alt

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

র‌্যাগিং: শিক্ষাঙ্গনের ছায়ায় বেড়ে ওঠা এক অমানবিকতার সংস্কৃতি

আরিফুল ইসলাম রাফি

: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

র‌্যাগিং এখন আর কৌতুক বা ‘ভাইদের সাথে পরিচয়ের অনুষ্ঠান’ নয়; এটি এক গভীর সামাজিক রোগে পরিণত হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক ও শিক্ষাগত পরিবেশকে ধ্বংস করছে নীরবে কিন্তু নিশ্চিতভাবে।

র‌্যাগিংয়ের সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক হলো এর বহুমাত্রিকতা। এটি কেবল ঠাট্টা বা অল্প কিছু নির্দেশ নয় বরং মানসিক সন্ত্রাসের এক চক্র। নবীন শিক্ষার্থীদের দিয়ে করানো হয় অশালীন কাজ, বাধ্য করা হয় অপমানজনক বক্তব্য দিতে, অনেক সময় রাতভর দাঁড়িয়ে থাকতে বা নির্দিষ্ট পোশাক পরতে। কোথাও কোথাও সিনিয়ররা নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য নবীনদের ‘শিক্ষা’ দিতে গিয়ে শারীরিক নির্যাতনের আশ্রয় নেন।

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তি হলো তার মুক্ত চিন্তার পরিবেশ। কিন্তু র‌্যাগিং সেই স্বাধীন চিন্তাকে ভয় দিয়ে দমন করে। নবীন শিক্ষার্থীরা যখন নিজেরাই ভয়ে নিস্তব্ধ হয়ে যায়, তখন তারা আর প্রশ্ন করতে শেখে না, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেও ভয় পায়। ফলাফল- একটি পুরো প্রজন্ম নীরবতার শিক্ষা নিয়ে বেড়ে ওঠে, যারা হয়তো একদিন সমাজেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলবে না।

র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা যেমন জরুরি, তেমনি প্রয়োজন ভুক্তভোগীদের মানসিক পুনর্বাসন। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন করা যেতে পারে ‘কাউন্সিলিং সেন্টার, যেখানে শিক্ষার্থীরা গোপনে সাহায্য নিতে পারবেন। একইসঙ্গে তৈরি করা যেতে পারে ‘অ্যান্টি র‌্যাগিং সেল’, যেখানে থাকবে শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব।

নির্বাচনী মাঠে জামায়াতী হেকমত

শিক্ষা ব্যবস্থায় গভীর বৈষম্য ও জাতির অগ্রযাত্রাধ

উপমহাদেশে সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন, বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্জ

এইচএসসি ফল: সংখ্যার খেল না কি শিক্ষার বাস্তব চিত্র?

বিনা ভোট, নিশি ভোট, ডামি ভোটের পরে এবার নাকি গণভোট!

কমরেড ইলা মিত্রের শততম জন্মজয়ন্তী

কত মৃত্যু হলে জাগবে বিবেক?

বৈষম্যের বিবিধ মুখ

মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় জরুরি আইনি সহায়তা

গাজা : এখন শান্তি রক্ষা করবে কে?

দোসর, বাই ডিফল্ট!

জমি কেনা দাগে দাগে কিন্তু ভোগদখল একদাগে

রাষ্ট্র কি শুধু শিক্ষকদের বেলায় এসে দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে?

শতরঞ্জ কি খিলাড়ী

শিক্ষক থাকে রাজপথে, আর পুলিশ ছাড়ে থানা

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা : স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবিষ্যৎ কী?

ছবি

শ্লীলতা, অশ্লীলতার রাজনৈতিক সংস্কৃতি

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: অবক্ষয়ের চোরাবালিতে আলোর দিশারী

অটোমেশন ও দেশের যুব কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ

দুর্যোগে ভয় নয়, প্রস্তুতিই শক্তি

বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন

ছবি

‘আল্লাহ তুই দেহিস’: এ কোন ঘৃণার আগুন, ছড়িয়ে গেল সবখানে!

চেকের মামলায় আসামী যেসব ডিফেন্স নিয়ে খালাস পেতে পারেন

খেলনাশিল্প: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

ছবি

প্রান্তিক মানুষের হৃদয়ে ফিরে আসা কালো মেঘ

গীর্জায় হামলার নেপথ্যে কী?

সংঘের শতবর্ষের রাজনৈতিক তাৎপর্য

দুর্নীতি আর চাঁদাবাজি রাজনৈতিক-সংস্কৃতির অংশ

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস

বাংলার সংস্কৃতি : উৎস, বিবর্তন ও বর্তমান সমাজ-মনন

রম্যগদ্য: শিক্ষা সহজ, বিদ্যা কঠিন

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় জনগণের ভূমিকা উপেক্ষিত

শ্রমজীবী মানুষের শোভন কর্মসংস্থান

মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের বাস্তবতা

প্রবারণার আলোয় আলোকিত হোক মানবজাতি

অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে ওয়াশিংটনের শেষ সুযোগ?

tab

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

র‌্যাগিং: শিক্ষাঙ্গনের ছায়ায় বেড়ে ওঠা এক অমানবিকতার সংস্কৃতি

আরিফুল ইসলাম রাফি

মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

র‌্যাগিং এখন আর কৌতুক বা ‘ভাইদের সাথে পরিচয়ের অনুষ্ঠান’ নয়; এটি এক গভীর সামাজিক রোগে পরিণত হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক ও শিক্ষাগত পরিবেশকে ধ্বংস করছে নীরবে কিন্তু নিশ্চিতভাবে।

র‌্যাগিংয়ের সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক হলো এর বহুমাত্রিকতা। এটি কেবল ঠাট্টা বা অল্প কিছু নির্দেশ নয় বরং মানসিক সন্ত্রাসের এক চক্র। নবীন শিক্ষার্থীদের দিয়ে করানো হয় অশালীন কাজ, বাধ্য করা হয় অপমানজনক বক্তব্য দিতে, অনেক সময় রাতভর দাঁড়িয়ে থাকতে বা নির্দিষ্ট পোশাক পরতে। কোথাও কোথাও সিনিয়ররা নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য নবীনদের ‘শিক্ষা’ দিতে গিয়ে শারীরিক নির্যাতনের আশ্রয় নেন।

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তি হলো তার মুক্ত চিন্তার পরিবেশ। কিন্তু র‌্যাগিং সেই স্বাধীন চিন্তাকে ভয় দিয়ে দমন করে। নবীন শিক্ষার্থীরা যখন নিজেরাই ভয়ে নিস্তব্ধ হয়ে যায়, তখন তারা আর প্রশ্ন করতে শেখে না, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেও ভয় পায়। ফলাফল- একটি পুরো প্রজন্ম নীরবতার শিক্ষা নিয়ে বেড়ে ওঠে, যারা হয়তো একদিন সমাজেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলবে না।

র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা যেমন জরুরি, তেমনি প্রয়োজন ভুক্তভোগীদের মানসিক পুনর্বাসন। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন করা যেতে পারে ‘কাউন্সিলিং সেন্টার, যেখানে শিক্ষার্থীরা গোপনে সাহায্য নিতে পারবেন। একইসঙ্গে তৈরি করা যেতে পারে ‘অ্যান্টি র‌্যাগিং সেল’, যেখানে থাকবে শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব।

back to top