alt

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

বর্জ্য অব্যবস্থাপনায় হুমকির মুখে নগরের ভবিষ্যত

সুরাইয়া বিনতে হাসান

: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

ঢাকা দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল মহানগরগুলোর একটি। কিন্তু এই শহরের দ্রুত বৃদ্ধি যেমন সুযোগ এনেছে, তেমনি এনেছে ভয়াবহ চ্যালেঞ্জ তার মধ্যে সবচেয়ে বড় একটি হলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। উন্নয়নের ঝলকানির আড়ালে ঢাকা আজ হোঁচট খাচ্ছে একটি পুরনো সমস্যায় ,অকার্যকর ড্রেনেজ সিস্টেমে।

বর্ষাকাল এলেই ঢাকার চিত্র বদলে যায়। কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই শহরের রাস্তাঘাট, গলি, এমনকি প্রধান সড়ক পর্যন্ত ডুবে যায় হাঁটু–কিংবা কোমরসমান পানিতে।কারণ স্পষ্ট শহরের অধিকাংশ ড্রেনেজ সিস্টেম পুরোনো, অপরিকল্পিত ও রক্ষণাবেক্ষণহীন। ঢাকা ওয়াসা ও দুই সিটি করপোরেশন মিলে প্রায় ২,৫০০ কিলোমিটার ড্রেন নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে। কিন্তু এই ড্রেনগুলোর প্রায় ৪০ শতাংশই নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। অনেক জায়গায় ড্রেন ভরাট হয়ে গেছে আবর্জনা, পলিথিন ও ময়লায়।ঢাকার প্রাকৃতিক জলাধার, খাল ও নালা একসময় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পথ ছিল, কিন্তু এখন অধিকাংশই দখল বা ভরাট হয়ে গেছে। ফলে পানি বের হতে না পেরে শহরের রাস্তায় জমে থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা। ঢাকা শহরে প্রতিদিন প্রায় ৭,৫০০ থেকে ৮,০০০ টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে প্রায় ৬৫–৭০ শতাংশ বর্জ্য দুই সিটি করপোরেশন (উত্তর ও দক্ষিণ) বিভিন্নভাবে সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা করে। বাকি বর্জ্য পড়ে থাকে খাল, নালা, রাস্তার পাশে বা উন্মুক্ত স্থানে, যা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ হুমকি সৃষ্টি করে।

ঢাকার ড্রেনেজ সমস্যা কোনো একদিনে তৈরি হয়নি, আবার একদিনে এর সমাধানও সম্ভব নয়। তবে সমন্বিত উদ্যোগ, নাগরিক সচেতনতা ও দূরদর্শী পরিকল্পনা থাকলে এই শহর আবারও শ্বাস নিতে পারবে। উন্নয়নের আলো তখনই টেকসই হবে, যখন ঢাকার রাস্তায় নয় ড্রেনে পানি স্বাভাবিকভাবে চলবে।এখনই সময় দায়িত্ব নেওয়ার সরকার, প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে, যেন ঢাকা সত্যিই “জলাবদ্ধতার শহর” নয়, “সমাধানের শহর” হয়ে উঠতে পারে।

নির্বাচনী মাঠে জামায়াতী হেকমত

শিক্ষা ব্যবস্থায় গভীর বৈষম্য ও জাতির অগ্রযাত্রাধ

উপমহাদেশে সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন, বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্জ

এইচএসসি ফল: সংখ্যার খেল না কি শিক্ষার বাস্তব চিত্র?

বিনা ভোট, নিশি ভোট, ডামি ভোটের পরে এবার নাকি গণভোট!

কমরেড ইলা মিত্রের শততম জন্মজয়ন্তী

কত মৃত্যু হলে জাগবে বিবেক?

বৈষম্যের বিবিধ মুখ

মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় জরুরি আইনি সহায়তা

গাজা : এখন শান্তি রক্ষা করবে কে?

দোসর, বাই ডিফল্ট!

জমি কেনা দাগে দাগে কিন্তু ভোগদখল একদাগে

রাষ্ট্র কি শুধু শিক্ষকদের বেলায় এসে দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে?

শতরঞ্জ কি খিলাড়ী

শিক্ষক থাকে রাজপথে, আর পুলিশ ছাড়ে থানা

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা : স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবিষ্যৎ কী?

ছবি

শ্লীলতা, অশ্লীলতার রাজনৈতিক সংস্কৃতি

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: অবক্ষয়ের চোরাবালিতে আলোর দিশারী

অটোমেশন ও দেশের যুব কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ

দুর্যোগে ভয় নয়, প্রস্তুতিই শক্তি

বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন

ছবি

‘আল্লাহ তুই দেহিস’: এ কোন ঘৃণার আগুন, ছড়িয়ে গেল সবখানে!

চেকের মামলায় আসামী যেসব ডিফেন্স নিয়ে খালাস পেতে পারেন

খেলনাশিল্প: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

ছবি

প্রান্তিক মানুষের হৃদয়ে ফিরে আসা কালো মেঘ

গীর্জায় হামলার নেপথ্যে কী?

সংঘের শতবর্ষের রাজনৈতিক তাৎপর্য

দুর্নীতি আর চাঁদাবাজি রাজনৈতিক-সংস্কৃতির অংশ

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস

বাংলার সংস্কৃতি : উৎস, বিবর্তন ও বর্তমান সমাজ-মনন

রম্যগদ্য: শিক্ষা সহজ, বিদ্যা কঠিন

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় জনগণের ভূমিকা উপেক্ষিত

শ্রমজীবী মানুষের শোভন কর্মসংস্থান

মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের বাস্তবতা

প্রবারণার আলোয় আলোকিত হোক মানবজাতি

অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে ওয়াশিংটনের শেষ সুযোগ?

tab

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

বর্জ্য অব্যবস্থাপনায় হুমকির মুখে নগরের ভবিষ্যত

সুরাইয়া বিনতে হাসান

মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

ঢাকা দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল মহানগরগুলোর একটি। কিন্তু এই শহরের দ্রুত বৃদ্ধি যেমন সুযোগ এনেছে, তেমনি এনেছে ভয়াবহ চ্যালেঞ্জ তার মধ্যে সবচেয়ে বড় একটি হলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। উন্নয়নের ঝলকানির আড়ালে ঢাকা আজ হোঁচট খাচ্ছে একটি পুরনো সমস্যায় ,অকার্যকর ড্রেনেজ সিস্টেমে।

বর্ষাকাল এলেই ঢাকার চিত্র বদলে যায়। কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই শহরের রাস্তাঘাট, গলি, এমনকি প্রধান সড়ক পর্যন্ত ডুবে যায় হাঁটু–কিংবা কোমরসমান পানিতে।কারণ স্পষ্ট শহরের অধিকাংশ ড্রেনেজ সিস্টেম পুরোনো, অপরিকল্পিত ও রক্ষণাবেক্ষণহীন। ঢাকা ওয়াসা ও দুই সিটি করপোরেশন মিলে প্রায় ২,৫০০ কিলোমিটার ড্রেন নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে। কিন্তু এই ড্রেনগুলোর প্রায় ৪০ শতাংশই নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। অনেক জায়গায় ড্রেন ভরাট হয়ে গেছে আবর্জনা, পলিথিন ও ময়লায়।ঢাকার প্রাকৃতিক জলাধার, খাল ও নালা একসময় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পথ ছিল, কিন্তু এখন অধিকাংশই দখল বা ভরাট হয়ে গেছে। ফলে পানি বের হতে না পেরে শহরের রাস্তায় জমে থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা। ঢাকা শহরে প্রতিদিন প্রায় ৭,৫০০ থেকে ৮,০০০ টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে প্রায় ৬৫–৭০ শতাংশ বর্জ্য দুই সিটি করপোরেশন (উত্তর ও দক্ষিণ) বিভিন্নভাবে সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা করে। বাকি বর্জ্য পড়ে থাকে খাল, নালা, রাস্তার পাশে বা উন্মুক্ত স্থানে, যা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ হুমকি সৃষ্টি করে।

ঢাকার ড্রেনেজ সমস্যা কোনো একদিনে তৈরি হয়নি, আবার একদিনে এর সমাধানও সম্ভব নয়। তবে সমন্বিত উদ্যোগ, নাগরিক সচেতনতা ও দূরদর্শী পরিকল্পনা থাকলে এই শহর আবারও শ্বাস নিতে পারবে। উন্নয়নের আলো তখনই টেকসই হবে, যখন ঢাকার রাস্তায় নয় ড্রেনে পানি স্বাভাবিকভাবে চলবে।এখনই সময় দায়িত্ব নেওয়ার সরকার, প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে, যেন ঢাকা সত্যিই “জলাবদ্ধতার শহর” নয়, “সমাধানের শহর” হয়ে উঠতে পারে।

back to top