চাকরির বাজার যেখানে সোনার হরিণ, সেখানে একের পর এক পিছানো হচ্ছে সরকারি চাকরি নিয়োগ পরীক্ষা। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করা অনেক শিক্ষার্থীই এখন দুশ্চিন্তায় জীবন অতিবাহিত করছেন। কারণ বয়স তো আর থেমে নেই। একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর আর অংশ নিতে পারবেন না চাকরি নিয়োগ পরীক্ষায়। অনেক মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের সংসারের হাল ধরতে হবে।
একটি সরকারি চাকরি নিয়োগ পরীক্ষার সার্কুলার প্রকাশ থেকে শুরু করে চূড়ান্ত নিয়োগ পর্যন্ত একটি দীর্ঘ সময় ব্যয় হয়। প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের ৩য় ধাপের রেজাল্ট আটকে আছে আজ ৪ মাস ধরে। ১৮তম নিবন্ধন পরীক্ষা ফলাফল দেয়া হচ্ছে না। বিপিএসসির অধীনে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পলিটেকনিক ও টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টরের নিয়োগের সার্কুলার প্রকাশ হয় ২৬.১০.২০২১ তারিখে। ভাইভা শেষ হয় ২৭.০৫.২০২৪, চূড়ান্ত ফলাফল এখনও ঘোষণা করা হয়নি। নতুন কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নেই। যেসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, সেগুলোর তারিখ ঘোষণা করা হচ্ছে না। করোনার জন্য একটি দীর্ঘ সময় শিক্ষার্থীদের সেশন জটে পড়তে হয়েছিল। চাকরির অভাবে তরুণ সমাজ এখন চরম হতাশায়। শিক্ষিত তরুণেরা পরিবার ও সমাজের কাছে অবহেলার পাত্রে পরিণত হয়েছে। এমত অবস্থায় দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগ পরীক্ষা গুলো সম্পন্ন করা অতি জরুরি।
তবে এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা অবশ্যই জরুরি। পিএসসি সংস্কার প্রয়োজন। প্রশ্ন ফাঁসের মতো অনৈতিক কার্যকলাপ অতিসত্ত্বর বন্ধ করতে হবে। ব্যক্তি যে রাজনৈতিক মতাদর্শের অধিকারীই হোক না কেন, তার কারণে যেন তাকে কোনো প্রশাসনিক জটিলতায় পড়তে না হয়। আবার নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শের অনুসারী হওয়া কারণে বাড়তি সুবিধা প্রদান থেকে বিরত থাকতে হবে। শতভাগ স্বচ্ছতার মাধ্যমে নিয়োগ দিতে হবে। সর্বোপরি, বেকার সমস্যার একটি সুষ্ঠু সমাধান করতে হবে।
ফাহিমা তাসনিম
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
চাকরির বাজার যেখানে সোনার হরিণ, সেখানে একের পর এক পিছানো হচ্ছে সরকারি চাকরি নিয়োগ পরীক্ষা। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করা অনেক শিক্ষার্থীই এখন দুশ্চিন্তায় জীবন অতিবাহিত করছেন। কারণ বয়স তো আর থেমে নেই। একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর আর অংশ নিতে পারবেন না চাকরি নিয়োগ পরীক্ষায়। অনেক মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের সংসারের হাল ধরতে হবে।
একটি সরকারি চাকরি নিয়োগ পরীক্ষার সার্কুলার প্রকাশ থেকে শুরু করে চূড়ান্ত নিয়োগ পর্যন্ত একটি দীর্ঘ সময় ব্যয় হয়। প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের ৩য় ধাপের রেজাল্ট আটকে আছে আজ ৪ মাস ধরে। ১৮তম নিবন্ধন পরীক্ষা ফলাফল দেয়া হচ্ছে না। বিপিএসসির অধীনে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পলিটেকনিক ও টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টরের নিয়োগের সার্কুলার প্রকাশ হয় ২৬.১০.২০২১ তারিখে। ভাইভা শেষ হয় ২৭.০৫.২০২৪, চূড়ান্ত ফলাফল এখনও ঘোষণা করা হয়নি। নতুন কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নেই। যেসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, সেগুলোর তারিখ ঘোষণা করা হচ্ছে না। করোনার জন্য একটি দীর্ঘ সময় শিক্ষার্থীদের সেশন জটে পড়তে হয়েছিল। চাকরির অভাবে তরুণ সমাজ এখন চরম হতাশায়। শিক্ষিত তরুণেরা পরিবার ও সমাজের কাছে অবহেলার পাত্রে পরিণত হয়েছে। এমত অবস্থায় দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগ পরীক্ষা গুলো সম্পন্ন করা অতি জরুরি।
তবে এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা অবশ্যই জরুরি। পিএসসি সংস্কার প্রয়োজন। প্রশ্ন ফাঁসের মতো অনৈতিক কার্যকলাপ অতিসত্ত্বর বন্ধ করতে হবে। ব্যক্তি যে রাজনৈতিক মতাদর্শের অধিকারীই হোক না কেন, তার কারণে যেন তাকে কোনো প্রশাসনিক জটিলতায় পড়তে না হয়। আবার নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শের অনুসারী হওয়া কারণে বাড়তি সুবিধা প্রদান থেকে বিরত থাকতে হবে। শতভাগ স্বচ্ছতার মাধ্যমে নিয়োগ দিতে হবে। সর্বোপরি, বেকার সমস্যার একটি সুষ্ঠু সমাধান করতে হবে।
ফাহিমা তাসনিম
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়