alt

পাঠকের চিঠি

পরিকল্পিতভাবে উপযুক্ত স্থানে গাছ রোপণ করা উচিত

: বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

গাছ আমাদের পরিবেশের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য অক্সিজেন থেকে শুরু করে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, ওষুধের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে গাছ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে। গাছের অবদানের কথা আসলে বলে শেষ করা যাবে না।

একটি দেশের মোট ভূমির ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা উচিত; তবে আমাদের দেশে এর পরিমাণ মাত্রো ১৫ শতাংশ, যা খুবই চিন্তার বিষয়। তবে বর্তমানে অনেকে গাছ লাগানো নিয়ে সচেতন হয়েছে।এক্ষেত্রে আমরা যদি পরিকল্পিতভাবে গাছের অর্থনৈতিক গুরুত্ব পাশাপাশি কোথায় কোন গাছ রোপণ করা উচিত এ বিষয়টা মাথায় রাখি তাহলে আমাদের জন্য বেশি কার্যকরি হবে আশা করি।

প্রথমেই বাসাবাড়িতে আমরা বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ যেমন আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, পেয়ারা, জাম্বুরা, জলপাই ইত্যাদি চারা রোপণ করি তাহলে ফলের চাহিদার পাশাপাশি কাঠ বা জ্বালানির চাহিদাও পূরণ হবে।

বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মসজিদ, মন্দির, অফিস, আদালতসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আশপাশে শোভাবর্ধক গাছ যেমন দেবদারু, ঝাউ, পাম, কৃষ্ণচূড়া ইত্যাদি গাছ এবং আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু ইত্যাদি ফলজ গাছ রোপণ করা যেতে পারে।

হাটবাজারে ছায়াদানকারী গাছ যেমন আম, জাম, কাঁঠাল, বট, মেহগনি ইত্যাদি রোপণ করা উচিত। বাড়ির আশপাশের পতিত জমিতে বিভিন্ন রকমের কাঠ উৎপাদনকারী গাছ যেমন মেহগনি, সেগুন, আকাশমনি, কড়ই, কাঁঠাল ইত্যাদি রোপণ করলে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।

রাস্তার দুইপাশে শোভাবর্ধনকারী, উঁচু, ডালপালা ছাঁটাই করা যায় এমন গাছ যেমন মেহগনি, শিশু, সেগুন, আকাশমনি, দেবদারু, ইপিল-ইপিল ইত্যাদি গাছ রোপণ করা যেতে পারে। ফসল উৎপাদন সম্ভব নয় এমন উঁচু পাহাড়ি জমিতে তেলসুর, গামার, সেগুন, শিলকড়ই, চাপালিশ, চিকরাশি ইত্যাদি গাছ রোপণ করলে কাঠের চাহিদা পূরণ হবে। এছাড়া নিচু জমিতে জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে এমন গাছ জারুল, হিজল, কদম, মান্দার ইত্যাদি রোপণ করা উচিত।

যেসব এলাকায় গোখাদ্যে ঘাটতি রয়েছে ওইসব এলাকাতে ফোডার জাতীয় গাছ যেমন মিনজিরি, বাবলা, বকফুল, মান্দার, তুঁত, বকফুল, রোপণ করে এদের পাতা গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। এছাড়া তুঁত গাছ রেশম পোকা উৎপাদনেও ভূমিকা রাখতে পারবে, যা থেকে আমরা সুতা তৈরি করতে পারবো।

এভাবে পরিকল্পিতভাবে এবং উপযুক্ত স্থানে উপযুক্ত গাছ রোপণের মাধ্যমে শুধুমাত্র বনভূমির ঘাটতি পূরণ নয়, জীবনমানের উন্নয়নও করা সম্ভব।

ইতি আক্তার

স্বেচ্ছাসেবা : একটি জীবন বোধ

শীতকালীন বায়ুদূষণ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা

অবসরের বয়সসীমা বাড়ান

রাস্তা অবরোধ নামক অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে

ছবি

খেলনায় বিষাক্ত ধাতু

জিপিএ-৫ মুখ্য নয়, প্রয়োজন প্রকৃত শিক্ষা

রাষ্ট্রসংস্কারের পূর্বে আত্মসংস্কার প্রয়োজন

আইনশৃৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বেহালদশা

ইজিবাইক ছিনতাই

ছবি

টিসিবির পণ্য : নিম্নআয়ের মানুষের ভোগান্তি

ছবি

উন্নয়নের জন্য কারিগরি শিক্ষা অপরিহার্য

ছবি

ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বন্ধ করুন

সড়ক দুর্ঘটনা

বায়ুদূষণে দমবন্ধ ঢাকা

হলগুলোর খাবারের মান বাড়ান

নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ হবে কবে

মোরেলগঞ্জ পৌরসভার নাগরিক সেবা উন্নয়নে পদক্ষেপ নিন

ছবি

খেজুরের রস

ট্যাগিং সংস্কৃতির অবসান ঘটুক

আবাসন সংকট দূর করুন

আখাউড়া-আগরতলা ট্রেন চালু হবে কি ?

উচ্চশিক্ষা ও বেকারত্ব

ছবি

অবৈধ ইটভাটা : দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক

সংঘাত বন্ধ হোক

ছবি

কবে থামবে নদী দখল?

ছবি

কেমন আছে জাতীয় পাখি দোয়েল?

অতিথি পাখি শিকার নয়

নীরব ভূমিকায় কলেজ প্রশাসন

সড়ক দুর্ঘটনা

সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা কোথায়

ব্রহ্মপুত্রের পাড় হারাচ্ছে সৌন্দর্য

ছবি

সবজির দাম, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য, কৃষকের বঞ্চনা

ছবি

ছাদ বাগান

শিশুশ্রম ও শিশু নির্যাতন

ছবি

মেট্রোরেলের টিকেট ভোগান্তি

tab

পাঠকের চিঠি

পরিকল্পিতভাবে উপযুক্ত স্থানে গাছ রোপণ করা উচিত

বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

গাছ আমাদের পরিবেশের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য অক্সিজেন থেকে শুরু করে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, ওষুধের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে গাছ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে। গাছের অবদানের কথা আসলে বলে শেষ করা যাবে না।

একটি দেশের মোট ভূমির ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা উচিত; তবে আমাদের দেশে এর পরিমাণ মাত্রো ১৫ শতাংশ, যা খুবই চিন্তার বিষয়। তবে বর্তমানে অনেকে গাছ লাগানো নিয়ে সচেতন হয়েছে।এক্ষেত্রে আমরা যদি পরিকল্পিতভাবে গাছের অর্থনৈতিক গুরুত্ব পাশাপাশি কোথায় কোন গাছ রোপণ করা উচিত এ বিষয়টা মাথায় রাখি তাহলে আমাদের জন্য বেশি কার্যকরি হবে আশা করি।

প্রথমেই বাসাবাড়িতে আমরা বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ যেমন আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, পেয়ারা, জাম্বুরা, জলপাই ইত্যাদি চারা রোপণ করি তাহলে ফলের চাহিদার পাশাপাশি কাঠ বা জ্বালানির চাহিদাও পূরণ হবে।

বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মসজিদ, মন্দির, অফিস, আদালতসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আশপাশে শোভাবর্ধক গাছ যেমন দেবদারু, ঝাউ, পাম, কৃষ্ণচূড়া ইত্যাদি গাছ এবং আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু ইত্যাদি ফলজ গাছ রোপণ করা যেতে পারে।

হাটবাজারে ছায়াদানকারী গাছ যেমন আম, জাম, কাঁঠাল, বট, মেহগনি ইত্যাদি রোপণ করা উচিত। বাড়ির আশপাশের পতিত জমিতে বিভিন্ন রকমের কাঠ উৎপাদনকারী গাছ যেমন মেহগনি, সেগুন, আকাশমনি, কড়ই, কাঁঠাল ইত্যাদি রোপণ করলে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।

রাস্তার দুইপাশে শোভাবর্ধনকারী, উঁচু, ডালপালা ছাঁটাই করা যায় এমন গাছ যেমন মেহগনি, শিশু, সেগুন, আকাশমনি, দেবদারু, ইপিল-ইপিল ইত্যাদি গাছ রোপণ করা যেতে পারে। ফসল উৎপাদন সম্ভব নয় এমন উঁচু পাহাড়ি জমিতে তেলসুর, গামার, সেগুন, শিলকড়ই, চাপালিশ, চিকরাশি ইত্যাদি গাছ রোপণ করলে কাঠের চাহিদা পূরণ হবে। এছাড়া নিচু জমিতে জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে এমন গাছ জারুল, হিজল, কদম, মান্দার ইত্যাদি রোপণ করা উচিত।

যেসব এলাকায় গোখাদ্যে ঘাটতি রয়েছে ওইসব এলাকাতে ফোডার জাতীয় গাছ যেমন মিনজিরি, বাবলা, বকফুল, মান্দার, তুঁত, বকফুল, রোপণ করে এদের পাতা গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। এছাড়া তুঁত গাছ রেশম পোকা উৎপাদনেও ভূমিকা রাখতে পারবে, যা থেকে আমরা সুতা তৈরি করতে পারবো।

এভাবে পরিকল্পিতভাবে এবং উপযুক্ত স্থানে উপযুক্ত গাছ রোপণের মাধ্যমে শুধুমাত্র বনভূমির ঘাটতি পূরণ নয়, জীবনমানের উন্নয়নও করা সম্ভব।

ইতি আক্তার

back to top