নেছার আহমেদ
মানুষ ও প্রাণী একই পৃথিবীর বাসিন্দা। প্রাণী পৃথিবীর পরিবেশের একটি অপরিহার্য অংশ। মানুষ, প্রাণী ও প্রকৃতি একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। প্রাণী ছাড়া মানব সভ্যতার বিকাশ সম্ভব নয়। তারা শুধু প্রকৃতির শোভাই নয়, জীববৈচিত্র্যরেও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। খাদ্য, শ্রম, পরিবহন, বিনোদন কিংবা পরিবেশের ভারসাম্য-সব ক্ষেত্রেই প্রাণীরা অপরিহার্য ভূমিকা রাখে। তাই প্রতিটি প্রাণীর প্রতি সহমর্মিতা দেখানো, তাদের বাঁচিয়ে রাখা এবং প্রাকৃতিক আবাসস্থল রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সচেতন মানুষই পারে প্রাণী সংরক্ষণ ও তাদের প্রতি মানবিক আচরণ নিশ্চিত করতে।
প্রাণীদের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণই পারে মানবিক সমাজ ও ভারসাম্যপূর্ণ পৃথিবী গঠনে সহায়তা করতে। তাই প্রাণী কল্যাণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এখন সময়ের দাবি। প্রাণীদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে; শখের বসে বা বিনোদনের জন্য কোনো জীবকে কষ্ট দেওয়া একেবারেই অমানবিক। বন্যপ্রাণীর প্রাকৃতিক আবাসস্থল রক্ষা করতে হবে, নির্বিচারে বনভূমি ধ্বংস বন্ধ করতে হবে, অবৈধ শিকার ও প্রাণী পাচার প্রতিরোধে নিতে হবে কঠোর ব্যবস্থা।
এছাড়া স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের প্রাণীর প্রতি দয়া, মমতা ও ভালোবাসার শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রাণী সংরক্ষণ ও মানবিক আচরণবিষয়ক প্রচারণা চালানো জরুরি। রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও প্রাণী সংরক্ষণ আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা-প্রাণীরাও আমাদের মতোই জীব, তাদেরও বেঁচে থাকার অধিকার আছে। মানুষ যদি প্রাণীর প্রতি সহানুভূতিশীল হয়, তাহলে পৃথিবী আরও সুন্দর ও বাসযোগ্য হয়ে উঠবে।
নেছার আহমেদ
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
মানুষ ও প্রাণী একই পৃথিবীর বাসিন্দা। প্রাণী পৃথিবীর পরিবেশের একটি অপরিহার্য অংশ। মানুষ, প্রাণী ও প্রকৃতি একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। প্রাণী ছাড়া মানব সভ্যতার বিকাশ সম্ভব নয়। তারা শুধু প্রকৃতির শোভাই নয়, জীববৈচিত্র্যরেও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। খাদ্য, শ্রম, পরিবহন, বিনোদন কিংবা পরিবেশের ভারসাম্য-সব ক্ষেত্রেই প্রাণীরা অপরিহার্য ভূমিকা রাখে। তাই প্রতিটি প্রাণীর প্রতি সহমর্মিতা দেখানো, তাদের বাঁচিয়ে রাখা এবং প্রাকৃতিক আবাসস্থল রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সচেতন মানুষই পারে প্রাণী সংরক্ষণ ও তাদের প্রতি মানবিক আচরণ নিশ্চিত করতে।
প্রাণীদের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণই পারে মানবিক সমাজ ও ভারসাম্যপূর্ণ পৃথিবী গঠনে সহায়তা করতে। তাই প্রাণী কল্যাণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এখন সময়ের দাবি। প্রাণীদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে; শখের বসে বা বিনোদনের জন্য কোনো জীবকে কষ্ট দেওয়া একেবারেই অমানবিক। বন্যপ্রাণীর প্রাকৃতিক আবাসস্থল রক্ষা করতে হবে, নির্বিচারে বনভূমি ধ্বংস বন্ধ করতে হবে, অবৈধ শিকার ও প্রাণী পাচার প্রতিরোধে নিতে হবে কঠোর ব্যবস্থা।
এছাড়া স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের প্রাণীর প্রতি দয়া, মমতা ও ভালোবাসার শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রাণী সংরক্ষণ ও মানবিক আচরণবিষয়ক প্রচারণা চালানো জরুরি। রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও প্রাণী সংরক্ষণ আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা-প্রাণীরাও আমাদের মতোই জীব, তাদেরও বেঁচে থাকার অধিকার আছে। মানুষ যদি প্রাণীর প্রতি সহানুভূতিশীল হয়, তাহলে পৃথিবী আরও সুন্দর ও বাসযোগ্য হয়ে উঠবে।