alt

মুক্ত আলোচনা

ভারতের ১৭তম সাধারণ নির্বাচন সভা

ভারতের নির্বাচন ব্যবস্থা; এখন পর্যন্ত গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এক অনন্য উদাহরণ

আব্বাস উদ্দিন মোল্লা

: বৃহস্পতিবার, ০৪ এপ্রিল ২০১৯

২০১৮ ও ২০১৯ সাল দক্ষিণ এশিয়ায় গণতান্ত্রিক সরকার নির্বাচনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়কাল পার করছে। নেপালের ২০১৭ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে ৪র্থ নেপাল ন্যাশনাল অ্যাসেম্বিলির নির্বাচনে নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি বিজয়লাভ লাভ করে এবং ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারিতে খাগদা প্রসাদ ওলি ৩৮তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। পাকিস্তানে বিচারপতিতের সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভালো সম্পর্ক ছিল না। আদালতের নির্দেশে ক্ষমতা ছেড়ে রাজনৈতিকভাবে অযোগ্য হয়ে জেলখানায় বন্দী ছিলেন। ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই পাকিস্তানের ১৫তম পার্লামেন্ট নির্বাচনে তেহরিকে ইনসাফ পার্টি বিজয় লাভ করে এবং ইমরান খান দেশের ২২তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনা করছেন। ২০১৮ সালে ভুটানের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে পার্লামেন্টে আনুপাতিক হারে ভুটান পিস অ্যান্ড প্রোসপারেটি দলের লোটে তাসে রিং নভেম্বর মাসের ৭ তারিখ দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। ২০১৮ সালের নভেম্বরের ১৭ তারিখ মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলে নির্বাচিত হয়েছেন। দেশটি একটি ছোট্ট রাষ্ট্র হলেও সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক মোটেই ভালো নয়। শ্রীলঙ্কায় সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ্র রাজাপাকসের অর্থমন্ত্রী মিথিরাপালা সিরিসেনা ২০১৫ সালে নির্বাচনের প্রারারম্ভে স্বপক্ষ ত্যাগ করে প্রধান বিরোধী দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির নেতা রানিল বিক্রমা সিংহের সঙ্গে সন্ধি করে ৭ম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। রানিল বিক্রমা সিংহও একই বছরে ১৫তম পার্লামেন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে শ্রীলঙ্কার ১০ম প্রধানমন্ত্রী হন। প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা হঠাৎ করে গত বছর অক্টোরবের ২৬ তারিখ বিক্রমা সিংহকে বরখাস্ত করে সাবেক প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্টের সদস্য মাহিন্দ্রা রাজাপাকাশেকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। কেউ কারও ছাড়ার পাত্র নয় নতুন ও পুরতান উভয়ই নিজেদের বৈধ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দাবি করেন। শেষ পর্যন্ত রাজাপাকাশে পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে যান, তখন প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার আদেশ দেন। পার্লামেন্ট সদস্যরা উচ্চ আদালতের আশ্রয় নেন। আদালত পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার আদেশের বিরুদ্ধে রায় দিলে প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা বিক্রমা সিংহকে গত ১৬ ডিসেম্বর পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করে শ্রীলঙ্কার সাময়িক অচলাবস্থা নিরসন করেন। বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৩০ ডিসেম্বর ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়লাভের মাধ্যমে একটানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন।

ভারতের নির্বাচন কমিশন ১৭তম লোকসভার নির্বাচনের জন্য ৭টি ধাপে ৫৪৩টি আসনের তফসিল ঘোষণা করেছে। ১১ এপ্রিল ৯১টি, ১৮ এপ্রিল ৯৭টি, ২৩ এপ্রিল ১১৫টি, ২৯ এপ্রিল ৭১টি, ৬ মে ৫১টি, ১২ মে ৫৯টি এবং ১৯ মে ৫৯টি আসনে নির্বাচন হবে। এছাড়া একই সঙ্গে অন্ধপ্রদেশ, অরুনাচল প্রদেশ, উড়িশ্যা ও সিকিমের বিধানসভাসহ অন্যান্য প্রদেশে বিধানসভার শূন্য আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গণণা শুরুর তারিখ ২৩ মে। ভারতের সরকার, রাজনৈতিক দল, সরকার ব্যবস্থা আমাদের প্রভাবিত করে। এ কারণেই ভারতের নির্বাচনে অনেকেরই কৌতূহল আছে। সাম্প্রতিককালের অনেক নির্বাচনী ঘটনায় অনেকের আগ্রহ দিন দিন উবে যাচ্ছে। ১৯৪৭ সালের পরে ভারতে একটি ক্ষণের জন্যও লেফট রাইট লেফট সরকার ক্ষমতায় আসেনি এ জন্য ব্যক্তিগতভাবে ভারতে গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার প্রতি অনেকেরই দুর্বলতা আছে। ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে ইন্দিরা গান্ধি ও তার দেশের জনগণ আমাদের যে সহযোগিতা করেছে তার জন্য আমরা চির কৃতজ্ঞ। পাঠকদের জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার, প্রাদেশিক সরকার ও রাজনৈতিক দলের বর্তমান অবস্থা বিশ্লেষণ করা হেয়েছে এই নিবন্ধে। নির্বাচনে জয়লাভের জন্য রাজনৈতিক দলগুলো যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা করেও অনেক মানুষের প্রাণ নিয়ে তামাশাও করে। তেমনটা হতে যাচ্ছিল ভারতে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বুদ্ধিমত্তার কাছে এবারের মোদির যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার তকমা ভারতের নির্বাচনে একটু হলেও ঊর্ধ্বচাপ লঘু করে দিয়েছে। ভারতের বাহ্যিক সব সমস্যায় সাধারণত রাজনৈতিক দলগুলো একাট্টা হয়ে যায়। এবারের এমন সংহতি প্রত্যক্ষ করা যায়নি। মোদি ম্যাজিক আপাদদৃষ্টিতে প্রাণনাশের খেলায় কাজে লাগেনি বলে অনেকেই মনে করছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষের নাম লোকসভা, কেন্দ্রীয় উচ্চ কক্ষের নাম রাজ্যসভা ও প্রতিটি প্রদেশে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন বিধানসভা। লোকসভা ও বিধানসভার মেয়াদ ৫ বছর এবং রাজ্যসভার সদস্যদের মেয়াদকাল ৬ বছর। ভারতের লোকসভা আসন সংখ্যা ৫৪৫টি যার মধ্যে ২টি অ্যাংলো ইন্ডিনিয়ানদের জন্য সংরক্ষিত। ৫৪৩টি আসনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যামে প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। আসন সংখ্যা ২৯টি প্রদেশ এবং ৭টি টেরিটরি ইউনিয়নের মধ্যে নির্ধারণ করা আছে। মহিলাদের জন্য কোন আসন সংরক্ষিত নেই। সবাই প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। লোকসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বা জোট কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করে। ১৯৪৭ সালের পর এ পর্যন্ত ১৬ বার লোকসভা নির্বাচন হয়েছে। ১১ বার সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল কংগ্রেস, ৪ বার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বর্তমান ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি এবং একবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ১৯৭৭ সালে মোবারজি দেশাইর জনতা পার্টি কেন্দ্রে সরকার গঠন করেছিল। বেশ কয়েক বার সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল মিত্রদের রাজনৈতিক অসহযোগিতার কারণে মেয়াদকাল পূরণ করতে পারেনি। ২০১৪ সালের ১৬তম লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাট্রিক এলায়েন্স এনডিএ ৩৩৬টি আসন পেয়ে কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালনা করছে। অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ এলায়েন্স (ইউপিএ) মাত্র ৬০টি আসন পেয়ে ভারতের ইতিহাসে দুর্বলতম বিরোধী দল হিসেবে লোকসভায় বসেছে।

ভারতের উচ্চকক্ষের নাম রাজ্যসভা। যার জন্য বর্তমানে ২৪৫টি আসন আছে। রাজ্যসভার সদস্যগণ প্রতি ২ বছর পর পর্যায় ক্রমিকভাবে পরিবর্তিত হন। রাজ্যসভার প্রদেশভিত্তিক শূন্য আসনের বিপরীতে বিধানসভার দলগত অবস্থানের প্রেক্ষিতে রাজ্যসভার সদস্য মনোনীত হন। যে সব মেধাবী ও প-িতজনেরা সাধারণের ভোটে নির্বাচিত হন না বা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন না তাদের প্রজ্ঞা ও মেধা রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলো তাদের ভারতের রাজ্যসভায় মনোনীত করে দলের ও দেশের কল্যাণে তাদের অবদান গ্রহণ করে থাকে।

ভারতে তিন ক্যাটেগরির রাজনৈতিক দল আছে। জাতীয়, প্রাদেশিক ও ননরিকগনাইজড রাজনৈতিক দল। প্রত্যেকটি ক্যাটেগরিভুক্ত হতে নির্বাচনে আসন লাভের ওপর শর্ত আছে, ভোটপ্রাপ্তির ওপর শর্ত আছে, রাজনৈতিক কর্মকা- পরিচালনার ওপর শর্ত আছে ইত্যাদি। ভারতে বর্তমানে জাতীয় রাজনৈতিক দলের সংখ্যা মাত্র ৭টি, প্রাদেশিক রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫৪টি এবং ননরিকগনাইজড রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ষাটের অধিক। ৭টি জাতীয় দলের মধ্যে আছে ১৮৮৫ সালের প্রতিষ্ঠিত বর্তমানে রাহুল গান্ধির নেতৃত্বাধীন অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল কংগ্রেস (আইএনসি বা কংগ্রেস), ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বর্তমানে সুরাভরম সুধাকর রেড্ডির নেতৃত্বাধীন অল ইন্ডিয়া কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআই), ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বর্তমানে সিতারাম ইয়েচুরির নেতৃত্বাধীন মাকর্সাবাদী অল ইন্ডিয়া কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআইএম), ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত বর্তমানে অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বর্তমানে কুমারী মায়াবতীর নেতৃত্বাধীন বহুজন সমাজবাদী পার্টি (বিএসপি), ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বাধীন অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস এবং ১৯৯৯ সালে সারদ পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)। ভারতে আঞ্চলিক দলগুলো দিন দিন অনেক জাতীয় দলের চেয়েও রাজনৈতিকভাবে ভারত সরকার পরিচালনায় উল্লেখ যোগ্য অবদান রাখছে।

ভারতে প্রদেশের ইংরেজি বানানের আদ্যাক্ষরের ক্রমানুসারে প্রদেশ ও ইউনিয়ন টেরিটরিগুলো লেখা হয়। এ তালিকা অনুযায়ী বিগত নির্বাচনের বিশেষ উল্লেখযোগ্য দিকগুলো পাঠকদের জন্য নিম্নে উল্লেখ করা হলো :

আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জু :

আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জু বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপপুঞ্জু যা একটি ইউনিয়ন টেরিটরি হিসেবে পরিচিত। ব্রিটিশ ভারতের সময়ে স্বাধীনতাকামী সর্বভারতীয় ও ফৌজদারি মামলার অপরাধীদের এখানে বন্দী হিসেবে রাখা হতো। বাংলাদেশের মানুষ কালাপানির স্থান হিসেবে জায়গাটির সঙ্গে পরিচিত। এখানে লোকসভার একটি আসন রয়েছে। গত ২টি নির্বাচনে বিজিপি প্রার্থীরা অত্যন্ত মার্জিন ভোটে কংগ্রেস প্রার্থীকে পরাজিত করে জয়লাভ করছে।

অন্ধপ্রদেশ :

অন্ধপ্রদেশে লোকসভার আসন সংখ্যা ২৫টি, রাজ্যসভার আসন সংখ্যা ১১টি, এবং বিধানসভার আসন সংখ্যা ১৭৬টি। বর্তমান লোকসভায় তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ১৫টি, বিজেপির ২টি এবং জগমোহন রেড্ডি নেতৃত্বাধীন ওয়াই এসআর কংগ্রেস পার্টির ৮টি আসন রয়েছে। রাজ্যসভায় টিডিপির ৫টি, ওয়াইএসআর এর ২টি, কংগ্রেসের ২টি, টিআরএস এর ১টি এবং বিজেপির ১টি আসন রয়েছে। ২০১৪ সালের ১৪তম বিধানসভা নির্বাচনে টিডিপি ১০৩টি, বিজেপি ৪টি, ওওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি ৬৬টি ও অন্যান্য ২টি আসন পেয়েছে। ১টি আসন সংরক্ষিত। টিডিপি পার্টির নেতা চন্দ্র বাবু নাইডু মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রাদেশিক সরকার পরিচালনা করছেন। এ রাজ্যে লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন একই সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অন্ধপ্রদেশ ভেঙে ২০১৪ সালে ২৯তম প্রদেশ তেলেঙ্গনা হয়েছে। এখানে প্রকাশ্য কোন জোটগতভাবে নির্বাচন হচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলো আবারও নির্বাচনে জয়লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে।

(আগামীকাল সমাপ্য)

দৈনিক সংবাদ : ৪ এপ্রিল ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৭ এর পাতায় প্রকাশিত

মুজিবনগরে স্বাধীনতার সূর্যোদয়

বঙ্গাব্দ প্রচলনের ইতিকথা

পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব

কেউতো অপেক্ষায় নেই

ফরগেট মি নট

ছবি

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বীমা শিল্পের গুরুত্ব

একুশে ফেব্রুয়ারি আত্মপরিচয়ের দিন

দিদি, আপা, “বু” খালা

হিজল-করচ-আড়াংবন

ছবি

শেখ হাসিনা, এক উৎসারিত আলোকধারা

মনমাঝি

সেই ইটনা

ছবি

আংকর ওয়াট : উন্নত সভ্যতার স্মৃতিচিহ্ন যেখানে

নিয়ত ও নিয়তি

হারিয়ে যাওয়া ট্রেন

টম সয়ার না রবিনহুড

ছবি

‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে, আমরা আছি তোমার সাথে’

বাংলাদেশ-জাপান সহযোগিতা স্মারক: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনন্য মাইলফলক

রাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশনের পরিবর্তন আশু প্রয়োজন

কুয়েতের জীবনযাত্রার সাতকাহন: পর্ব-১-বিয়ে

বিবেকের লড়াই

ছবি

ছবি যেন শুধু ছবি নয়

বাত ব্যথার কারণ ও আধুনিক চিকিৎসা

ছবি

স্বাধীন স্বদেশে মুক্ত বঙ্গবন্ধু

ছবি

মহান নেতার স্বভূমিতে ফিরে আসা

ছবি

মেট্রোরেল : প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তার ফসল

ছবি

আমার মা

ডিজিটাল বাংলাদেশ: প্রগতিশীল প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি

ছবি

৩ নভেম্বর: ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের ধারাবাহিকতা

দেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক দ্বিতীয় অধ্যায়

এইচ এস সি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের অনুশীলন

ছবি

ত্রিশ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

শিল্প কারখানার পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় এনভায়রনমেন্টাল ইন্জিনিয়ারিং

অসুর: এক পরাজিত বিপ্লবী

অসুর জাতির ইতিহাস

tab

মুক্ত আলোচনা

ভারতের ১৭তম সাধারণ নির্বাচন সভা

ভারতের নির্বাচন ব্যবস্থা; এখন পর্যন্ত গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এক অনন্য উদাহরণ

আব্বাস উদ্দিন মোল্লা

বৃহস্পতিবার, ০৪ এপ্রিল ২০১৯

২০১৮ ও ২০১৯ সাল দক্ষিণ এশিয়ায় গণতান্ত্রিক সরকার নির্বাচনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়কাল পার করছে। নেপালের ২০১৭ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে ৪র্থ নেপাল ন্যাশনাল অ্যাসেম্বিলির নির্বাচনে নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি বিজয়লাভ লাভ করে এবং ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারিতে খাগদা প্রসাদ ওলি ৩৮তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। পাকিস্তানে বিচারপতিতের সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভালো সম্পর্ক ছিল না। আদালতের নির্দেশে ক্ষমতা ছেড়ে রাজনৈতিকভাবে অযোগ্য হয়ে জেলখানায় বন্দী ছিলেন। ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই পাকিস্তানের ১৫তম পার্লামেন্ট নির্বাচনে তেহরিকে ইনসাফ পার্টি বিজয় লাভ করে এবং ইমরান খান দেশের ২২তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনা করছেন। ২০১৮ সালে ভুটানের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে পার্লামেন্টে আনুপাতিক হারে ভুটান পিস অ্যান্ড প্রোসপারেটি দলের লোটে তাসে রিং নভেম্বর মাসের ৭ তারিখ দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। ২০১৮ সালের নভেম্বরের ১৭ তারিখ মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলে নির্বাচিত হয়েছেন। দেশটি একটি ছোট্ট রাষ্ট্র হলেও সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক মোটেই ভালো নয়। শ্রীলঙ্কায় সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ্র রাজাপাকসের অর্থমন্ত্রী মিথিরাপালা সিরিসেনা ২০১৫ সালে নির্বাচনের প্রারারম্ভে স্বপক্ষ ত্যাগ করে প্রধান বিরোধী দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির নেতা রানিল বিক্রমা সিংহের সঙ্গে সন্ধি করে ৭ম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। রানিল বিক্রমা সিংহও একই বছরে ১৫তম পার্লামেন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে শ্রীলঙ্কার ১০ম প্রধানমন্ত্রী হন। প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা হঠাৎ করে গত বছর অক্টোরবের ২৬ তারিখ বিক্রমা সিংহকে বরখাস্ত করে সাবেক প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্টের সদস্য মাহিন্দ্রা রাজাপাকাশেকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। কেউ কারও ছাড়ার পাত্র নয় নতুন ও পুরতান উভয়ই নিজেদের বৈধ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দাবি করেন। শেষ পর্যন্ত রাজাপাকাশে পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে যান, তখন প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার আদেশ দেন। পার্লামেন্ট সদস্যরা উচ্চ আদালতের আশ্রয় নেন। আদালত পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার আদেশের বিরুদ্ধে রায় দিলে প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা বিক্রমা সিংহকে গত ১৬ ডিসেম্বর পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করে শ্রীলঙ্কার সাময়িক অচলাবস্থা নিরসন করেন। বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৩০ ডিসেম্বর ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়লাভের মাধ্যমে একটানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন।

ভারতের নির্বাচন কমিশন ১৭তম লোকসভার নির্বাচনের জন্য ৭টি ধাপে ৫৪৩টি আসনের তফসিল ঘোষণা করেছে। ১১ এপ্রিল ৯১টি, ১৮ এপ্রিল ৯৭টি, ২৩ এপ্রিল ১১৫টি, ২৯ এপ্রিল ৭১টি, ৬ মে ৫১টি, ১২ মে ৫৯টি এবং ১৯ মে ৫৯টি আসনে নির্বাচন হবে। এছাড়া একই সঙ্গে অন্ধপ্রদেশ, অরুনাচল প্রদেশ, উড়িশ্যা ও সিকিমের বিধানসভাসহ অন্যান্য প্রদেশে বিধানসভার শূন্য আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গণণা শুরুর তারিখ ২৩ মে। ভারতের সরকার, রাজনৈতিক দল, সরকার ব্যবস্থা আমাদের প্রভাবিত করে। এ কারণেই ভারতের নির্বাচনে অনেকেরই কৌতূহল আছে। সাম্প্রতিককালের অনেক নির্বাচনী ঘটনায় অনেকের আগ্রহ দিন দিন উবে যাচ্ছে। ১৯৪৭ সালের পরে ভারতে একটি ক্ষণের জন্যও লেফট রাইট লেফট সরকার ক্ষমতায় আসেনি এ জন্য ব্যক্তিগতভাবে ভারতে গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার প্রতি অনেকেরই দুর্বলতা আছে। ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে ইন্দিরা গান্ধি ও তার দেশের জনগণ আমাদের যে সহযোগিতা করেছে তার জন্য আমরা চির কৃতজ্ঞ। পাঠকদের জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার, প্রাদেশিক সরকার ও রাজনৈতিক দলের বর্তমান অবস্থা বিশ্লেষণ করা হেয়েছে এই নিবন্ধে। নির্বাচনে জয়লাভের জন্য রাজনৈতিক দলগুলো যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা করেও অনেক মানুষের প্রাণ নিয়ে তামাশাও করে। তেমনটা হতে যাচ্ছিল ভারতে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বুদ্ধিমত্তার কাছে এবারের মোদির যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার তকমা ভারতের নির্বাচনে একটু হলেও ঊর্ধ্বচাপ লঘু করে দিয়েছে। ভারতের বাহ্যিক সব সমস্যায় সাধারণত রাজনৈতিক দলগুলো একাট্টা হয়ে যায়। এবারের এমন সংহতি প্রত্যক্ষ করা যায়নি। মোদি ম্যাজিক আপাদদৃষ্টিতে প্রাণনাশের খেলায় কাজে লাগেনি বলে অনেকেই মনে করছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষের নাম লোকসভা, কেন্দ্রীয় উচ্চ কক্ষের নাম রাজ্যসভা ও প্রতিটি প্রদেশে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন বিধানসভা। লোকসভা ও বিধানসভার মেয়াদ ৫ বছর এবং রাজ্যসভার সদস্যদের মেয়াদকাল ৬ বছর। ভারতের লোকসভা আসন সংখ্যা ৫৪৫টি যার মধ্যে ২টি অ্যাংলো ইন্ডিনিয়ানদের জন্য সংরক্ষিত। ৫৪৩টি আসনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যামে প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। আসন সংখ্যা ২৯টি প্রদেশ এবং ৭টি টেরিটরি ইউনিয়নের মধ্যে নির্ধারণ করা আছে। মহিলাদের জন্য কোন আসন সংরক্ষিত নেই। সবাই প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। লোকসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বা জোট কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করে। ১৯৪৭ সালের পর এ পর্যন্ত ১৬ বার লোকসভা নির্বাচন হয়েছে। ১১ বার সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল কংগ্রেস, ৪ বার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বর্তমান ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি এবং একবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ১৯৭৭ সালে মোবারজি দেশাইর জনতা পার্টি কেন্দ্রে সরকার গঠন করেছিল। বেশ কয়েক বার সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল মিত্রদের রাজনৈতিক অসহযোগিতার কারণে মেয়াদকাল পূরণ করতে পারেনি। ২০১৪ সালের ১৬তম লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাট্রিক এলায়েন্স এনডিএ ৩৩৬টি আসন পেয়ে কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালনা করছে। অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ এলায়েন্স (ইউপিএ) মাত্র ৬০টি আসন পেয়ে ভারতের ইতিহাসে দুর্বলতম বিরোধী দল হিসেবে লোকসভায় বসেছে।

ভারতের উচ্চকক্ষের নাম রাজ্যসভা। যার জন্য বর্তমানে ২৪৫টি আসন আছে। রাজ্যসভার সদস্যগণ প্রতি ২ বছর পর পর্যায় ক্রমিকভাবে পরিবর্তিত হন। রাজ্যসভার প্রদেশভিত্তিক শূন্য আসনের বিপরীতে বিধানসভার দলগত অবস্থানের প্রেক্ষিতে রাজ্যসভার সদস্য মনোনীত হন। যে সব মেধাবী ও প-িতজনেরা সাধারণের ভোটে নির্বাচিত হন না বা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন না তাদের প্রজ্ঞা ও মেধা রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলো তাদের ভারতের রাজ্যসভায় মনোনীত করে দলের ও দেশের কল্যাণে তাদের অবদান গ্রহণ করে থাকে।

ভারতে তিন ক্যাটেগরির রাজনৈতিক দল আছে। জাতীয়, প্রাদেশিক ও ননরিকগনাইজড রাজনৈতিক দল। প্রত্যেকটি ক্যাটেগরিভুক্ত হতে নির্বাচনে আসন লাভের ওপর শর্ত আছে, ভোটপ্রাপ্তির ওপর শর্ত আছে, রাজনৈতিক কর্মকা- পরিচালনার ওপর শর্ত আছে ইত্যাদি। ভারতে বর্তমানে জাতীয় রাজনৈতিক দলের সংখ্যা মাত্র ৭টি, প্রাদেশিক রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫৪টি এবং ননরিকগনাইজড রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ষাটের অধিক। ৭টি জাতীয় দলের মধ্যে আছে ১৮৮৫ সালের প্রতিষ্ঠিত বর্তমানে রাহুল গান্ধির নেতৃত্বাধীন অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল কংগ্রেস (আইএনসি বা কংগ্রেস), ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বর্তমানে সুরাভরম সুধাকর রেড্ডির নেতৃত্বাধীন অল ইন্ডিয়া কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআই), ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বর্তমানে সিতারাম ইয়েচুরির নেতৃত্বাধীন মাকর্সাবাদী অল ইন্ডিয়া কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআইএম), ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত বর্তমানে অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বর্তমানে কুমারী মায়াবতীর নেতৃত্বাধীন বহুজন সমাজবাদী পার্টি (বিএসপি), ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বাধীন অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস এবং ১৯৯৯ সালে সারদ পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)। ভারতে আঞ্চলিক দলগুলো দিন দিন অনেক জাতীয় দলের চেয়েও রাজনৈতিকভাবে ভারত সরকার পরিচালনায় উল্লেখ যোগ্য অবদান রাখছে।

ভারতে প্রদেশের ইংরেজি বানানের আদ্যাক্ষরের ক্রমানুসারে প্রদেশ ও ইউনিয়ন টেরিটরিগুলো লেখা হয়। এ তালিকা অনুযায়ী বিগত নির্বাচনের বিশেষ উল্লেখযোগ্য দিকগুলো পাঠকদের জন্য নিম্নে উল্লেখ করা হলো :

আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জু :

আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জু বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপপুঞ্জু যা একটি ইউনিয়ন টেরিটরি হিসেবে পরিচিত। ব্রিটিশ ভারতের সময়ে স্বাধীনতাকামী সর্বভারতীয় ও ফৌজদারি মামলার অপরাধীদের এখানে বন্দী হিসেবে রাখা হতো। বাংলাদেশের মানুষ কালাপানির স্থান হিসেবে জায়গাটির সঙ্গে পরিচিত। এখানে লোকসভার একটি আসন রয়েছে। গত ২টি নির্বাচনে বিজিপি প্রার্থীরা অত্যন্ত মার্জিন ভোটে কংগ্রেস প্রার্থীকে পরাজিত করে জয়লাভ করছে।

অন্ধপ্রদেশ :

অন্ধপ্রদেশে লোকসভার আসন সংখ্যা ২৫টি, রাজ্যসভার আসন সংখ্যা ১১টি, এবং বিধানসভার আসন সংখ্যা ১৭৬টি। বর্তমান লোকসভায় তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ১৫টি, বিজেপির ২টি এবং জগমোহন রেড্ডি নেতৃত্বাধীন ওয়াই এসআর কংগ্রেস পার্টির ৮টি আসন রয়েছে। রাজ্যসভায় টিডিপির ৫টি, ওয়াইএসআর এর ২টি, কংগ্রেসের ২টি, টিআরএস এর ১টি এবং বিজেপির ১টি আসন রয়েছে। ২০১৪ সালের ১৪তম বিধানসভা নির্বাচনে টিডিপি ১০৩টি, বিজেপি ৪টি, ওওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি ৬৬টি ও অন্যান্য ২টি আসন পেয়েছে। ১টি আসন সংরক্ষিত। টিডিপি পার্টির নেতা চন্দ্র বাবু নাইডু মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রাদেশিক সরকার পরিচালনা করছেন। এ রাজ্যে লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন একই সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অন্ধপ্রদেশ ভেঙে ২০১৪ সালে ২৯তম প্রদেশ তেলেঙ্গনা হয়েছে। এখানে প্রকাশ্য কোন জোটগতভাবে নির্বাচন হচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলো আবারও নির্বাচনে জয়লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে।

(আগামীকাল সমাপ্য)

দৈনিক সংবাদ : ৪ এপ্রিল ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৭ এর পাতায় প্রকাশিত

back to top