alt

পাঠকের চিঠি

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বেহালদশা

: বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যে বেহালদশা তা পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য অশনি সংকেত। এ ব্যবস্থাপনা থেকে আমাদের উত্তরণ জরুরি। এ বিষয়ে বর্জ্যব্যবস্থাপনা গবেষক ড. মাহমুদা বেগম বাংলাদেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে ৪ ভাগে ভাগ করেন। যথা: ১. গ্রামীণ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ২. পৌর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ৩. শিল্প বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ৪. পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। গ্রামীণ বর্জ্যের অন্যতম হলো ঘর-বাড়ির আবর্জনা, রান্নাবান্নার পরিতাজ্য অংশ। তরকারীর খোসা, মাছের আঁশ। এছাড়া প্লাস্টিক, টিনের কোটা, গরু-ছাগলের গোবর ও মূত্র, কাঁচা ও খোলা পায়খানা প্রভৃতি। যেসব বর্জ্য পচনশীল তা গর্ত করে মাটিতে জমাকরণ করে ঢাকনা দিয়ে দেওয়া, এবং পরবর্তীতে তা জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করা।

যেগুলো পচনশীল বর্জ্য নয় তা জমা করে পুনঃচক্রায়নের মাধ্যমে পুনর্ব্যবহার করে। এতে বার বার একই জাতীয় বর্জ্যের যোগান বৃদ্ধি পাবে না। পোর বর্জ্যের মাঝে অন্যতম হলো বাসাবাড়ির বর্জ্য, বোতল, প্লাস্টিক, গ্যাস, কাঠ, কাঁচ, কংক্রিট, ইট-পাথর, পরিত্যক্ত জামা-কাপড় প্রভৃতি। এসব বর্জ্যরে শ্রেণী পৃথক করে পচনশীল বর্জ্যগুলোকে উপযুক্ত পরিবেশে মাটির গভীরে নিপতিত করা এবং কঠিন ধাতবকে ব্যবহার উপযোগী না হলে বর্জ্য শোধনাগারে প্রেরণ করা। শিল্পকারখানার বর্জ্য সাধারণত নানাবিধ রাসায়নিক পদার্থ, ইঞ্জিন, টারবাইন, বৈদ্যুতিক মোটর, জেনারেটর, গ্রিস, জ্বালানি তেল প্রভৃতি। বিষাক্ত গ্যাসীয় পদার্থ পরিশোধনের মাধ্যমে বাতাসে নিক্ষেপণ করা, তরল ও পচনশীল বর্জ্যগুলো উপযুক্ত পরিবেশে পুতে ফেলা এবং কঠিন পদার্থকে পুনঃচক্রায়নের মাধ্যমে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা। উপরিউক্ত বিষয়ের মতো পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও সচেতন হওয়া জরুরি। এতে করে আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সঙ্গে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের রক্ষার পথ সুগম হবে।

মুহাম্মাদ রিয়াদ উদ্দিন

শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

স্বেচ্ছাসেবা : একটি জীবন বোধ

শীতকালীন বায়ুদূষণ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা

অবসরের বয়সসীমা বাড়ান

রাস্তা অবরোধ নামক অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে

ছবি

খেলনায় বিষাক্ত ধাতু

জিপিএ-৫ মুখ্য নয়, প্রয়োজন প্রকৃত শিক্ষা

রাষ্ট্রসংস্কারের পূর্বে আত্মসংস্কার প্রয়োজন

আইনশৃৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

পরিকল্পিতভাবে উপযুক্ত স্থানে গাছ রোপণ করা উচিত

ইজিবাইক ছিনতাই

ছবি

টিসিবির পণ্য : নিম্নআয়ের মানুষের ভোগান্তি

ছবি

উন্নয়নের জন্য কারিগরি শিক্ষা অপরিহার্য

ছবি

ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বন্ধ করুন

সড়ক দুর্ঘটনা

বায়ুদূষণে দমবন্ধ ঢাকা

হলগুলোর খাবারের মান বাড়ান

নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ হবে কবে

মোরেলগঞ্জ পৌরসভার নাগরিক সেবা উন্নয়নে পদক্ষেপ নিন

ছবি

খেজুরের রস

ট্যাগিং সংস্কৃতির অবসান ঘটুক

আবাসন সংকট দূর করুন

আখাউড়া-আগরতলা ট্রেন চালু হবে কি ?

উচ্চশিক্ষা ও বেকারত্ব

ছবি

অবৈধ ইটভাটা : দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক

সংঘাত বন্ধ হোক

ছবি

কবে থামবে নদী দখল?

ছবি

কেমন আছে জাতীয় পাখি দোয়েল?

অতিথি পাখি শিকার নয়

নীরব ভূমিকায় কলেজ প্রশাসন

সড়ক দুর্ঘটনা

সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা কোথায়

ব্রহ্মপুত্রের পাড় হারাচ্ছে সৌন্দর্য

ছবি

সবজির দাম, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য, কৃষকের বঞ্চনা

ছবি

ছাদ বাগান

শিশুশ্রম ও শিশু নির্যাতন

ছবি

মেট্রোরেলের টিকেট ভোগান্তি

tab

পাঠকের চিঠি

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বেহালদশা

বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যে বেহালদশা তা পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য অশনি সংকেত। এ ব্যবস্থাপনা থেকে আমাদের উত্তরণ জরুরি। এ বিষয়ে বর্জ্যব্যবস্থাপনা গবেষক ড. মাহমুদা বেগম বাংলাদেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে ৪ ভাগে ভাগ করেন। যথা: ১. গ্রামীণ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ২. পৌর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ৩. শিল্প বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ৪. পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। গ্রামীণ বর্জ্যের অন্যতম হলো ঘর-বাড়ির আবর্জনা, রান্নাবান্নার পরিতাজ্য অংশ। তরকারীর খোসা, মাছের আঁশ। এছাড়া প্লাস্টিক, টিনের কোটা, গরু-ছাগলের গোবর ও মূত্র, কাঁচা ও খোলা পায়খানা প্রভৃতি। যেসব বর্জ্য পচনশীল তা গর্ত করে মাটিতে জমাকরণ করে ঢাকনা দিয়ে দেওয়া, এবং পরবর্তীতে তা জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করা।

যেগুলো পচনশীল বর্জ্য নয় তা জমা করে পুনঃচক্রায়নের মাধ্যমে পুনর্ব্যবহার করে। এতে বার বার একই জাতীয় বর্জ্যের যোগান বৃদ্ধি পাবে না। পোর বর্জ্যের মাঝে অন্যতম হলো বাসাবাড়ির বর্জ্য, বোতল, প্লাস্টিক, গ্যাস, কাঠ, কাঁচ, কংক্রিট, ইট-পাথর, পরিত্যক্ত জামা-কাপড় প্রভৃতি। এসব বর্জ্যরে শ্রেণী পৃথক করে পচনশীল বর্জ্যগুলোকে উপযুক্ত পরিবেশে মাটির গভীরে নিপতিত করা এবং কঠিন ধাতবকে ব্যবহার উপযোগী না হলে বর্জ্য শোধনাগারে প্রেরণ করা। শিল্পকারখানার বর্জ্য সাধারণত নানাবিধ রাসায়নিক পদার্থ, ইঞ্জিন, টারবাইন, বৈদ্যুতিক মোটর, জেনারেটর, গ্রিস, জ্বালানি তেল প্রভৃতি। বিষাক্ত গ্যাসীয় পদার্থ পরিশোধনের মাধ্যমে বাতাসে নিক্ষেপণ করা, তরল ও পচনশীল বর্জ্যগুলো উপযুক্ত পরিবেশে পুতে ফেলা এবং কঠিন পদার্থকে পুনঃচক্রায়নের মাধ্যমে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা। উপরিউক্ত বিষয়ের মতো পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও সচেতন হওয়া জরুরি। এতে করে আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সঙ্গে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের রক্ষার পথ সুগম হবে।

মুহাম্মাদ রিয়াদ উদ্দিন

শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

back to top