংশই দখল বা ভরাট হয়ে গেছে। ফলে পানি বের হতে না পেরে শহরের রাস্তায় জমে থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা। ঢাকা শহরে প্রতিদিন প্রায় ৭,৫০০ থেকে ৮,০০০ টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে প্রায় ৬৫–৭০ শতাংশ বর্জ্য দুই সিটি করপোরেশন (উত্তর ও দক্ষিণ) বিভিন্নভাবে সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা করে। বাকি বর্জ্য পড়ে থাকে খাল, নালা, রাস্তার পাশে বা উন্মুক্ত স্থানে, যা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ হুমকি সৃষ্টি করে।
ঢাকার ড্রেনেজ সমস্যা কোনো একদিনে তৈরি হয়নি, আবার একদিনে এর সমাধানও সম্ভব নয়। তবে সমন্বিত উদ্যোগ, নাগরিক সচেতনতা ও দূরদর্শী পরিকল্পনা থাকলে এই শহর আবারও শ্বাস নিতে পারবে। উন্নয়নের আলো তখনই টেকসই হবে, যখন ঢাকার রাস্তায় নয় ড্রেনে পানি স্বাভাবিকভাবে চলবে।এখনই সময় দায়িত্ব নেওয়ার সরকার, প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে, যেন ঢাকা সত্যিই “জলাবদ্ধতার শহর” নয়, “সমাধানের শহর” হয়ে উঠতে পারে।