alt

পাঠকের চিঠি

সড়ক দুর্ঘটনা

: শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

সড়ক দুর্ঘটনা বিশ্বব্যাপী মারাতœক সমস্যার সৃষ্টি করে চলছে। আমাদের দেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষতিকর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর দেশের মোট জিডিপির ১ থেকে ৩ শতাংশ পর্যন্ত আর্থিক ক্ষতি হয়। এই অর্থ দিয়ে আমরা প্রতিবছর একটি করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারি। সড়ক দুর্ঘটনায় একটি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটি মারা গেলে সেই পরিবার কার্যত নিঃস্ব হয়ে যায়।আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এর জন্য ম্যাচিং ইনভেস্টমেণ্ট ফান্ড গঠন করা প্রয়োজন। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে ম্যাচিং ইনভেস্টমেণ্ট ফান্ড থাকলেও আমাদের দেশে এ ধরনের কোনো ফান্ড গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। আমরা হয়ত কোনো একটি রাস্তার পাশে ফুটপাত তৈরি করেই দায়িত্ব শেষ করছি। কিন্তু সেই ফুটপাত দিয়ে জনগণের চলাচলের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে কিনা তা দেখার প্রয়োজনবোধ করছি না।

সড়ক দুর্ঘটনার কিছু কারণ রয়েছে অনেক সময় গাড়ি চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে কে কাকে পেছনে ফেলে যেতে পারবেন। কোনো কোনো মহাসড়কে বাঁক বেশি থাকে। যে কারণে সেইসব বাঁক পেরোতে গিয়ে গাড়ি চালকগণ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। যারা গাড়ি চালান,তাদের অনেকের উপযুক্ত ও পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ থাকে না। এ কারণে তারা ট্রাফিক আইন সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞাত নন। সড়কে প্রায়ই ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল করে। এসব গাড়ি যে কোনো সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে রাস্তার তুলনায় গাড়ির সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে গেছে। গাড়ি চালকদের অধিকাংশ ট্রাফিক আইন মানতে চান না। চালকদের আইন মেনে চলার জন্য বাধ্য করার কোনো ব্যবস্থা নেই। চালদের মধ্যে অনেকেই আছেন নিয়মিত নেশা জাতীয় বস্তু গ্রহণ করেন। যার ফলে স্বাভাবিক অবস্থায় গাড়ি চালাতে পারেন না। কেউ আবার ঘুমের চোখে গাড়ি চালান। গাড়ির ফিটনেস প্রদানের ক্ষেত্রেও নানা অনিয়মের কথা শোনা যায়। যারা পরিবহনের মালিক তারা রাজনৈতিক দলের আশ্রয়ে থাকতে ভালোবাসেন, ফলে তাদের ক্ষেত্রে আইনের সঠিক প্রয়োগ অনেক সময়ই সম্ভব হয় না। আমরা বিভিন্ন সময়ে প্রত্যক্ষ করেছি সরকার আইন প্রণয়ন করলেও পরিবহনের মালিকদের চাপের কারণে ও পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন।

আব্বাসউদ্দিন আহমদ

ধোপাদিঘীর দক্ষিণ পাড়

সিলেট

স্বেচ্ছাসেবা : একটি জীবন বোধ

শীতকালীন বায়ুদূষণ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা

অবসরের বয়সসীমা বাড়ান

রাস্তা অবরোধ নামক অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে

ছবি

খেলনায় বিষাক্ত ধাতু

জিপিএ-৫ মুখ্য নয়, প্রয়োজন প্রকৃত শিক্ষা

রাষ্ট্রসংস্কারের পূর্বে আত্মসংস্কার প্রয়োজন

আইনশৃৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বেহালদশা

পরিকল্পিতভাবে উপযুক্ত স্থানে গাছ রোপণ করা উচিত

ইজিবাইক ছিনতাই

ছবি

টিসিবির পণ্য : নিম্নআয়ের মানুষের ভোগান্তি

ছবি

উন্নয়নের জন্য কারিগরি শিক্ষা অপরিহার্য

ছবি

ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বন্ধ করুন

বায়ুদূষণে দমবন্ধ ঢাকা

হলগুলোর খাবারের মান বাড়ান

নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ হবে কবে

মোরেলগঞ্জ পৌরসভার নাগরিক সেবা উন্নয়নে পদক্ষেপ নিন

ছবি

খেজুরের রস

ট্যাগিং সংস্কৃতির অবসান ঘটুক

আবাসন সংকট দূর করুন

আখাউড়া-আগরতলা ট্রেন চালু হবে কি ?

উচ্চশিক্ষা ও বেকারত্ব

ছবি

অবৈধ ইটভাটা : দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক

সংঘাত বন্ধ হোক

ছবি

কবে থামবে নদী দখল?

ছবি

কেমন আছে জাতীয় পাখি দোয়েল?

অতিথি পাখি শিকার নয়

নীরব ভূমিকায় কলেজ প্রশাসন

সড়ক দুর্ঘটনা

সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা কোথায়

ব্রহ্মপুত্রের পাড় হারাচ্ছে সৌন্দর্য

ছবি

সবজির দাম, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য, কৃষকের বঞ্চনা

ছবি

ছাদ বাগান

শিশুশ্রম ও শিশু নির্যাতন

ছবি

মেট্রোরেলের টিকেট ভোগান্তি

tab

পাঠকের চিঠি

সড়ক দুর্ঘটনা

শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

সড়ক দুর্ঘটনা বিশ্বব্যাপী মারাতœক সমস্যার সৃষ্টি করে চলছে। আমাদের দেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষতিকর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর দেশের মোট জিডিপির ১ থেকে ৩ শতাংশ পর্যন্ত আর্থিক ক্ষতি হয়। এই অর্থ দিয়ে আমরা প্রতিবছর একটি করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারি। সড়ক দুর্ঘটনায় একটি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটি মারা গেলে সেই পরিবার কার্যত নিঃস্ব হয়ে যায়।আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এর জন্য ম্যাচিং ইনভেস্টমেণ্ট ফান্ড গঠন করা প্রয়োজন। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে ম্যাচিং ইনভেস্টমেণ্ট ফান্ড থাকলেও আমাদের দেশে এ ধরনের কোনো ফান্ড গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। আমরা হয়ত কোনো একটি রাস্তার পাশে ফুটপাত তৈরি করেই দায়িত্ব শেষ করছি। কিন্তু সেই ফুটপাত দিয়ে জনগণের চলাচলের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে কিনা তা দেখার প্রয়োজনবোধ করছি না।

সড়ক দুর্ঘটনার কিছু কারণ রয়েছে অনেক সময় গাড়ি চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে কে কাকে পেছনে ফেলে যেতে পারবেন। কোনো কোনো মহাসড়কে বাঁক বেশি থাকে। যে কারণে সেইসব বাঁক পেরোতে গিয়ে গাড়ি চালকগণ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। যারা গাড়ি চালান,তাদের অনেকের উপযুক্ত ও পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ থাকে না। এ কারণে তারা ট্রাফিক আইন সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞাত নন। সড়কে প্রায়ই ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল করে। এসব গাড়ি যে কোনো সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে রাস্তার তুলনায় গাড়ির সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে গেছে। গাড়ি চালকদের অধিকাংশ ট্রাফিক আইন মানতে চান না। চালকদের আইন মেনে চলার জন্য বাধ্য করার কোনো ব্যবস্থা নেই। চালদের মধ্যে অনেকেই আছেন নিয়মিত নেশা জাতীয় বস্তু গ্রহণ করেন। যার ফলে স্বাভাবিক অবস্থায় গাড়ি চালাতে পারেন না। কেউ আবার ঘুমের চোখে গাড়ি চালান। গাড়ির ফিটনেস প্রদানের ক্ষেত্রেও নানা অনিয়মের কথা শোনা যায়। যারা পরিবহনের মালিক তারা রাজনৈতিক দলের আশ্রয়ে থাকতে ভালোবাসেন, ফলে তাদের ক্ষেত্রে আইনের সঠিক প্রয়োগ অনেক সময়ই সম্ভব হয় না। আমরা বিভিন্ন সময়ে প্রত্যক্ষ করেছি সরকার আইন প্রণয়ন করলেও পরিবহনের মালিকদের চাপের কারণে ও পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন।

আব্বাসউদ্দিন আহমদ

ধোপাদিঘীর দক্ষিণ পাড়

সিলেট

back to top