alt

অর্থ-বাণিজ্য

ই-কমার্স, ডেসটিনি ও যুবক

গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণের বিষয় ভাবছে সরকার

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১

ই-কমার্স, ডেসটিনি, যুবকসহ বিভিন্ন এমএলএম প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার বিষয়ে ইতিবাচক ভাবে ভাবছে সরকার। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) ইপিবির সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ই-কমার্স, ডেসটিনি, যুবকসহ সার্বিক বিষয়ে সরকার পজিটিভলি চেষ্টা করছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের কোন ব্যবস্থা করা যাবে কি না সে বিষয়ে দেখা হচ্ছে। ডেসটিনির সম্পদ আছে। তাদের সম্পদ কত ও দায় কত সেটা জেনে দেখবো কী করা যায়। অর্থ মন্ত্রণালয় রয়েছে, কোর্টের বিষয় আছে। আমরা ইতিবাচক ভাবে দেখবো। তবে যাদের সম্পদই নেই, সেই টাকা কীভাবে দেব, এ বিষয়ে যৌথভাবে কাজ করতে হবে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে বিভিন্ন কথা আসে, তাদের যদি আরও ব্যবসা করতে দেয়া হতো। যুবক, ডেসটিনি ও পুরোনো সমস্যাসহ নতুন যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে সব বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি। তবে অবশ্যই গ্রাহকদের সচেতন হতে হবে, তারা যেন দুই টাকার পণ্য এক টাকা দিয়ে কিনতে লোভ না করে। এ বিষয়ে প্রচার-প্রচারণা বাড়ানোর পরামর্শ দেন।’

সরকারের অনেক প্রচার-প্রচারণায় ইভ্যালির অংশগ্রহণ ছিল, এটা দেখে গ্রাহক আকৃষ্ট হয়েছে, এ দায় সরকার নেবে কি না প্রশ্ন করা হলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বড় প্লাটফর্ম করেছিল, সেখানে সরকারের প্রচারণা ছিল। মামলার আগ পর্যন্ত কাউকে দোষী করা যায় না। এখন থেকে তাদের সঙ্গে কেন কিছু হবে না। সরকারি নিয়ম মেনেই চলবে।’

এখনও অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অনৈতিকভাবে বিভিন্ন অফার দিয়ে ব্যবসা করছে, তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘৮ থেকে ১০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নামে এমন অভিযোগ। দেশে ছোট, মাঝারি, বড়, ৩০ হাজার ই-কমার্স রয়েছে। এই ৮-১০টি কোম্পানির জন্য পুরো খাত ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না। এখন একটা শিক্ষা হয়েছে, নতুন আইন হয়েছে। ফান্ড তারা নিতে পারবে না। কোন কিছু কেনার জন্য এখন ফান্ড এক জায়গায় জমা থাকবে। পণ্য ডেলিভারি হওয়ার পর এই ফান্ড ডিজবার্স হবে।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘ই-কমার্সের কারণে অনেক গ্রাহকের অর্থ নষ্ট হয়েছে। এখন অনেককে বলতে শোনা যাচ্ছে, যাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে তাদের যদি ব্যবসা করতে দিয়ে কঠিনভাবে পর্যবেক্ষণ করা হতো, তাহলে কিছুটা ক্ষতি কাভার করতে পারতো। এ ধরনের সাজেশন আসছে। এ বিষয়গুলো কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।’

জেলখানায় নেয়া সমাধান নয় জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সার্বিক বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করছি। আমরাসহ চার মন্ত্রণালয় (অর্থ, বাণিজ্য, আইন ও স্বরাষ্ট্র) বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি। তাদের অবস্থান নির্ণয় করা হচ্ছে, কোন উন্নতি করা যায় কি না, সে বিষয়ে দেখা হচ্ছে। ই-কমার্স ডেসটিনিসহ পুরোনো সমস্যা ও নতুন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে। কিভাবে এটা সমাধান করা যায়। অনেক বড় গ্রুপ অব কোম্পানি বিনিয়োগ করতে চেয়ে ছিল, কিন্তু নেতিবাচক এসব ঘটনার কারণে তারা সরে দাঁড়িয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ই-কমার্সের কারণে অনেক গ্রাহকের অর্থ নষ্ট হয়েছে। এখন অনেককে বলতে শোনা যাচ্ছে, যাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে তাদের যদি ব্যবসা করতে দিয়ে কঠিনভাবে অবজারবেশন করা হতো তাহলে কিছুটা ক্ষতি কাভার করতে পারতো। এ ধরনের সাজেশন আসছে। এ বিষয়গুলো কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। আমরা সার্বিক বিষয়গুলো অবজারভেশন করছি। আমরাসহ চার মন্ত্রণালয় (অর্থ, বাণিজ্য, আইন ও স্বরাষ্ট্র) বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি। তাদের অবস্থান নির্ণয় করা হচ্ছে, কোনো উন্নতি করা যায় কিনা সে বিষয়ে দেখা হচ্ছে।’

ছবি

সবজির বাজার অপরিবর্তিত, তবে কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের নির্বিঘ্ন প্রবেশাধিকার দাবি ডিআরইউর

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা স্বেচ্ছাচারিতামূলক আচরণ: টিআইবি

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রন আনতে বাংলাদেশের পদক্ষেপগুলো সঠিক : আইএমএফ

ছবি

বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন পাঁচ ও ভারত নয়ে

ছবি

বিআইসিএমের উদ্যোগে হবে পুঁজিবাজার সম্মেলন

ছবি

যমুনা ব্যাংক ও ডেল্টা লাইফের মধ্যে চুক্তি

ছবি

সোনার দাম আরও কমলো

ছবি

ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন মোঃ নুরুল ইসলাম মজুমদার

ছবি

রিজার্ভ কমায় উদ্বেগ ও আতঙ্ক বাড়ছে

ছবি

তড়িঘড়ি ব্যাংক একীভূতকরণ খেলাপিদের দায়মুক্তির নতুন মুখোশ: টিআইবি

ছবি

হঠাৎ ঝলকের পর আবার পতন, বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

পদত্যাগ করেছেন পদ্মা ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ

ঈদের পর শেয়ারবাজার কিছুটা ভালো হতে শুরু করেছে

ছবি

দিনাজপুরে বাঁশ ফুলের চাল তৈরি

ছবি

অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি মারা গেছেন

ছবি

বিআইপিডি’র অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করছে : এফএফআইএল

ছবি

চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর

ছবি

রাজধানীতে ঈদের পরও চড়া সবজির বাজার

ছবি

সয়াবিন তেলের লিটার প্রতি দাম বাড়ল ৪ টাকা

ছবি

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

ছবি

ব্যাংক এশিয়া কিনবে পাকিস্তানি ব্যাংক আলফালাহর বাংলাদেশ অংশ

ছবি

এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ

ছবি

একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় থাকা ব্যাংক চাইলে সরে যেতে পারবে, তবে শর্তসাপেক্ষে : কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

পণ্যের দাম ঠিক রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী

ছবি

একীভূত ব্যাংক : পাঁচটির বাইরে আপাতত আর না

ছবি

ঈদে মানুষের মাঝে স্বস্তি দেখেছি : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বিশ্ব ব্যাংকের চেয়ে বেশি দেখছে এডিবি

ছবি

মার্চে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮১ শতাংশ

ছবি

ঈদের আগে পাঁচ দিনে দেশে এলো ৪৬ কোটি ডলার

ছবি

শিল্পাঞ্চলের বাইরের কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুৎ আর নয়, পাবেনা ঋণও

এবার ঈদে পর্যটন খাত চাঙ্গা হওয়ার আশা

ছবি

জাতীয় লজিস্টিক নীতির খসড়ার অনুমোদন

সোনালীতে একীভূত হচ্ছে বিডিবিএল

ছবি

সোনার দাম আবার বাড়লো, ভরি ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা

tab

অর্থ-বাণিজ্য

ই-কমার্স, ডেসটিনি ও যুবক

গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণের বিষয় ভাবছে সরকার

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১

ই-কমার্স, ডেসটিনি, যুবকসহ বিভিন্ন এমএলএম প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার বিষয়ে ইতিবাচক ভাবে ভাবছে সরকার। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) ইপিবির সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ই-কমার্স, ডেসটিনি, যুবকসহ সার্বিক বিষয়ে সরকার পজিটিভলি চেষ্টা করছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের কোন ব্যবস্থা করা যাবে কি না সে বিষয়ে দেখা হচ্ছে। ডেসটিনির সম্পদ আছে। তাদের সম্পদ কত ও দায় কত সেটা জেনে দেখবো কী করা যায়। অর্থ মন্ত্রণালয় রয়েছে, কোর্টের বিষয় আছে। আমরা ইতিবাচক ভাবে দেখবো। তবে যাদের সম্পদই নেই, সেই টাকা কীভাবে দেব, এ বিষয়ে যৌথভাবে কাজ করতে হবে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে বিভিন্ন কথা আসে, তাদের যদি আরও ব্যবসা করতে দেয়া হতো। যুবক, ডেসটিনি ও পুরোনো সমস্যাসহ নতুন যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে সব বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি। তবে অবশ্যই গ্রাহকদের সচেতন হতে হবে, তারা যেন দুই টাকার পণ্য এক টাকা দিয়ে কিনতে লোভ না করে। এ বিষয়ে প্রচার-প্রচারণা বাড়ানোর পরামর্শ দেন।’

সরকারের অনেক প্রচার-প্রচারণায় ইভ্যালির অংশগ্রহণ ছিল, এটা দেখে গ্রাহক আকৃষ্ট হয়েছে, এ দায় সরকার নেবে কি না প্রশ্ন করা হলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বড় প্লাটফর্ম করেছিল, সেখানে সরকারের প্রচারণা ছিল। মামলার আগ পর্যন্ত কাউকে দোষী করা যায় না। এখন থেকে তাদের সঙ্গে কেন কিছু হবে না। সরকারি নিয়ম মেনেই চলবে।’

এখনও অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অনৈতিকভাবে বিভিন্ন অফার দিয়ে ব্যবসা করছে, তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘৮ থেকে ১০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নামে এমন অভিযোগ। দেশে ছোট, মাঝারি, বড়, ৩০ হাজার ই-কমার্স রয়েছে। এই ৮-১০টি কোম্পানির জন্য পুরো খাত ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না। এখন একটা শিক্ষা হয়েছে, নতুন আইন হয়েছে। ফান্ড তারা নিতে পারবে না। কোন কিছু কেনার জন্য এখন ফান্ড এক জায়গায় জমা থাকবে। পণ্য ডেলিভারি হওয়ার পর এই ফান্ড ডিজবার্স হবে।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘ই-কমার্সের কারণে অনেক গ্রাহকের অর্থ নষ্ট হয়েছে। এখন অনেককে বলতে শোনা যাচ্ছে, যাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে তাদের যদি ব্যবসা করতে দিয়ে কঠিনভাবে পর্যবেক্ষণ করা হতো, তাহলে কিছুটা ক্ষতি কাভার করতে পারতো। এ ধরনের সাজেশন আসছে। এ বিষয়গুলো কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।’

জেলখানায় নেয়া সমাধান নয় জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সার্বিক বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করছি। আমরাসহ চার মন্ত্রণালয় (অর্থ, বাণিজ্য, আইন ও স্বরাষ্ট্র) বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি। তাদের অবস্থান নির্ণয় করা হচ্ছে, কোন উন্নতি করা যায় কি না, সে বিষয়ে দেখা হচ্ছে। ই-কমার্স ডেসটিনিসহ পুরোনো সমস্যা ও নতুন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে। কিভাবে এটা সমাধান করা যায়। অনেক বড় গ্রুপ অব কোম্পানি বিনিয়োগ করতে চেয়ে ছিল, কিন্তু নেতিবাচক এসব ঘটনার কারণে তারা সরে দাঁড়িয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ই-কমার্সের কারণে অনেক গ্রাহকের অর্থ নষ্ট হয়েছে। এখন অনেককে বলতে শোনা যাচ্ছে, যাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে তাদের যদি ব্যবসা করতে দিয়ে কঠিনভাবে অবজারবেশন করা হতো তাহলে কিছুটা ক্ষতি কাভার করতে পারতো। এ ধরনের সাজেশন আসছে। এ বিষয়গুলো কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। আমরা সার্বিক বিষয়গুলো অবজারভেশন করছি। আমরাসহ চার মন্ত্রণালয় (অর্থ, বাণিজ্য, আইন ও স্বরাষ্ট্র) বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি। তাদের অবস্থান নির্ণয় করা হচ্ছে, কোনো উন্নতি করা যায় কিনা সে বিষয়ে দেখা হচ্ছে।’

back to top