রাষ্ট্রের জনজীবনের সমস্ত ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করা যায় কিন্তু মিথ্যা মানব মনের ধৃষ্টতা অপসারণ করা যায় না। জাতির কল্যাণ আসে মানবপ্রেম থেকে, হৃদয়ের শৃঙ্খল মিছিল থেকে। শ্রম, ত্যাগ আর নিষ্ঠা এই তিত গুণ কে অস্বীকার করে আসামির পথকে মসৃণ করা যাবে না। বাঙালির ক্ষুধার জন্য একটা মহাবৃহৎ পেট ও মন আছে মৃত্যুর সাইরেন বেজে উঠা অবধি সেটি অপূর্ণ থাকাতেই সাচ্ছন্দ্য বোধ করে। যতদিন যাবে মানুষ যদি তার মনের সংস্কার না করে তবে বাড়তেই থাকবে দুঃশাসন আর হানাহানির রক্ত দিয়ে লেখা গান, কবিতা, কোরাস, আর স্নেহহীন বর্ণমালা।
সব মানুষের হৃদয় যদি সৎ হয়, সংগ্রামী হয় তাহলে রাষ্ট্র হবে সমুন্নত বিদ্যালয়। তখন আর রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য এতো দাপাদাপি করে সমাজ খর্ব করা লাগবে না। আজ যা হবে আগামীতে তার দ্বিগুণ প্রভাব পুনর্জন্ম লাভ করবে তাই বর্তমান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি রাষ্ট্র একদিনে ধ্বংস হয় না কিন্তু দুষ্ট মনের পতন হতে এক সেকেন্ড ও লাগে না। মানুষ সংস্কারের দাবিতে হৃদয়ের পরিশুদ্ধ গণজাগরণ সৃষ্টি করাই আমাদের প্রধান বিপ্লব। মনের বিরুদ্ধে বিপ্লব হয় না হয় ক্ষমতার রদবদল। জরা-জীর্ণ মিথ্যা, অসৎ হৃদয় থেকে যে বিপ্লব আসে সে বিপ্লব অকেজো, প্রাণহীন,গন্ত ব্যহীন। সেজন্যই আমি মনের বিপ্লব ডাকতে চাই সবার আগে। ঝরে পড়া রাষ্ট্র সাজিয়ে তোলার আগে নিজেকে আবিষ্কার করতে হয় সত্য ও ন্যায়ের মহাগ্রন্থের সেই সৎ ‘আমি’ হয়ে।
মানবপুরাণের সব আশীর্বাদ রাষ্ট্রের জয়গানে ভক্তি আনে দেশমাতৃকার পুঁজো আর প্রার্থনায়। রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শক্তি সেই মানব মনের প্রতি লক্ষ কোটি সম্মান আর শ্রদ্ধা নিবেদন। রাষ্ট্রের উপর জনগণের যেমন প্রত্যাশা থাকে ঠিক জনগণের উপর রাষ্ট্রের ও তেমন প্রত্যাশা থাকে। মানব হৃদয়ের অপূরণীয় ক্ষুধা-তৃষ্ণাটুকু শুধু অবাঞ্ছিত সামাজিক অপরাধ হয়ে থেকে যায়। যা প্রাণ-স্পর্শী, গৌরবময় ও সুষমাম-িত দর্শন, কলা, বিজ্ঞান, সাহিত্য জীবন, ধর্মতত্ত্ব, অর্থনীতি ইত্যাদির জ্ঞানার্জন অন্ত রায় হয়ে দাঁড়ায়।
ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়
আক্কেলপুর, জয়পুরহাট
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
রাষ্ট্রের জনজীবনের সমস্ত ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করা যায় কিন্তু মিথ্যা মানব মনের ধৃষ্টতা অপসারণ করা যায় না। জাতির কল্যাণ আসে মানবপ্রেম থেকে, হৃদয়ের শৃঙ্খল মিছিল থেকে। শ্রম, ত্যাগ আর নিষ্ঠা এই তিত গুণ কে অস্বীকার করে আসামির পথকে মসৃণ করা যাবে না। বাঙালির ক্ষুধার জন্য একটা মহাবৃহৎ পেট ও মন আছে মৃত্যুর সাইরেন বেজে উঠা অবধি সেটি অপূর্ণ থাকাতেই সাচ্ছন্দ্য বোধ করে। যতদিন যাবে মানুষ যদি তার মনের সংস্কার না করে তবে বাড়তেই থাকবে দুঃশাসন আর হানাহানির রক্ত দিয়ে লেখা গান, কবিতা, কোরাস, আর স্নেহহীন বর্ণমালা।
সব মানুষের হৃদয় যদি সৎ হয়, সংগ্রামী হয় তাহলে রাষ্ট্র হবে সমুন্নত বিদ্যালয়। তখন আর রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য এতো দাপাদাপি করে সমাজ খর্ব করা লাগবে না। আজ যা হবে আগামীতে তার দ্বিগুণ প্রভাব পুনর্জন্ম লাভ করবে তাই বর্তমান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি রাষ্ট্র একদিনে ধ্বংস হয় না কিন্তু দুষ্ট মনের পতন হতে এক সেকেন্ড ও লাগে না। মানুষ সংস্কারের দাবিতে হৃদয়ের পরিশুদ্ধ গণজাগরণ সৃষ্টি করাই আমাদের প্রধান বিপ্লব। মনের বিরুদ্ধে বিপ্লব হয় না হয় ক্ষমতার রদবদল। জরা-জীর্ণ মিথ্যা, অসৎ হৃদয় থেকে যে বিপ্লব আসে সে বিপ্লব অকেজো, প্রাণহীন,গন্ত ব্যহীন। সেজন্যই আমি মনের বিপ্লব ডাকতে চাই সবার আগে। ঝরে পড়া রাষ্ট্র সাজিয়ে তোলার আগে নিজেকে আবিষ্কার করতে হয় সত্য ও ন্যায়ের মহাগ্রন্থের সেই সৎ ‘আমি’ হয়ে।
মানবপুরাণের সব আশীর্বাদ রাষ্ট্রের জয়গানে ভক্তি আনে দেশমাতৃকার পুঁজো আর প্রার্থনায়। রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শক্তি সেই মানব মনের প্রতি লক্ষ কোটি সম্মান আর শ্রদ্ধা নিবেদন। রাষ্ট্রের উপর জনগণের যেমন প্রত্যাশা থাকে ঠিক জনগণের উপর রাষ্ট্রের ও তেমন প্রত্যাশা থাকে। মানব হৃদয়ের অপূরণীয় ক্ষুধা-তৃষ্ণাটুকু শুধু অবাঞ্ছিত সামাজিক অপরাধ হয়ে থেকে যায়। যা প্রাণ-স্পর্শী, গৌরবময় ও সুষমাম-িত দর্শন, কলা, বিজ্ঞান, সাহিত্য জীবন, ধর্মতত্ত্ব, অর্থনীতি ইত্যাদির জ্ঞানার্জন অন্ত রায় হয়ে দাঁড়ায়।
ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়
আক্কেলপুর, জয়পুরহাট