alt

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

প্রাণীর প্রতি সহমর্মিতা

নেছার আহমেদ

: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

মানুষ ও প্রাণী একই পৃথিবীর বাসিন্দা। প্রাণী পৃথিবীর পরিবেশের একটি অপরিহার্য অংশ। মানুষ, প্রাণী ও প্রকৃতি একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। প্রাণী ছাড়া মানব সভ্যতার বিকাশ সম্ভব নয়। তারা শুধু প্রকৃতির শোভাই নয়, জীববৈচিত্র্যরেও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। খাদ্য, শ্রম, পরিবহন, বিনোদন কিংবা পরিবেশের ভারসাম্য-সব ক্ষেত্রেই প্রাণীরা অপরিহার্য ভূমিকা রাখে। তাই প্রতিটি প্রাণীর প্রতি সহমর্মিতা দেখানো, তাদের বাঁচিয়ে রাখা এবং প্রাকৃতিক আবাসস্থল রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সচেতন মানুষই পারে প্রাণী সংরক্ষণ ও তাদের প্রতি মানবিক আচরণ নিশ্চিত করতে।

প্রাণীদের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণই পারে মানবিক সমাজ ও ভারসাম্যপূর্ণ পৃথিবী গঠনে সহায়তা করতে। তাই প্রাণী কল্যাণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এখন সময়ের দাবি। প্রাণীদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে; শখের বসে বা বিনোদনের জন্য কোনো জীবকে কষ্ট দেওয়া একেবারেই অমানবিক। বন্যপ্রাণীর প্রাকৃতিক আবাসস্থল রক্ষা করতে হবে, নির্বিচারে বনভূমি ধ্বংস বন্ধ করতে হবে, অবৈধ শিকার ও প্রাণী পাচার প্রতিরোধে নিতে হবে কঠোর ব্যবস্থা।

এছাড়া স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের প্রাণীর প্রতি দয়া, মমতা ও ভালোবাসার শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রাণী সংরক্ষণ ও মানবিক আচরণবিষয়ক প্রচারণা চালানো জরুরি। রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও প্রাণী সংরক্ষণ আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা-প্রাণীরাও আমাদের মতোই জীব, তাদেরও বেঁচে থাকার অধিকার আছে। মানুষ যদি প্রাণীর প্রতি সহানুভূতিশীল হয়, তাহলে পৃথিবী আরও সুন্দর ও বাসযোগ্য হয়ে উঠবে।

নির্বাচনী মাঠে জামায়াতী হেকমত

শিক্ষা ব্যবস্থায় গভীর বৈষম্য ও জাতির অগ্রযাত্রাধ

উপমহাদেশে সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন, বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্জ

এইচএসসি ফল: সংখ্যার খেল না কি শিক্ষার বাস্তব চিত্র?

বিনা ভোট, নিশি ভোট, ডামি ভোটের পরে এবার নাকি গণভোট!

কমরেড ইলা মিত্রের শততম জন্মজয়ন্তী

কত মৃত্যু হলে জাগবে বিবেক?

বৈষম্যের বিবিধ মুখ

মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় জরুরি আইনি সহায়তা

গাজা : এখন শান্তি রক্ষা করবে কে?

দোসর, বাই ডিফল্ট!

জমি কেনা দাগে দাগে কিন্তু ভোগদখল একদাগে

রাষ্ট্র কি শুধু শিক্ষকদের বেলায় এসে দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে?

শতরঞ্জ কি খিলাড়ী

শিক্ষক থাকে রাজপথে, আর পুলিশ ছাড়ে থানা

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা : স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবিষ্যৎ কী?

ছবি

শ্লীলতা, অশ্লীলতার রাজনৈতিক সংস্কৃতি

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: অবক্ষয়ের চোরাবালিতে আলোর দিশারী

অটোমেশন ও দেশের যুব কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ

দুর্যোগে ভয় নয়, প্রস্তুতিই শক্তি

বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন

ছবি

‘আল্লাহ তুই দেহিস’: এ কোন ঘৃণার আগুন, ছড়িয়ে গেল সবখানে!

চেকের মামলায় আসামী যেসব ডিফেন্স নিয়ে খালাস পেতে পারেন

খেলনাশিল্প: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

ছবি

প্রান্তিক মানুষের হৃদয়ে ফিরে আসা কালো মেঘ

গীর্জায় হামলার নেপথ্যে কী?

সংঘের শতবর্ষের রাজনৈতিক তাৎপর্য

দুর্নীতি আর চাঁদাবাজি রাজনৈতিক-সংস্কৃতির অংশ

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস

বাংলার সংস্কৃতি : উৎস, বিবর্তন ও বর্তমান সমাজ-মনন

রম্যগদ্য: শিক্ষা সহজ, বিদ্যা কঠিন

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় জনগণের ভূমিকা উপেক্ষিত

শ্রমজীবী মানুষের শোভন কর্মসংস্থান

মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের বাস্তবতা

প্রবারণার আলোয় আলোকিত হোক মানবজাতি

অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে ওয়াশিংটনের শেষ সুযোগ?

tab

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

প্রাণীর প্রতি সহমর্মিতা

নেছার আহমেদ

মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

মানুষ ও প্রাণী একই পৃথিবীর বাসিন্দা। প্রাণী পৃথিবীর পরিবেশের একটি অপরিহার্য অংশ। মানুষ, প্রাণী ও প্রকৃতি একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। প্রাণী ছাড়া মানব সভ্যতার বিকাশ সম্ভব নয়। তারা শুধু প্রকৃতির শোভাই নয়, জীববৈচিত্র্যরেও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। খাদ্য, শ্রম, পরিবহন, বিনোদন কিংবা পরিবেশের ভারসাম্য-সব ক্ষেত্রেই প্রাণীরা অপরিহার্য ভূমিকা রাখে। তাই প্রতিটি প্রাণীর প্রতি সহমর্মিতা দেখানো, তাদের বাঁচিয়ে রাখা এবং প্রাকৃতিক আবাসস্থল রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সচেতন মানুষই পারে প্রাণী সংরক্ষণ ও তাদের প্রতি মানবিক আচরণ নিশ্চিত করতে।

প্রাণীদের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণই পারে মানবিক সমাজ ও ভারসাম্যপূর্ণ পৃথিবী গঠনে সহায়তা করতে। তাই প্রাণী কল্যাণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এখন সময়ের দাবি। প্রাণীদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে; শখের বসে বা বিনোদনের জন্য কোনো জীবকে কষ্ট দেওয়া একেবারেই অমানবিক। বন্যপ্রাণীর প্রাকৃতিক আবাসস্থল রক্ষা করতে হবে, নির্বিচারে বনভূমি ধ্বংস বন্ধ করতে হবে, অবৈধ শিকার ও প্রাণী পাচার প্রতিরোধে নিতে হবে কঠোর ব্যবস্থা।

এছাড়া স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের প্রাণীর প্রতি দয়া, মমতা ও ভালোবাসার শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রাণী সংরক্ষণ ও মানবিক আচরণবিষয়ক প্রচারণা চালানো জরুরি। রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও প্রাণী সংরক্ষণ আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা-প্রাণীরাও আমাদের মতোই জীব, তাদেরও বেঁচে থাকার অধিকার আছে। মানুষ যদি প্রাণীর প্রতি সহানুভূতিশীল হয়, তাহলে পৃথিবী আরও সুন্দর ও বাসযোগ্য হয়ে উঠবে।

back to top