alt

পাঠকের চিঠি

উত্তরাঞ্চলে বন্যা

: বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪

সম্প্রীতি উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতিতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, লালমনিরহাট সদর ও আদিতমারী উপজেলার মানুষকে বন্যার পানিতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। বন্যার ভয়াল ঘূর্ণিপাকে পড়ে শত শত ঘর-বাড়ি, জমা-জমি, ভিটে-মাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভিটে-মাটি হারিয়ে হাজার হাজার মানুষ উদ্বাস্তুতে পরিণত হচ্ছে। অনেকেই দুর্বিষহ বন্যায় ঘরের চালা, বাঁশের মাচা, নৌকা কিংবা উঁচু স্থানে মানবেতর জীবনযাপন করে।

উত্তর জনপদের খেটে খাওয়া সহজ সরল মানুষগুলো প্রতিবছরই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে নদীগুলোর পানি শুকিয়ে সেচ সংকটের সৃষ্টি করে। আবার কখনো কখনো অপ্রত্যাশিত বন্যায় অস্থিতিকর পরিবেশের সৃষ্টি করে। বন্যার কারণে এসব এলাকার অনেক অনেক শিক্ষার্থী দীর্ঘ সময় ধরে পড়াশোনা হতে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকার কারণে একসময় শিক্ষার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।

এক বেসরকারি জরিপ অনুযায়ী, তিস্তা-ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলে ৪১% শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাথমিকের গন্ডি পেরোনোর আগেই ঝড়ে পড়ে। মাধ্যমিকের আগেই ৩৭% শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে। যার ফলে এই অঞ্চলে একটি বৃহৎ অশিক্ষিত ও বেকার শ্রেণীর তৈরি হচ্ছে। এছাড়াও এ অঞ্চলে প্রতিবছরের অর্থ-বাজেটে চরম বৈষম্য লক্ষ্য করা যায় অর্থনৈতিক বৈষম্য ও বন্যার ভয়াবহতার ফলে এ রংপুর বিভাগের দারিদ্র্যের হার তুলনামুলক বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, কুড়িগ্রামে ৭০.৮%, গাইবান্ধায় ৪৬.৭%, লালমনিরহাটে ৪২%, রংপুরে ৪৩.৮% ও নীলফামারীতে ৩২.৩% মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে।

বন্যাপরবর্তী মানুষের জীবনযাপনে স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে পুনর্বাসন প্রকল্প, আর্থিক, সহায়তা, প্রণদনা, কৃষি ভর্তুকি প্রদানে বিশেষ বাজেট প্রণয়নে ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়। উত্তরাঞ্চলের নদী বিধৌত এসব এলাকার প্রায় ২ কোটি মানুষের জনজীবনের মান উন্নতির লক্ষ্যে যথাপোযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন এই অনগ্রসর অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশেষ বাজেট প্রণয়ণ করে পুনর্বাসন ও উন্নয়ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বৈষম্য দূর করতে হবে। জনগণের জীবনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তার ও সুশিক্ষা প্রতিষ্ঠার তাগিদে বন্যাগ্রস্ত এলাকায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নতমান নিশ্চিত করতে হবে।

শাকিব আল হাসান রাকিব

মহাসড়কে কেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা

মাধ্যমিক থেকেই চাই কর্মমুখী শিক্ষা

গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তা জরুরি

যানজট নিরসনে পদক্ষেপ চাই

ছবি

নিপাহ ভাইরাস : আতঙ্ক নয়, প্রয়োজন সচেতনতা

ছবি

ব্যাটারিচালিত রিকশা

সারের সংকট ও কৃষকের দুর্ভোগ

সংস্কার আর সময়ের সমীকরণে নির্বাচন

বাণিজ্য মুক্ত হোক সান্ধ্যকোর্স

ছবি

ডে-কেয়ার সেন্টার

ডিজিটাল দাসত্ব : মোবাইল আসক্তির প্রভাব

লোকালয়ে ইটভাটা

ছবি

নিপাহ ভাইরাস : খেজুরের কাঁচা রস পরিহার করুন

ছবি

পাটের বস্তা ব্যবহার অনেকটাই উপক্ষিত

রায়পুরে সড়কের সংস্কার চাই

অতিরিক্ত ভাড়া বন্ধ হোক

গ্যাস সংকট

ছবি

বাংলার ক্রিকেটের সফলতার গল্প লিখেছেন যুবারা

স্বেচ্ছাসেবা : একটি জীবন বোধ

শীতকালীন বায়ুদূষণ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা

অবসরের বয়সসীমা বাড়ান

রাস্তা অবরোধ নামক অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে

ছবি

খেলনায় বিষাক্ত ধাতু

জিপিএ-৫ মুখ্য নয়, প্রয়োজন প্রকৃত শিক্ষা

রাষ্ট্রসংস্কারের পূর্বে আত্মসংস্কার প্রয়োজন

আইনশৃৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বেহালদশা

পরিকল্পিতভাবে উপযুক্ত স্থানে গাছ রোপণ করা উচিত

ইজিবাইক ছিনতাই

ছবি

টিসিবির পণ্য : নিম্নআয়ের মানুষের ভোগান্তি

ছবি

উন্নয়নের জন্য কারিগরি শিক্ষা অপরিহার্য

ছবি

ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বন্ধ করুন

সড়ক দুর্ঘটনা

বায়ুদূষণে দমবন্ধ ঢাকা

হলগুলোর খাবারের মান বাড়ান

নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ হবে কবে

tab

পাঠকের চিঠি

উত্তরাঞ্চলে বন্যা

বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪

সম্প্রীতি উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতিতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, লালমনিরহাট সদর ও আদিতমারী উপজেলার মানুষকে বন্যার পানিতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। বন্যার ভয়াল ঘূর্ণিপাকে পড়ে শত শত ঘর-বাড়ি, জমা-জমি, ভিটে-মাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভিটে-মাটি হারিয়ে হাজার হাজার মানুষ উদ্বাস্তুতে পরিণত হচ্ছে। অনেকেই দুর্বিষহ বন্যায় ঘরের চালা, বাঁশের মাচা, নৌকা কিংবা উঁচু স্থানে মানবেতর জীবনযাপন করে।

উত্তর জনপদের খেটে খাওয়া সহজ সরল মানুষগুলো প্রতিবছরই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে নদীগুলোর পানি শুকিয়ে সেচ সংকটের সৃষ্টি করে। আবার কখনো কখনো অপ্রত্যাশিত বন্যায় অস্থিতিকর পরিবেশের সৃষ্টি করে। বন্যার কারণে এসব এলাকার অনেক অনেক শিক্ষার্থী দীর্ঘ সময় ধরে পড়াশোনা হতে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকার কারণে একসময় শিক্ষার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।

এক বেসরকারি জরিপ অনুযায়ী, তিস্তা-ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলে ৪১% শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাথমিকের গন্ডি পেরোনোর আগেই ঝড়ে পড়ে। মাধ্যমিকের আগেই ৩৭% শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে। যার ফলে এই অঞ্চলে একটি বৃহৎ অশিক্ষিত ও বেকার শ্রেণীর তৈরি হচ্ছে। এছাড়াও এ অঞ্চলে প্রতিবছরের অর্থ-বাজেটে চরম বৈষম্য লক্ষ্য করা যায় অর্থনৈতিক বৈষম্য ও বন্যার ভয়াবহতার ফলে এ রংপুর বিভাগের দারিদ্র্যের হার তুলনামুলক বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, কুড়িগ্রামে ৭০.৮%, গাইবান্ধায় ৪৬.৭%, লালমনিরহাটে ৪২%, রংপুরে ৪৩.৮% ও নীলফামারীতে ৩২.৩% মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে।

বন্যাপরবর্তী মানুষের জীবনযাপনে স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে পুনর্বাসন প্রকল্প, আর্থিক, সহায়তা, প্রণদনা, কৃষি ভর্তুকি প্রদানে বিশেষ বাজেট প্রণয়নে ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়। উত্তরাঞ্চলের নদী বিধৌত এসব এলাকার প্রায় ২ কোটি মানুষের জনজীবনের মান উন্নতির লক্ষ্যে যথাপোযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন এই অনগ্রসর অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশেষ বাজেট প্রণয়ণ করে পুনর্বাসন ও উন্নয়ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বৈষম্য দূর করতে হবে। জনগণের জীবনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তার ও সুশিক্ষা প্রতিষ্ঠার তাগিদে বন্যাগ্রস্ত এলাকায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নতমান নিশ্চিত করতে হবে।

শাকিব আল হাসান রাকিব

back to top