alt

যবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টারের সেবার মান

: বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ডা. এম আর খান মেডিকেল সেন্টার কেবল নামেই মেডিকেল সেন্টার। অন টাইমে গেলেও ডাক্তারের দেখা মেলে না, মিললেও রোগী দেখার চেয়ে অন্য কাজেই বেশি ব্যস্ত থাকেন তারা। স্টাফ, ডাক্তারের সহযোগী এবং আয়াদের ব্যবহার জঘন্য। ভুক্তভোগী রোগীরা অধিকাংশ সময় মেডিকেল সেন্টারে গেলে বলা হয় ডাক্তার মিটিংয়ে আছেন অথবা যাবেন অথবা ডাক্তার প্রশাসনিক বিল্ডিং এ গেছেন ইত্যাদি। আর স্টাফদের কাজ হচ্ছে মুখস্থ বুলি আওড়ানোÑ ‘লাঞ্চের পরে আসেন’। ব্যবহার ও জঘন্য। অথচ লাঞ্চের পরে গেলেও দেখা যায় ডাক্তার মিটিংয়ে। তাহলে কি কেবল মিটিংয়ের জন্যই ডাক্তারের চাকরি? ডাক্তারের মুখ্য কাজ শিক্ষার্থীদের সেবা দেয়া, নাকি মিটিং করা? নাকি অধিকাংশ সময় প্রশাসনিক বিল্ডিং এ থাকা? রোগী বেশি অসুস্থ হলে সে কীভাবে লাঞ্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করবে?

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার প্রকৃতপক্ষে একটি ‘নাপা সেন্টার’। কেবল নাপা ছাড়া ডাক্তারদের করা প্রেসক্রিপশনের অধিকাংশ প্রয়োজনীয় ওষুধই মেলে না মেডিকেল সেন্টারে।

উপাচার্য মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পরে সবজায়গাতেই সংস্কার চলমান। কিন্তু যবিপ্রবির মেডিকেল সেন্টারের কোনোরকম সংস্কার হয়নি। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবিÑ

ডাক্তার, স্টাফদের কাজ নিয়মিত মনিটরিং করা। ডাক্তার যেন মিটিংয়ের চেয়ে শিক্ষার্থীদের সেবায় বেশি মনোযোগী হনÑ এটি নিশ্চিত করা।

‘লাঞ্চের পর আসেন’-এই অপসংস্কৃতি দূরীকরণ।

প্রয়োজনীয় ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার যেন আর ‘নাপা সেন্টার’ না থাকে।

প্রয়োজনীয় মেডিকেল পরীক্ষার সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

মেডিকেল সেন্টারের জন্য আলাদা অভিযোগ বাক্সের ব্যবস্থা করা এবং প্রতিদিন অথবা সপ্তাহে একবার ওই অভিযোগগুলো দেখা।

সৈয়দ আশিকুজ্জামান আশিক,

গবেষণা সহকারী,

বায়োইনফরমেটিক্স রিসার্চ ল্যাব, সেন্টার ফর রিসার্চ ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিআরআইডি), ঢাকা।

পারিবারিক বন্ধনের ভাঙন

উপকূলে সুপেয় পানির জন্য হাহাকার

নারী শ্রমিকের সুরক্ষা

বৃষ্টিতে অদৃশ্য ড্রেনের প্রাণঘাতী ফাঁদ

শিক্ষার্থীদের হাফভাড়া ন্যায্যতার দাবি

ফেনীর দেওয়ানগঞ্জে ময়লার পাহাড়

তাদের গল্প থেমে গেছে, কারণ আমরা আর শুনি না

দুবলার চরের রাসমেলা হতে পারে পর্যটকদের জন্য এক বিস্ময়ভ্রমণ

ছবি

খাদ্য অপচয় রোধে সচেতনতা এখন জরুরি

ছবি

জিপিএ ৫: পরিশ্রমের প্রতিবিম্ব, তবে ভবিষ্যৎ গড়ার মানদণ্ড নয়

ছবি

কোথায় হারালো বাবুই পাখি ও তাদের বাসা

ছবি

সাইবার বুলিয়িং-এর বাস্তবতা

প্রাণীর প্রতি সহমর্মিতা

র‌্যাগিং: শিক্ষাঙ্গনের ছায়ায় বেড়ে ওঠা এক অমানবিকতার সংস্কৃতি

বর্জ্য অব্যবস্থাপনায় হুমকির মুখে নগরের ভবিষ্যত

ঢাকায় তাল-নারকেল-সুপারির সবুজ সম্ভাবনা

শকুন বাঁচানো মানে ভবিষ্যৎ বাঁচানো

ছবি

এআই যুগে নিরাপত্তার সংকট : প্রযুক্তির অন্ধকার দিক

রাজধানীর নগর জীবন : ঝুঁকি, দূষণ ও মানুষের নিরাপত্তা

সরকারি স্বাস্থ্যসেবা : গ্রামীণ রোগীর পাশে আছে কি?

ছবি

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি : সাধারণ মানুষের নৈরাশ্যের কারণ

জিপিএ-৫ এবং শিক্ষার প্রকৃত মান

প্রবাসী শ্রমিকদের মর্যাদা ফিরিয়ে আনা জরুরি

ছবি

এইচএসসি ফল : শিক্ষার বাস্তব চিত্র

ছবি

গার্মেন্টস শ্রমিকের মানবিক অধিকার নিশ্চিতকরণ জরুরি

নিউমার্কেটে সড়ক-ফুটপাত দখলমুক্ত করা জরুরি

সুন্দরবন রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন

আগুনের শিখায় ভস্মীভূত স্বপ্ন

কোথায় যাচ্ছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা?

ছবি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজি-ট্যাক্সি চলাচল নিষিদ্ধের আহ্বান

ছবি

ভবদহে জলাবদ্ধতা নিরসনে জরুরি টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রয়োজন

গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক

পোস্তগোলা থানা গঠনের দাবি

বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যামেরিকান স্টাডিজ কোর্স চালুর প্রয়োজনীয়তা

ছবি

প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষক সংকট

শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বৈষম্য দূর করতে হবে

tab

যবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টারের সেবার মান

বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ডা. এম আর খান মেডিকেল সেন্টার কেবল নামেই মেডিকেল সেন্টার। অন টাইমে গেলেও ডাক্তারের দেখা মেলে না, মিললেও রোগী দেখার চেয়ে অন্য কাজেই বেশি ব্যস্ত থাকেন তারা। স্টাফ, ডাক্তারের সহযোগী এবং আয়াদের ব্যবহার জঘন্য। ভুক্তভোগী রোগীরা অধিকাংশ সময় মেডিকেল সেন্টারে গেলে বলা হয় ডাক্তার মিটিংয়ে আছেন অথবা যাবেন অথবা ডাক্তার প্রশাসনিক বিল্ডিং এ গেছেন ইত্যাদি। আর স্টাফদের কাজ হচ্ছে মুখস্থ বুলি আওড়ানোÑ ‘লাঞ্চের পরে আসেন’। ব্যবহার ও জঘন্য। অথচ লাঞ্চের পরে গেলেও দেখা যায় ডাক্তার মিটিংয়ে। তাহলে কি কেবল মিটিংয়ের জন্যই ডাক্তারের চাকরি? ডাক্তারের মুখ্য কাজ শিক্ষার্থীদের সেবা দেয়া, নাকি মিটিং করা? নাকি অধিকাংশ সময় প্রশাসনিক বিল্ডিং এ থাকা? রোগী বেশি অসুস্থ হলে সে কীভাবে লাঞ্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করবে?

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার প্রকৃতপক্ষে একটি ‘নাপা সেন্টার’। কেবল নাপা ছাড়া ডাক্তারদের করা প্রেসক্রিপশনের অধিকাংশ প্রয়োজনীয় ওষুধই মেলে না মেডিকেল সেন্টারে।

উপাচার্য মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পরে সবজায়গাতেই সংস্কার চলমান। কিন্তু যবিপ্রবির মেডিকেল সেন্টারের কোনোরকম সংস্কার হয়নি। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবিÑ

ডাক্তার, স্টাফদের কাজ নিয়মিত মনিটরিং করা। ডাক্তার যেন মিটিংয়ের চেয়ে শিক্ষার্থীদের সেবায় বেশি মনোযোগী হনÑ এটি নিশ্চিত করা।

‘লাঞ্চের পর আসেন’-এই অপসংস্কৃতি দূরীকরণ।

প্রয়োজনীয় ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার যেন আর ‘নাপা সেন্টার’ না থাকে।

প্রয়োজনীয় মেডিকেল পরীক্ষার সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

মেডিকেল সেন্টারের জন্য আলাদা অভিযোগ বাক্সের ব্যবস্থা করা এবং প্রতিদিন অথবা সপ্তাহে একবার ওই অভিযোগগুলো দেখা।

সৈয়দ আশিকুজ্জামান আশিক,

গবেষণা সহকারী,

বায়োইনফরমেটিক্স রিসার্চ ল্যাব, সেন্টার ফর রিসার্চ ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিআরআইডি), ঢাকা।

back to top