যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ডা. এম আর খান মেডিকেল সেন্টার কেবল নামেই মেডিকেল সেন্টার। অন টাইমে গেলেও ডাক্তারের দেখা মেলে না, মিললেও রোগী দেখার চেয়ে অন্য কাজেই বেশি ব্যস্ত থাকেন তারা। স্টাফ, ডাক্তারের সহযোগী এবং আয়াদের ব্যবহার জঘন্য। ভুক্তভোগী রোগীরা অধিকাংশ সময় মেডিকেল সেন্টারে গেলে বলা হয় ডাক্তার মিটিংয়ে আছেন অথবা যাবেন অথবা ডাক্তার প্রশাসনিক বিল্ডিং এ গেছেন ইত্যাদি। আর স্টাফদের কাজ হচ্ছে মুখস্থ বুলি আওড়ানোÑ ‘লাঞ্চের পরে আসেন’। ব্যবহার ও জঘন্য। অথচ লাঞ্চের পরে গেলেও দেখা যায় ডাক্তার মিটিংয়ে। তাহলে কি কেবল মিটিংয়ের জন্যই ডাক্তারের চাকরি? ডাক্তারের মুখ্য কাজ শিক্ষার্থীদের সেবা দেয়া, নাকি মিটিং করা? নাকি অধিকাংশ সময় প্রশাসনিক বিল্ডিং এ থাকা? রোগী বেশি অসুস্থ হলে সে কীভাবে লাঞ্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করবে?
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার প্রকৃতপক্ষে একটি ‘নাপা সেন্টার’। কেবল নাপা ছাড়া ডাক্তারদের করা প্রেসক্রিপশনের অধিকাংশ প্রয়োজনীয় ওষুধই মেলে না মেডিকেল সেন্টারে।
উপাচার্য মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পরে সবজায়গাতেই সংস্কার চলমান। কিন্তু যবিপ্রবির মেডিকেল সেন্টারের কোনোরকম সংস্কার হয়নি। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবিÑ
ডাক্তার, স্টাফদের কাজ নিয়মিত মনিটরিং করা। ডাক্তার যেন মিটিংয়ের চেয়ে শিক্ষার্থীদের সেবায় বেশি মনোযোগী হনÑ এটি নিশ্চিত করা।
‘লাঞ্চের পর আসেন’-এই অপসংস্কৃতি দূরীকরণ।
প্রয়োজনীয় ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার যেন আর ‘নাপা সেন্টার’ না থাকে।
প্রয়োজনীয় মেডিকেল পরীক্ষার সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
মেডিকেল সেন্টারের জন্য আলাদা অভিযোগ বাক্সের ব্যবস্থা করা এবং প্রতিদিন অথবা সপ্তাহে একবার ওই অভিযোগগুলো দেখা।
সৈয়দ আশিকুজ্জামান আশিক,
গবেষণা সহকারী,
বায়োইনফরমেটিক্স রিসার্চ ল্যাব, সেন্টার ফর রিসার্চ ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিআরআইডি), ঢাকা।
বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ডা. এম আর খান মেডিকেল সেন্টার কেবল নামেই মেডিকেল সেন্টার। অন টাইমে গেলেও ডাক্তারের দেখা মেলে না, মিললেও রোগী দেখার চেয়ে অন্য কাজেই বেশি ব্যস্ত থাকেন তারা। স্টাফ, ডাক্তারের সহযোগী এবং আয়াদের ব্যবহার জঘন্য। ভুক্তভোগী রোগীরা অধিকাংশ সময় মেডিকেল সেন্টারে গেলে বলা হয় ডাক্তার মিটিংয়ে আছেন অথবা যাবেন অথবা ডাক্তার প্রশাসনিক বিল্ডিং এ গেছেন ইত্যাদি। আর স্টাফদের কাজ হচ্ছে মুখস্থ বুলি আওড়ানোÑ ‘লাঞ্চের পরে আসেন’। ব্যবহার ও জঘন্য। অথচ লাঞ্চের পরে গেলেও দেখা যায় ডাক্তার মিটিংয়ে। তাহলে কি কেবল মিটিংয়ের জন্যই ডাক্তারের চাকরি? ডাক্তারের মুখ্য কাজ শিক্ষার্থীদের সেবা দেয়া, নাকি মিটিং করা? নাকি অধিকাংশ সময় প্রশাসনিক বিল্ডিং এ থাকা? রোগী বেশি অসুস্থ হলে সে কীভাবে লাঞ্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করবে?
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার প্রকৃতপক্ষে একটি ‘নাপা সেন্টার’। কেবল নাপা ছাড়া ডাক্তারদের করা প্রেসক্রিপশনের অধিকাংশ প্রয়োজনীয় ওষুধই মেলে না মেডিকেল সেন্টারে।
উপাচার্য মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পরে সবজায়গাতেই সংস্কার চলমান। কিন্তু যবিপ্রবির মেডিকেল সেন্টারের কোনোরকম সংস্কার হয়নি। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবিÑ
ডাক্তার, স্টাফদের কাজ নিয়মিত মনিটরিং করা। ডাক্তার যেন মিটিংয়ের চেয়ে শিক্ষার্থীদের সেবায় বেশি মনোযোগী হনÑ এটি নিশ্চিত করা।
‘লাঞ্চের পর আসেন’-এই অপসংস্কৃতি দূরীকরণ।
প্রয়োজনীয় ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার যেন আর ‘নাপা সেন্টার’ না থাকে।
প্রয়োজনীয় মেডিকেল পরীক্ষার সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
মেডিকেল সেন্টারের জন্য আলাদা অভিযোগ বাক্সের ব্যবস্থা করা এবং প্রতিদিন অথবা সপ্তাহে একবার ওই অভিযোগগুলো দেখা।
সৈয়দ আশিকুজ্জামান আশিক,
গবেষণা সহকারী,
বায়োইনফরমেটিক্স রিসার্চ ল্যাব, সেন্টার ফর রিসার্চ ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিআরআইডি), ঢাকা।