গত কয়েকদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৈঠকের পর দুই দেশই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছিল। এরপর পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে আগ্রহ দেখিয়েছিল ফ্রান্স ও জার্মানি। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, বহু বিষয়ে মতান্তর থাকলেও দেড় সপ্তাহ আগে অনুষ্ঠিত জো বাইডেন ও ভ্লাদিমির পুতিনের সেই বৈঠকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়েছিল। জেনেভায় সেই বৈঠকের পরই রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহ প্রকাশ করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ এবং জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। তাদের সেই আগ্রহ প্রস্তাব আকারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে পাঠিয়েছিলেন তারা। কিন্তু ২৭ দেশের সংস্থাটি ফরাসি ও জার্মান নেতার প্রস্তাব মেনে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি হয়নি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অধিকাংশ দেশের বক্তব্য, রাশিয়া যেভাবে রাজনীতি করছে, তাতে এখন দেশটিকে আলোচনায় ডাকলে ভুল বার্তা দেওয়া হবে। বরং রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কড়া মনোভাব নেওয়া প্রয়োজন। এছাড়া নতুন করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে দেওয়া বিবৃতিতে সংস্থাটির পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেলকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা করতে বলা হয়েছে।এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মেরকেল বলেছিলেন, আলোচনাই সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ। বিতর্ক না বাড়িয়ে রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসা উচিত।
অন্যদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর যুক্তির ছিল, ইউরোপ মহাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে বিবাদ মিটিয়ে আলোচনায় বসা জরুরি। কিন্তু অধিকাংশ ইইউ রাষ্ট্র তা মানতে চায়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে রাশিয়ার সঙ্গে শেষবার আলোচনায় বসেছিল ইইউ। এরপর রাশিয়ার ক্রিমিয়া আক্রমণ নিয়ে পুতিনের সঙ্গে সংস্থাটির দূরত্ব তৈরি হয়। লাটভিয়ার প্রধানমন্ত্রী এদিনের বৈঠকে বলেছেন, ক্রেমলিন শুধুমাত্র ক্ষমতার রাজনীতি বোঝে। সুতরাং তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার অর্থ হয় না। বৈঠক করা মানে, ভুল বার্তা দেওয়া। লিথুয়ানিয়াও একই কথা বলেছে বৈঠকে।
গত এক বছরে রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূরত্ব আরও বেড়েছে। বিশেষত রাশিয়ার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সাই নাভালনিকে যেভাবে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল এবং পরে যে ভাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা নিয়ে ইইউয়ের সঙ্গে রাশিয়ার তীব্র বিতর্ক হয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়েছে।
শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১
গত কয়েকদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৈঠকের পর দুই দেশই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছিল। এরপর পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে আগ্রহ দেখিয়েছিল ফ্রান্স ও জার্মানি। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, বহু বিষয়ে মতান্তর থাকলেও দেড় সপ্তাহ আগে অনুষ্ঠিত জো বাইডেন ও ভ্লাদিমির পুতিনের সেই বৈঠকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়েছিল। জেনেভায় সেই বৈঠকের পরই রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহ প্রকাশ করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ এবং জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। তাদের সেই আগ্রহ প্রস্তাব আকারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে পাঠিয়েছিলেন তারা। কিন্তু ২৭ দেশের সংস্থাটি ফরাসি ও জার্মান নেতার প্রস্তাব মেনে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি হয়নি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অধিকাংশ দেশের বক্তব্য, রাশিয়া যেভাবে রাজনীতি করছে, তাতে এখন দেশটিকে আলোচনায় ডাকলে ভুল বার্তা দেওয়া হবে। বরং রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কড়া মনোভাব নেওয়া প্রয়োজন। এছাড়া নতুন করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে দেওয়া বিবৃতিতে সংস্থাটির পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেলকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা করতে বলা হয়েছে।এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মেরকেল বলেছিলেন, আলোচনাই সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ। বিতর্ক না বাড়িয়ে রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসা উচিত।
অন্যদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর যুক্তির ছিল, ইউরোপ মহাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে বিবাদ মিটিয়ে আলোচনায় বসা জরুরি। কিন্তু অধিকাংশ ইইউ রাষ্ট্র তা মানতে চায়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে রাশিয়ার সঙ্গে শেষবার আলোচনায় বসেছিল ইইউ। এরপর রাশিয়ার ক্রিমিয়া আক্রমণ নিয়ে পুতিনের সঙ্গে সংস্থাটির দূরত্ব তৈরি হয়। লাটভিয়ার প্রধানমন্ত্রী এদিনের বৈঠকে বলেছেন, ক্রেমলিন শুধুমাত্র ক্ষমতার রাজনীতি বোঝে। সুতরাং তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার অর্থ হয় না। বৈঠক করা মানে, ভুল বার্তা দেওয়া। লিথুয়ানিয়াও একই কথা বলেছে বৈঠকে।
গত এক বছরে রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূরত্ব আরও বেড়েছে। বিশেষত রাশিয়ার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সাই নাভালনিকে যেভাবে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল এবং পরে যে ভাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা নিয়ে ইইউয়ের সঙ্গে রাশিয়ার তীব্র বিতর্ক হয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়েছে।