নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে হাজারো মানুষের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে রোববার সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রায় রঙিন হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। পাখি, হাতি ও ভোঁদরের পাশাপাশি পাঁচটি বড় মোটিফের সঙ্গে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের সাজ-পোশাকেও ছিল বৈশাখ উদযাপনের রঙ। সকালে রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকের তালে তালে শাহবাগ মোড় হয়ে শিশুপার্কের সামনে দিয়ে ঘুরে ফের শাহবাগ হয়ে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়। এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রায় পাখি, হাতি ও ভোঁদরের পাশাপাশি ছিল ভিন্ন আরেকটি মোটিফ। চাকার মধ্যে ফুল দিয়ে একটি শিল্পকর্ম তৈরি করা হয়। রিকশার চিত্রকর্মকে প্রাধান্য দিয়ে বানানো হয় এই মোটিফ। রিকশার চাকা এবং রিকশার সামনে যে ফুল থাকে, সেটি বানানো হয়েছে মোটিফ আকারে। এছাড়া একটি শিশুর হাতে পাখা- এরকম একটি বড় মোটিফ ছিল এবার। মোট পাঁচটি বড় মোটিফের সঙ্গে অনেকেরই হাতে ছিল নানা রঙের ছোট ছোট শিল্পকর্ম। এবার প্রথমবারের মত জীবনানন্দ দাশের ‘তিমির হননের গান’ কবিতা থেকে ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’ প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়। ২০১৬ সালে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতিও পায় এ কর্মসূচি। এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনের প্রস্তুতির দায়িত্ব পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ২৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ।