সংস্কৃতি আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ; কিন্তু সম্প্রতি সংস্কৃতির আমূল পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সুস্থ সংস্কৃতি আমাদের জীবনকে সজীব ও প্রাণবন্ত করে তোলে। অপরদিকে অপসংস্কৃতির সামাজিক একটি ব্যাধি হয়ে দাঁড়ায়। বর্তমানে আমাদের দেশের একটি অপসংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে রাস্তা অবরোধ করা; যার ফলে সাধারণ মানুষের চলার পথে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া তিতুমীর কলেজের ঘটনাটি আমাদের সামনে একটি বড় উদাহরণ। তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। ট্রেন যখন তার নির্দিষ্ট গতিপথ অনুযায়ী ছুটে আসে তখন একটা সময় আন্দলোনকারী শিক্ষার্থীরা এলোপাতাড়িভাবে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করতে শুরু করে। যাত্রীরা অনেকে পাথরের আঘাতে আহত হয়। এমনকি সেই পাথরের আঘাত থেকে রক্ষা পাইনি শিশু বৃদ্ধরাও। শুধু শিক্ষার্থী নয়, সবাই শ্রেণীর মানুষের রাস্তা অবরোধ করে দাবি আদায় একটা সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেটার খারাপ দিক বিবেচনা করে আমরা অপসংস্কৃতি বলতে পারি। আমাদের এমন সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত এবং ভিন্ন উপায়ে আমাদের দাবিসমূহ উপস্থাপন করা উচিত। যেখানে শিক্ষার্থীদের তাদের দাবি যৌক্তিক দাবি আদায় হবে এবং সাধারণ মানুষকেও আর ভোগান্তি পোহাতে হবে না। প্রবাদে আছে যে, ‘সাপও মরবে, লাঠিও ভাঙবে না।’
রাস্তা অবরোধ সংস্কৃতি বন্ধ করার জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা ও কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ। সরকার ও আইনকৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচিত এর বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া আদায়ের নির্দিষ্ট নিয়মের ভিতর থেকে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
তরুণদের মাধ্যমে আমাদের দেশে সুন্দর একটি সংস্কৃতি ফিরে আসুক; রাস্তা অবরোধের মতো অসুস্থ সংস্কৃতির কবর রচনা করা হোক। সুন্দর দেশ গঠনেরে ক্ষেত্রে সুস্থ সংস্কৃতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখন থেকে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, রাস্তা অবরোধ ছাড়া ভিন্ন উপায়ে আমাদের দাবী গুলো তুলে ধরতে হবে। যাতে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের ভোগান্তি না হয়। সময় এসেছে রাস্তা অবরোধ সংস্কৃতি বন্ধ করার এবং প্রতিবাদের বিকল্প ও ইতিবাচক পন্থা খুঁজে বের করার। একমাত্র জনসচেতনতা ও সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আমরা এই সমস্যার সমাধান করতে পারি।
ইমরান ফয়সাল
ঢাকা
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
সংস্কৃতি আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ; কিন্তু সম্প্রতি সংস্কৃতির আমূল পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সুস্থ সংস্কৃতি আমাদের জীবনকে সজীব ও প্রাণবন্ত করে তোলে। অপরদিকে অপসংস্কৃতির সামাজিক একটি ব্যাধি হয়ে দাঁড়ায়। বর্তমানে আমাদের দেশের একটি অপসংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে রাস্তা অবরোধ করা; যার ফলে সাধারণ মানুষের চলার পথে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া তিতুমীর কলেজের ঘটনাটি আমাদের সামনে একটি বড় উদাহরণ। তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। ট্রেন যখন তার নির্দিষ্ট গতিপথ অনুযায়ী ছুটে আসে তখন একটা সময় আন্দলোনকারী শিক্ষার্থীরা এলোপাতাড়িভাবে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করতে শুরু করে। যাত্রীরা অনেকে পাথরের আঘাতে আহত হয়। এমনকি সেই পাথরের আঘাত থেকে রক্ষা পাইনি শিশু বৃদ্ধরাও। শুধু শিক্ষার্থী নয়, সবাই শ্রেণীর মানুষের রাস্তা অবরোধ করে দাবি আদায় একটা সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেটার খারাপ দিক বিবেচনা করে আমরা অপসংস্কৃতি বলতে পারি। আমাদের এমন সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত এবং ভিন্ন উপায়ে আমাদের দাবিসমূহ উপস্থাপন করা উচিত। যেখানে শিক্ষার্থীদের তাদের দাবি যৌক্তিক দাবি আদায় হবে এবং সাধারণ মানুষকেও আর ভোগান্তি পোহাতে হবে না। প্রবাদে আছে যে, ‘সাপও মরবে, লাঠিও ভাঙবে না।’
রাস্তা অবরোধ সংস্কৃতি বন্ধ করার জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা ও কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ। সরকার ও আইনকৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচিত এর বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া আদায়ের নির্দিষ্ট নিয়মের ভিতর থেকে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
তরুণদের মাধ্যমে আমাদের দেশে সুন্দর একটি সংস্কৃতি ফিরে আসুক; রাস্তা অবরোধের মতো অসুস্থ সংস্কৃতির কবর রচনা করা হোক। সুন্দর দেশ গঠনেরে ক্ষেত্রে সুস্থ সংস্কৃতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখন থেকে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, রাস্তা অবরোধ ছাড়া ভিন্ন উপায়ে আমাদের দাবী গুলো তুলে ধরতে হবে। যাতে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের ভোগান্তি না হয়। সময় এসেছে রাস্তা অবরোধ সংস্কৃতি বন্ধ করার এবং প্রতিবাদের বিকল্প ও ইতিবাচক পন্থা খুঁজে বের করার। একমাত্র জনসচেতনতা ও সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আমরা এই সমস্যার সমাধান করতে পারি।
ইমরান ফয়সাল
ঢাকা