alt

মতামত » চিঠিপত্র

চিঠিপত্র : গরমে স্বাস্থ্য সুরক্ষা জরুরি

: শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

গরমে স্বাস্থ্য সুরক্ষা জরুরি

সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিকল্প নেই। প্রতি বছরের মতো এবারও এসেছে গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। গ্রীষ্মকালকে বলা হয়ে থাকে রোগ জীবাণুর আতুর ঘর। এছাড়া গরমে শরীর থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে পানি বের হয়ে যায়। যে কারণে মানুষ পানিশূন্যতা রোগে ভোগে। যার ফলে দুর্বলতা, মাথা ঘোরানো, মাথাব্যথা এবং অচেতন হয়ে যাওয়ার মতো বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এসব শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো বেশি বেশি পানি পান করা।

প্রতিদিন গড়ে ১০-১২ গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন। এছাড়াও ডাবের পানি, ফলের শরবত, লেবুর শরবত খাওয়া যেতে পারে। এতে করে শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হয়। ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবণ থাকায় গরমে ডাবের পানি পান করলে পানির পাশাপাশি শরীরে খনিজ লবণের চাহিদাও পূরণ হয়। এছাড়াও শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে খাবার স্যালাইন খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ঘরে বসেও খাবার স্যালাইন তৈরি করা যায়। এক্ষেত্রে ১ লিটার পানিতে এক মুঠো গুড় বা চিনি, সেই সঙ্গে এক চিমটে নুন মিশিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার স্যালাইন তৈরি করা সম্ভব।

ইমন ইসলাম

লেখক : শিক্ষার্থী, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

করোনায় হোক মানবিক শিক্ষা

জীবনে কতকিছুর কত রকম প্রয়োজন, মানুষকে তা বুঝিয়ে দিল এই মহামারি। এই মহামারি না হলে জীবনের সঠিক মানে অনেকেরই অজানা থেকে যেত নিঃসন্দেহে বলা যায়। মানুষের মধ্যে একটা পরিবর্তন যে প্রয়োজন তা এই সময় বলে দেয়।

আমরা একজন অন্য আরেকজনের মঙ্গল খুব কম জনেই চাই। কী করে অন্য কারো অমঙ্গল করা যায়, সেই ভাবনায় অনেকের ঘুম হয় না। তবে পৃথিবীতে সবাই খারাপ এমনটা নয়। আমার বিশ্বাস এবার আমরা জীবনে মানুষের গুরুত্ব একটু হলেও বুঝতে শিখেছি।

আমরা আর একটা অমানবিক বীজ নিয়ে বেড়াচ্ছি, তা হলো ধর্মীয় উগ্রতা। ধর্মকে ধারণ করার পরিবর্তে আমরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছি। এক শ্রেণীর মানুষ তাদের ধর্মকে স্বাধীনভাবে পালন করার সাহস পর্যন্ত পায় না। এটা কেন হবে?

গোকুল চন্দ্র রায়

শিক্ষার্থী, নীলফামারী সরকারি কলেজ

ফার্মেসি না ফার্মেসী

বাংলাদেশের বেশিরভাগ ওষুধের দোকানের সাইনবোর্ডে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এমনকি ফার্মেসি শিক্ষা ও পেশার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল’ ফার্মেসি বানান ‘ফার্মেসী’ লিখে আসছে। কোনটা ঠিক বানান আর কোনটা ভুল বানান সেটা নিয়ে আমরা বিভ্রান্তের মধ্যে থাকি। কারণ অনেক বানান ছোট থেকে পড়ে আসছি বা দেখে আসছি একরকম কিন্তু এখন জানছি ভিন্ন।

প্রমিত বাংলা বানান রীতি প্রণয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি। বানানে শৃঙ্খলা আনা এবং শুদ্ধরীতি বজায় রাখার জন্য ১৯৯৪ সালে বাংলা একাডেমি বানান অভিধান প্রণয়ন করে। পরবর্তীতে পরিমার্জিত সংস্করণ প্রকাশ করা হয়।

বাংলা একাডেমির নিয়ম অনুযায়ী, বাংলা বর্ণ ঈ, ঊ, ণ এবং ষ বিদেশি শব্দে প্রয়োগ হয় না। বাংলা ভাষাকে আরও মর্যাদা দেয়ার জন্যই এসব রীতি নিয়মের প্রচলন। ফার্মেসি একটি বিদেশি শব্দ। তাই এই শব্দের বানানে ফার্মেসী হয় না বরং ফার্মেসি হয়। ‘ফার্মেসি’ হলো শুদ্ধ বানান। ভাষার সম্মান রক্ষায় আমাদের সবার উচিত শুদ্ধ বানান ও উচ্চারণ চর্চা করা।

আরিফুল ইসলাম

গ্রামীণ অর্থনীতিতে কৃষির অবদান

শহরের পাখিরা যখন মরার প্রহর গুনে

ধর্মের নামে বর্বরতা

টেকসই শহরের একান্ত প্রয়োজন

সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা সংস্কৃতি গড়ে তোলা জরুরি

সুন্দরবনের বাঘ ও জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : আর্শীবাদ নাকি অভিশাপ

সমুদ্রগবেষণায় পশ্চাৎপদতা মৎস্য খাতের ভবিষ্যৎকেই ঝুঁকিতে ফেলছে

কিশোর গ্যাং–সংস্কৃতি: সমাজের জন্য বাড়তে থাকা অশনি সংকেত

ডিগ্রি হাতে, চাকরি স্বপ্নে: শিক্ষিত বেকারদের মানসিক ক্ষয়

সরকারি কর্মচারীদের কর্মেই মুক্তি নাকি আন্দোলনে?

কর্মজীবী নারীর অদৃশ্য মানসিক বোঝা

নগর সংস্কৃতিতে ঐতিহ্যের বিলুপ্তি

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আগাম সতর্কবার্তাই কি যথেষ্ট?

সুলতানপুরে করতোয়া নদীর তাণ্ডব: নদীভাঙনে মানুষের জীবন বিপন্ন

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সম্ভাবনা বিস্তৃত, অনিয়মের ছায়াও গভীর

গেন্ডারিয়ায় সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে অনিয়ম: জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি

প্রবীণদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

বৈধ সনদধারীদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

tab

মতামত » চিঠিপত্র

চিঠিপত্র : গরমে স্বাস্থ্য সুরক্ষা জরুরি

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১

গরমে স্বাস্থ্য সুরক্ষা জরুরি

সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিকল্প নেই। প্রতি বছরের মতো এবারও এসেছে গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। গ্রীষ্মকালকে বলা হয়ে থাকে রোগ জীবাণুর আতুর ঘর। এছাড়া গরমে শরীর থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে পানি বের হয়ে যায়। যে কারণে মানুষ পানিশূন্যতা রোগে ভোগে। যার ফলে দুর্বলতা, মাথা ঘোরানো, মাথাব্যথা এবং অচেতন হয়ে যাওয়ার মতো বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এসব শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো বেশি বেশি পানি পান করা।

প্রতিদিন গড়ে ১০-১২ গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন। এছাড়াও ডাবের পানি, ফলের শরবত, লেবুর শরবত খাওয়া যেতে পারে। এতে করে শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হয়। ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবণ থাকায় গরমে ডাবের পানি পান করলে পানির পাশাপাশি শরীরে খনিজ লবণের চাহিদাও পূরণ হয়। এছাড়াও শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে খাবার স্যালাইন খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ঘরে বসেও খাবার স্যালাইন তৈরি করা যায়। এক্ষেত্রে ১ লিটার পানিতে এক মুঠো গুড় বা চিনি, সেই সঙ্গে এক চিমটে নুন মিশিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার স্যালাইন তৈরি করা সম্ভব।

ইমন ইসলাম

লেখক : শিক্ষার্থী, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

করোনায় হোক মানবিক শিক্ষা

জীবনে কতকিছুর কত রকম প্রয়োজন, মানুষকে তা বুঝিয়ে দিল এই মহামারি। এই মহামারি না হলে জীবনের সঠিক মানে অনেকেরই অজানা থেকে যেত নিঃসন্দেহে বলা যায়। মানুষের মধ্যে একটা পরিবর্তন যে প্রয়োজন তা এই সময় বলে দেয়।

আমরা একজন অন্য আরেকজনের মঙ্গল খুব কম জনেই চাই। কী করে অন্য কারো অমঙ্গল করা যায়, সেই ভাবনায় অনেকের ঘুম হয় না। তবে পৃথিবীতে সবাই খারাপ এমনটা নয়। আমার বিশ্বাস এবার আমরা জীবনে মানুষের গুরুত্ব একটু হলেও বুঝতে শিখেছি।

আমরা আর একটা অমানবিক বীজ নিয়ে বেড়াচ্ছি, তা হলো ধর্মীয় উগ্রতা। ধর্মকে ধারণ করার পরিবর্তে আমরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছি। এক শ্রেণীর মানুষ তাদের ধর্মকে স্বাধীনভাবে পালন করার সাহস পর্যন্ত পায় না। এটা কেন হবে?

গোকুল চন্দ্র রায়

শিক্ষার্থী, নীলফামারী সরকারি কলেজ

ফার্মেসি না ফার্মেসী

বাংলাদেশের বেশিরভাগ ওষুধের দোকানের সাইনবোর্ডে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এমনকি ফার্মেসি শিক্ষা ও পেশার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল’ ফার্মেসি বানান ‘ফার্মেসী’ লিখে আসছে। কোনটা ঠিক বানান আর কোনটা ভুল বানান সেটা নিয়ে আমরা বিভ্রান্তের মধ্যে থাকি। কারণ অনেক বানান ছোট থেকে পড়ে আসছি বা দেখে আসছি একরকম কিন্তু এখন জানছি ভিন্ন।

প্রমিত বাংলা বানান রীতি প্রণয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি। বানানে শৃঙ্খলা আনা এবং শুদ্ধরীতি বজায় রাখার জন্য ১৯৯৪ সালে বাংলা একাডেমি বানান অভিধান প্রণয়ন করে। পরবর্তীতে পরিমার্জিত সংস্করণ প্রকাশ করা হয়।

বাংলা একাডেমির নিয়ম অনুযায়ী, বাংলা বর্ণ ঈ, ঊ, ণ এবং ষ বিদেশি শব্দে প্রয়োগ হয় না। বাংলা ভাষাকে আরও মর্যাদা দেয়ার জন্যই এসব রীতি নিয়মের প্রচলন। ফার্মেসি একটি বিদেশি শব্দ। তাই এই শব্দের বানানে ফার্মেসী হয় না বরং ফার্মেসি হয়। ‘ফার্মেসি’ হলো শুদ্ধ বানান। ভাষার সম্মান রক্ষায় আমাদের সবার উচিত শুদ্ধ বানান ও উচ্চারণ চর্চা করা।

আরিফুল ইসলাম

back to top