সম্প্রীতি উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতিতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, লালমনিরহাট সদর ও আদিতমারী উপজেলার মানুষকে বন্যার পানিতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। বন্যার ভয়াল ঘূর্ণিপাকে পড়ে শত শত ঘর-বাড়ি, জমা-জমি, ভিটে-মাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভিটে-মাটি হারিয়ে হাজার হাজার মানুষ উদ্বাস্তুতে পরিণত হচ্ছে। অনেকেই দুর্বিষহ বন্যায় ঘরের চালা, বাঁশের মাচা, নৌকা কিংবা উঁচু স্থানে মানবেতর জীবনযাপন করে।
উত্তর জনপদের খেটে খাওয়া সহজ সরল মানুষগুলো প্রতিবছরই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে নদীগুলোর পানি শুকিয়ে সেচ সংকটের সৃষ্টি করে। আবার কখনো কখনো অপ্রত্যাশিত বন্যায় অস্থিতিকর পরিবেশের সৃষ্টি করে। বন্যার কারণে এসব এলাকার অনেক অনেক শিক্ষার্থী দীর্ঘ সময় ধরে পড়াশোনা হতে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকার কারণে একসময় শিক্ষার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
এক বেসরকারি জরিপ অনুযায়ী, তিস্তা-ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলে ৪১% শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাথমিকের গন্ডি পেরোনোর আগেই ঝড়ে পড়ে। মাধ্যমিকের আগেই ৩৭% শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে। যার ফলে এই অঞ্চলে একটি বৃহৎ অশিক্ষিত ও বেকার শ্রেণীর তৈরি হচ্ছে। এছাড়াও এ অঞ্চলে প্রতিবছরের অর্থ-বাজেটে চরম বৈষম্য লক্ষ্য করা যায় অর্থনৈতিক বৈষম্য ও বন্যার ভয়াবহতার ফলে এ রংপুর বিভাগের দারিদ্র্যের হার তুলনামুলক বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, কুড়িগ্রামে ৭০.৮%, গাইবান্ধায় ৪৬.৭%, লালমনিরহাটে ৪২%, রংপুরে ৪৩.৮% ও নীলফামারীতে ৩২.৩% মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে।
বন্যাপরবর্তী মানুষের জীবনযাপনে স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে পুনর্বাসন প্রকল্প, আর্থিক, সহায়তা, প্রণদনা, কৃষি ভর্তুকি প্রদানে বিশেষ বাজেট প্রণয়নে ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়। উত্তরাঞ্চলের নদী বিধৌত এসব এলাকার প্রায় ২ কোটি মানুষের জনজীবনের মান উন্নতির লক্ষ্যে যথাপোযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন এই অনগ্রসর অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশেষ বাজেট প্রণয়ণ করে পুনর্বাসন ও উন্নয়ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বৈষম্য দূর করতে হবে। জনগণের জীবনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তার ও সুশিক্ষা প্রতিষ্ঠার তাগিদে বন্যাগ্রস্ত এলাকায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নতমান নিশ্চিত করতে হবে।
শাকিব আল হাসান রাকিব
বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪
সম্প্রীতি উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতিতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, লালমনিরহাট সদর ও আদিতমারী উপজেলার মানুষকে বন্যার পানিতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। বন্যার ভয়াল ঘূর্ণিপাকে পড়ে শত শত ঘর-বাড়ি, জমা-জমি, ভিটে-মাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভিটে-মাটি হারিয়ে হাজার হাজার মানুষ উদ্বাস্তুতে পরিণত হচ্ছে। অনেকেই দুর্বিষহ বন্যায় ঘরের চালা, বাঁশের মাচা, নৌকা কিংবা উঁচু স্থানে মানবেতর জীবনযাপন করে।
উত্তর জনপদের খেটে খাওয়া সহজ সরল মানুষগুলো প্রতিবছরই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে নদীগুলোর পানি শুকিয়ে সেচ সংকটের সৃষ্টি করে। আবার কখনো কখনো অপ্রত্যাশিত বন্যায় অস্থিতিকর পরিবেশের সৃষ্টি করে। বন্যার কারণে এসব এলাকার অনেক অনেক শিক্ষার্থী দীর্ঘ সময় ধরে পড়াশোনা হতে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকার কারণে একসময় শিক্ষার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
এক বেসরকারি জরিপ অনুযায়ী, তিস্তা-ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলে ৪১% শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাথমিকের গন্ডি পেরোনোর আগেই ঝড়ে পড়ে। মাধ্যমিকের আগেই ৩৭% শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে। যার ফলে এই অঞ্চলে একটি বৃহৎ অশিক্ষিত ও বেকার শ্রেণীর তৈরি হচ্ছে। এছাড়াও এ অঞ্চলে প্রতিবছরের অর্থ-বাজেটে চরম বৈষম্য লক্ষ্য করা যায় অর্থনৈতিক বৈষম্য ও বন্যার ভয়াবহতার ফলে এ রংপুর বিভাগের দারিদ্র্যের হার তুলনামুলক বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, কুড়িগ্রামে ৭০.৮%, গাইবান্ধায় ৪৬.৭%, লালমনিরহাটে ৪২%, রংপুরে ৪৩.৮% ও নীলফামারীতে ৩২.৩% মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে।
বন্যাপরবর্তী মানুষের জীবনযাপনে স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে পুনর্বাসন প্রকল্প, আর্থিক, সহায়তা, প্রণদনা, কৃষি ভর্তুকি প্রদানে বিশেষ বাজেট প্রণয়নে ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়। উত্তরাঞ্চলের নদী বিধৌত এসব এলাকার প্রায় ২ কোটি মানুষের জনজীবনের মান উন্নতির লক্ষ্যে যথাপোযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন এই অনগ্রসর অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশেষ বাজেট প্রণয়ণ করে পুনর্বাসন ও উন্নয়ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বৈষম্য দূর করতে হবে। জনগণের জীবনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তার ও সুশিক্ষা প্রতিষ্ঠার তাগিদে বন্যাগ্রস্ত এলাকায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নতমান নিশ্চিত করতে হবে।
শাকিব আল হাসান রাকিব