ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেয়ার পর যে যেভাবে পারছে হলের কক্ষ দখলের প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। গত কয়েকি দিনে এমন ঘটনাই ঘটেঠছ। গত ৫ অক্টোবর ঢাবির হলগুলো শর্ত সাপেক্ষে খুলে দেয়া হয়েছে। তবে অনেকেই তার আগেই হলে ঢুকে কক্ষ দখল করা শুরু করে। ইতিমধ্যে হলের কক্ষ দখল করা নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডেও হচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
গত বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এস এম) হলের একটি কক্ষ দখল করা নিয়ে হল শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তারা রড ও লাঠি নিয়ে হলের ভিতরে মহড়া দেয়। এতে সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজনা সৃষ্টিকারী ও আতঙ্ক ছড়ানো নেতাদের বেশির ভাগেরই নেই ছাত্রত্বও। কিন্তু এ ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা হল কর্তৃপক্ষের কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। ছাত্রীদের পাঁচটি হলে আসন বণ্টনসহ প্রায় সব ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ থাকলেও ছাত্রদের ১৩টি হলে কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ আগের মতোই শূন্য বলে জানাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
হলগুলো খুলে দেওয়ার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অছাত্রদের বিতাড়ন, গণরুমব্যবস্থা বিলোপ ও স্বাস্থ্যবিধি নীতিমালা এসওপি কার্যকর করার ঘোষণা দেয়। হল খোলার দিন গণমাধ্যমের কর্মীদের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজেদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে তোড়জোড় দেখালেও পরদিন থেকেই আর তা দেখা যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৫ অক্টোবর থেকে অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র থাকা সাপেক্ষে স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের হলে তোলার কথা ছিল। কিন্তু অন্য বর্ষের শিক্ষার্থীরাও সেদিন বিকেলের পর থেকে হলে উঠতে থাকেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতিমধ্যে ছাত্রদের প্রতিটি হলে অছাত্ররাও উঠে পড়েছেন। স্বাস্থ্যবিধির বিষয়েও নেই নজরদারি। হলে হলে কক্ষ দখল ও আধিপত্য বিস্তারের পুরোনো প্রবণতা আবার ফিরে আসছ, যার বহিঃপ্রকাশ এস এম হলের বুধবারের ঘটনা।
এমন পরিস্থিতিতে কাল রোববার থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলে উঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গণরুমগুলোতে গাদাগাদি করে মূলত প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা থাকেন। আর অনেক অছাত্র থাকেন মূল কক্ষগুলোতে।
আবার প্রথম বর্ষের ওই শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের কর্মসূচিতে যেতে হয়। পোহাতে হয় গেস্টরুমের আতঙ্ক। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, অছাত্র বিতাড়নে ইতিমধ্যে ব্যর্থ হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি গণরুমব্যবস্থা বিলোপের ঘোষণা কার্যকর করতে পারবে- এমন প্রশ্ন উঠেছে।
রোববার, ১০ অক্টোবর ২০২১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেয়ার পর যে যেভাবে পারছে হলের কক্ষ দখলের প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। গত কয়েকি দিনে এমন ঘটনাই ঘটেঠছ। গত ৫ অক্টোবর ঢাবির হলগুলো শর্ত সাপেক্ষে খুলে দেয়া হয়েছে। তবে অনেকেই তার আগেই হলে ঢুকে কক্ষ দখল করা শুরু করে। ইতিমধ্যে হলের কক্ষ দখল করা নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডেও হচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
গত বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এস এম) হলের একটি কক্ষ দখল করা নিয়ে হল শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তারা রড ও লাঠি নিয়ে হলের ভিতরে মহড়া দেয়। এতে সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজনা সৃষ্টিকারী ও আতঙ্ক ছড়ানো নেতাদের বেশির ভাগেরই নেই ছাত্রত্বও। কিন্তু এ ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা হল কর্তৃপক্ষের কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। ছাত্রীদের পাঁচটি হলে আসন বণ্টনসহ প্রায় সব ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ থাকলেও ছাত্রদের ১৩টি হলে কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ আগের মতোই শূন্য বলে জানাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
হলগুলো খুলে দেওয়ার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অছাত্রদের বিতাড়ন, গণরুমব্যবস্থা বিলোপ ও স্বাস্থ্যবিধি নীতিমালা এসওপি কার্যকর করার ঘোষণা দেয়। হল খোলার দিন গণমাধ্যমের কর্মীদের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজেদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে তোড়জোড় দেখালেও পরদিন থেকেই আর তা দেখা যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৫ অক্টোবর থেকে অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র থাকা সাপেক্ষে স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের হলে তোলার কথা ছিল। কিন্তু অন্য বর্ষের শিক্ষার্থীরাও সেদিন বিকেলের পর থেকে হলে উঠতে থাকেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতিমধ্যে ছাত্রদের প্রতিটি হলে অছাত্ররাও উঠে পড়েছেন। স্বাস্থ্যবিধির বিষয়েও নেই নজরদারি। হলে হলে কক্ষ দখল ও আধিপত্য বিস্তারের পুরোনো প্রবণতা আবার ফিরে আসছ, যার বহিঃপ্রকাশ এস এম হলের বুধবারের ঘটনা।
এমন পরিস্থিতিতে কাল রোববার থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলে উঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গণরুমগুলোতে গাদাগাদি করে মূলত প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা থাকেন। আর অনেক অছাত্র থাকেন মূল কক্ষগুলোতে।
আবার প্রথম বর্ষের ওই শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের কর্মসূচিতে যেতে হয়। পোহাতে হয় গেস্টরুমের আতঙ্ক। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, অছাত্র বিতাড়নে ইতিমধ্যে ব্যর্থ হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি গণরুমব্যবস্থা বিলোপের ঘোষণা কার্যকর করতে পারবে- এমন প্রশ্ন উঠেছে।