আশির দশকের শেষ দিকের কথা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের ক্যাম্পাসগুলো তখন উত্তপ্ত। স্বৈরশাসক এরশাদবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলন পরিণতির দিকে এগিয়ে চলেছে। সোহরাওয়ার্দী
‘সংবাদ’-এর ৭৫তম প্রতিষ্ঠা-বার্ষিকী উপলক্ষে কিছু লিখতে গিয়ে বারবার পত্রিকার সাবেক সম্পাদক জহুর হোসেন চৌধুরীর কথা মনে পড়ছে। সংবাদপত্র জগতের কিংবদন্তি জহুর হোসেন
‘সত্যকে আংশিকভাবে দেখিলে অনেক সময়ে তাহা মিথ্যার রূপান্তর ধারণ করে।’ আবার এও তো সত্য যে সত্যকে সবসময় সর্বতোভাবে দেখা বা উপলব্ধি করা যায় না। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতির
বিগত পঁচাত্তর বছরে বাঙালির সাংস্কৃতিক জাগরণের ক্ষেত্রে প্রথমেই যেটা বলতে হয়, অন্নদাশঙ্কর রায়দের প্রজন্মে বায়োলজিক্যাল অবস্থিতির পর এপার বাংলায় অখ- বাঙালি জাতিসত্তার
সংবাদ বয়সের দিক থেকে বেশ পরিণত। ৭৫ বছর মানে রতœ জয়ন্তীর শুভ সময়! আমিও পরিণত। তবে প্রিয় সংবাদের চেয়ে বয়সে ১৩ বছর কম আমার। শত প্রতিবন্ধকতা ও সীমাবদ্ধতার
১৯৪৭ সালে র্যাডক্লিফ সাহেব পাঞ্জাব ও বাংলাকে ধর্মের ভিত্তিতে মানচিত্রে রেখা টেনে বিভক্ত করে দেন দুটি ভাগে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের অংশটির নাম হয় পাকিস্তান ও সংখ্যাগরিষ্ঠ
দূর শৈশবেই সংবাদ-এর সঙ্গে পরিচয়। যতদূর মনে পড়ে ১৯৬২ সালে আমার আলিনগর প্রাইমারি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণির সহপাঠী অমূল্য পোদ্দারদের বাসায় প্রথম এই পত্রিকাটি দেখি। তখন গ্রামের
‘দৈনিক সংবাদের’ কথা মনে হলেই আমাদের সেই শৈশব, কৈশোর ও যুবা বয়সের সময়গুলোর কথা মনে পড়ে যায়। একই সঙ্গে
‘সংবাদ’ আর আমি সমান বয়সী, এজন্য পত্রিকাটির সঙ্গে আমার একটা একাত্মবোধ আছে। আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি, যদিও এর সাথে আমার প্রত্যক্ষ পরিচয় ঘটে ষাটের দশকে, যখন
আমাদের দেশে ক্ষমতার হস্তান্তর বহুবার ও নানাভাবে ঘটেছে; কিন্তু ক্ষমতার প্রকৃত রূপান্তর এখনো ঘটেনি। ব্রিটিশ আসার আগে রাজা-বাদশাহদের একজনের কাছ থেকে আরেকজনের কাছে হস্তান্তরিত