বাংলাদেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যে বেহালদশা তা পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য অশনি সংকেত। এ ব্যবস্থাপনা থেকে আমাদের উত্তরণ জরুরি। এ বিষয়ে বর্জ্যব্যবস্থাপনা গবেষক ড. মাহমুদা বেগম বাংলাদেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে ৪ ভাগে ভাগ করেন। যথা: ১. গ্রামীণ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ২. পৌর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ৩. শিল্প বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ৪. পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। গ্রামীণ বর্জ্যের অন্যতম হলো ঘর-বাড়ির আবর্জনা, রান্নাবান্নার পরিতাজ্য অংশ। তরকারীর খোসা, মাছের আঁশ। এছাড়া প্লাস্টিক, টিনের কোটা, গরু-ছাগলের গোবর ও মূত্র, কাঁচা ও খোলা পায়খানা প্রভৃতি। যেসব বর্জ্য পচনশীল তা গর্ত করে মাটিতে জমাকরণ করে ঢাকনা দিয়ে দেওয়া, এবং পরবর্তীতে তা জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করা।
যেগুলো পচনশীল বর্জ্য নয় তা জমা করে পুনঃচক্রায়নের মাধ্যমে পুনর্ব্যবহার করে। এতে বার বার একই জাতীয় বর্জ্যের যোগান বৃদ্ধি পাবে না। পোর বর্জ্যের মাঝে অন্যতম হলো বাসাবাড়ির বর্জ্য, বোতল, প্লাস্টিক, গ্যাস, কাঠ, কাঁচ, কংক্রিট, ইট-পাথর, পরিত্যক্ত জামা-কাপড় প্রভৃতি। এসব বর্জ্যরে শ্রেণী পৃথক করে পচনশীল বর্জ্যগুলোকে উপযুক্ত পরিবেশে মাটির গভীরে নিপতিত করা এবং কঠিন ধাতবকে ব্যবহার উপযোগী না হলে বর্জ্য শোধনাগারে প্রেরণ করা। শিল্পকারখানার বর্জ্য সাধারণত নানাবিধ রাসায়নিক পদার্থ, ইঞ্জিন, টারবাইন, বৈদ্যুতিক মোটর, জেনারেটর, গ্রিস, জ্বালানি তেল প্রভৃতি। বিষাক্ত গ্যাসীয় পদার্থ পরিশোধনের মাধ্যমে বাতাসে নিক্ষেপণ করা, তরল ও পচনশীল বর্জ্যগুলো উপযুক্ত পরিবেশে পুতে ফেলা এবং কঠিন পদার্থকে পুনঃচক্রায়নের মাধ্যমে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা। উপরিউক্ত বিষয়ের মতো পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও সচেতন হওয়া জরুরি। এতে করে আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সঙ্গে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের রক্ষার পথ সুগম হবে।
মুহাম্মাদ রিয়াদ উদ্দিন
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যে বেহালদশা তা পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য অশনি সংকেত। এ ব্যবস্থাপনা থেকে আমাদের উত্তরণ জরুরি। এ বিষয়ে বর্জ্যব্যবস্থাপনা গবেষক ড. মাহমুদা বেগম বাংলাদেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে ৪ ভাগে ভাগ করেন। যথা: ১. গ্রামীণ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ২. পৌর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ৩. শিল্প বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ৪. পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। গ্রামীণ বর্জ্যের অন্যতম হলো ঘর-বাড়ির আবর্জনা, রান্নাবান্নার পরিতাজ্য অংশ। তরকারীর খোসা, মাছের আঁশ। এছাড়া প্লাস্টিক, টিনের কোটা, গরু-ছাগলের গোবর ও মূত্র, কাঁচা ও খোলা পায়খানা প্রভৃতি। যেসব বর্জ্য পচনশীল তা গর্ত করে মাটিতে জমাকরণ করে ঢাকনা দিয়ে দেওয়া, এবং পরবর্তীতে তা জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করা।
যেগুলো পচনশীল বর্জ্য নয় তা জমা করে পুনঃচক্রায়নের মাধ্যমে পুনর্ব্যবহার করে। এতে বার বার একই জাতীয় বর্জ্যের যোগান বৃদ্ধি পাবে না। পোর বর্জ্যের মাঝে অন্যতম হলো বাসাবাড়ির বর্জ্য, বোতল, প্লাস্টিক, গ্যাস, কাঠ, কাঁচ, কংক্রিট, ইট-পাথর, পরিত্যক্ত জামা-কাপড় প্রভৃতি। এসব বর্জ্যরে শ্রেণী পৃথক করে পচনশীল বর্জ্যগুলোকে উপযুক্ত পরিবেশে মাটির গভীরে নিপতিত করা এবং কঠিন ধাতবকে ব্যবহার উপযোগী না হলে বর্জ্য শোধনাগারে প্রেরণ করা। শিল্পকারখানার বর্জ্য সাধারণত নানাবিধ রাসায়নিক পদার্থ, ইঞ্জিন, টারবাইন, বৈদ্যুতিক মোটর, জেনারেটর, গ্রিস, জ্বালানি তেল প্রভৃতি। বিষাক্ত গ্যাসীয় পদার্থ পরিশোধনের মাধ্যমে বাতাসে নিক্ষেপণ করা, তরল ও পচনশীল বর্জ্যগুলো উপযুক্ত পরিবেশে পুতে ফেলা এবং কঠিন পদার্থকে পুনঃচক্রায়নের মাধ্যমে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা। উপরিউক্ত বিষয়ের মতো পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও সচেতন হওয়া জরুরি। এতে করে আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সঙ্গে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের রক্ষার পথ সুগম হবে।
মুহাম্মাদ রিয়াদ উদ্দিন
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়