গাছ আমাদের পরিবেশের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য অক্সিজেন থেকে শুরু করে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, ওষুধের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে গাছ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে। গাছের অবদানের কথা আসলে বলে শেষ করা যাবে না।
একটি দেশের মোট ভূমির ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা উচিত; তবে আমাদের দেশে এর পরিমাণ মাত্রো ১৫ শতাংশ, যা খুবই চিন্তার বিষয়। তবে বর্তমানে অনেকে গাছ লাগানো নিয়ে সচেতন হয়েছে।এক্ষেত্রে আমরা যদি পরিকল্পিতভাবে গাছের অর্থনৈতিক গুরুত্ব পাশাপাশি কোথায় কোন গাছ রোপণ করা উচিত এ বিষয়টা মাথায় রাখি তাহলে আমাদের জন্য বেশি কার্যকরি হবে আশা করি।
প্রথমেই বাসাবাড়িতে আমরা বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ যেমন আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, পেয়ারা, জাম্বুরা, জলপাই ইত্যাদি চারা রোপণ করি তাহলে ফলের চাহিদার পাশাপাশি কাঠ বা জ্বালানির চাহিদাও পূরণ হবে।
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মসজিদ, মন্দির, অফিস, আদালতসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আশপাশে শোভাবর্ধক গাছ যেমন দেবদারু, ঝাউ, পাম, কৃষ্ণচূড়া ইত্যাদি গাছ এবং আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু ইত্যাদি ফলজ গাছ রোপণ করা যেতে পারে।
হাটবাজারে ছায়াদানকারী গাছ যেমন আম, জাম, কাঁঠাল, বট, মেহগনি ইত্যাদি রোপণ করা উচিত। বাড়ির আশপাশের পতিত জমিতে বিভিন্ন রকমের কাঠ উৎপাদনকারী গাছ যেমন মেহগনি, সেগুন, আকাশমনি, কড়ই, কাঁঠাল ইত্যাদি রোপণ করলে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।
রাস্তার দুইপাশে শোভাবর্ধনকারী, উঁচু, ডালপালা ছাঁটাই করা যায় এমন গাছ যেমন মেহগনি, শিশু, সেগুন, আকাশমনি, দেবদারু, ইপিল-ইপিল ইত্যাদি গাছ রোপণ করা যেতে পারে। ফসল উৎপাদন সম্ভব নয় এমন উঁচু পাহাড়ি জমিতে তেলসুর, গামার, সেগুন, শিলকড়ই, চাপালিশ, চিকরাশি ইত্যাদি গাছ রোপণ করলে কাঠের চাহিদা পূরণ হবে। এছাড়া নিচু জমিতে জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে এমন গাছ জারুল, হিজল, কদম, মান্দার ইত্যাদি রোপণ করা উচিত।
যেসব এলাকায় গোখাদ্যে ঘাটতি রয়েছে ওইসব এলাকাতে ফোডার জাতীয় গাছ যেমন মিনজিরি, বাবলা, বকফুল, মান্দার, তুঁত, বকফুল, রোপণ করে এদের পাতা গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। এছাড়া তুঁত গাছ রেশম পোকা উৎপাদনেও ভূমিকা রাখতে পারবে, যা থেকে আমরা সুতা তৈরি করতে পারবো।
এভাবে পরিকল্পিতভাবে এবং উপযুক্ত স্থানে উপযুক্ত গাছ রোপণের মাধ্যমে শুধুমাত্র বনভূমির ঘাটতি পূরণ নয়, জীবনমানের উন্নয়নও করা সম্ভব।
ইতি আক্তার
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
গাছ আমাদের পরিবেশের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য অক্সিজেন থেকে শুরু করে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, ওষুধের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে গাছ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে। গাছের অবদানের কথা আসলে বলে শেষ করা যাবে না।
একটি দেশের মোট ভূমির ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা উচিত; তবে আমাদের দেশে এর পরিমাণ মাত্রো ১৫ শতাংশ, যা খুবই চিন্তার বিষয়। তবে বর্তমানে অনেকে গাছ লাগানো নিয়ে সচেতন হয়েছে।এক্ষেত্রে আমরা যদি পরিকল্পিতভাবে গাছের অর্থনৈতিক গুরুত্ব পাশাপাশি কোথায় কোন গাছ রোপণ করা উচিত এ বিষয়টা মাথায় রাখি তাহলে আমাদের জন্য বেশি কার্যকরি হবে আশা করি।
প্রথমেই বাসাবাড়িতে আমরা বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ যেমন আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, পেয়ারা, জাম্বুরা, জলপাই ইত্যাদি চারা রোপণ করি তাহলে ফলের চাহিদার পাশাপাশি কাঠ বা জ্বালানির চাহিদাও পূরণ হবে।
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মসজিদ, মন্দির, অফিস, আদালতসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আশপাশে শোভাবর্ধক গাছ যেমন দেবদারু, ঝাউ, পাম, কৃষ্ণচূড়া ইত্যাদি গাছ এবং আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু ইত্যাদি ফলজ গাছ রোপণ করা যেতে পারে।
হাটবাজারে ছায়াদানকারী গাছ যেমন আম, জাম, কাঁঠাল, বট, মেহগনি ইত্যাদি রোপণ করা উচিত। বাড়ির আশপাশের পতিত জমিতে বিভিন্ন রকমের কাঠ উৎপাদনকারী গাছ যেমন মেহগনি, সেগুন, আকাশমনি, কড়ই, কাঁঠাল ইত্যাদি রোপণ করলে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।
রাস্তার দুইপাশে শোভাবর্ধনকারী, উঁচু, ডালপালা ছাঁটাই করা যায় এমন গাছ যেমন মেহগনি, শিশু, সেগুন, আকাশমনি, দেবদারু, ইপিল-ইপিল ইত্যাদি গাছ রোপণ করা যেতে পারে। ফসল উৎপাদন সম্ভব নয় এমন উঁচু পাহাড়ি জমিতে তেলসুর, গামার, সেগুন, শিলকড়ই, চাপালিশ, চিকরাশি ইত্যাদি গাছ রোপণ করলে কাঠের চাহিদা পূরণ হবে। এছাড়া নিচু জমিতে জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে এমন গাছ জারুল, হিজল, কদম, মান্দার ইত্যাদি রোপণ করা উচিত।
যেসব এলাকায় গোখাদ্যে ঘাটতি রয়েছে ওইসব এলাকাতে ফোডার জাতীয় গাছ যেমন মিনজিরি, বাবলা, বকফুল, মান্দার, তুঁত, বকফুল, রোপণ করে এদের পাতা গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। এছাড়া তুঁত গাছ রেশম পোকা উৎপাদনেও ভূমিকা রাখতে পারবে, যা থেকে আমরা সুতা তৈরি করতে পারবো।
এভাবে পরিকল্পিতভাবে এবং উপযুক্ত স্থানে উপযুক্ত গাছ রোপণের মাধ্যমে শুধুমাত্র বনভূমির ঘাটতি পূরণ নয়, জীবনমানের উন্নয়নও করা সম্ভব।
ইতি আক্তার