বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ তরুণ। এই বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীকে দেশের উৎপাদনশীল ও দক্ষ কর্মশক্তিতে পরিণত করতে হলে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। বেকারত্ব সমস্যা নিরসনে প্রভাব রাখবে কারিগরি শিক্ষা। প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় পড়াশোনা শেষ করার পর তরুণরা একটি নির্দিষ্ট চাকরির পেছনে ছুটতে থাকেন। অন্যদিকে কারিগরি শিক্ষা গ্রহণকারী তরুণরা নিজেরা চাকরির সুযোগ সৃষ্টিতে বা উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন করেন। উদাহরণস্বরূপ, গার্মেন্টস শিল্প, নির্মাণ খাত এবং সেবা খাতে দক্ষ কর্মীর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
উন্নয়নশীল দেশের জন্য অর্থনীতি সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষিনির্ভর হলেও বর্তমানে শিল্প খাত ও সেবা খাত ক্রমবর্ধমানভাবে দেশের জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই খাতগুলোতে দক্ষ শ্রমশক্তির চাহিদা রয়েছে। কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত দক্ষতাসম্পন্ন জনবল এই খাতগুলোর উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
কারিগরি শিক্ষার প্রসার ও কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি দক্ষ ও কর্মক্ষম জনশক্তিতে পরিণত হতে পারে। বিশ্বে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব হতে যাচ্ছে। তাই দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনশক্তির বিকল্প নেই। তাই সরকারকে অবশ্যই কারিগরি শিক্ষার মান, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও জনশক্তি রপ্তানিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। এই শিক্ষার মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি নিশ্চিত করা সম্ভব। সুতরাং কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে আমাদের দেশকে আরও সমৃদ্ধ ও আত্মনির্ভরশীল করার দিকে এগিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
রাকিব হাসান
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ।
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ তরুণ। এই বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীকে দেশের উৎপাদনশীল ও দক্ষ কর্মশক্তিতে পরিণত করতে হলে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। বেকারত্ব সমস্যা নিরসনে প্রভাব রাখবে কারিগরি শিক্ষা। প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় পড়াশোনা শেষ করার পর তরুণরা একটি নির্দিষ্ট চাকরির পেছনে ছুটতে থাকেন। অন্যদিকে কারিগরি শিক্ষা গ্রহণকারী তরুণরা নিজেরা চাকরির সুযোগ সৃষ্টিতে বা উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন করেন। উদাহরণস্বরূপ, গার্মেন্টস শিল্প, নির্মাণ খাত এবং সেবা খাতে দক্ষ কর্মীর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
উন্নয়নশীল দেশের জন্য অর্থনীতি সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষিনির্ভর হলেও বর্তমানে শিল্প খাত ও সেবা খাত ক্রমবর্ধমানভাবে দেশের জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই খাতগুলোতে দক্ষ শ্রমশক্তির চাহিদা রয়েছে। কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত দক্ষতাসম্পন্ন জনবল এই খাতগুলোর উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
কারিগরি শিক্ষার প্রসার ও কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি দক্ষ ও কর্মক্ষম জনশক্তিতে পরিণত হতে পারে। বিশ্বে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব হতে যাচ্ছে। তাই দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনশক্তির বিকল্প নেই। তাই সরকারকে অবশ্যই কারিগরি শিক্ষার মান, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও জনশক্তি রপ্তানিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। এই শিক্ষার মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি নিশ্চিত করা সম্ভব। সুতরাং কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে আমাদের দেশকে আরও সমৃদ্ধ ও আত্মনির্ভরশীল করার দিকে এগিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
রাকিব হাসান
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ।