alt

সাময়িকী কবিতা

: বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১

ছায়ামানুষের সঙ্গে
তৃণা চক্রবর্তী

ছায়ামানুষের সঙ্গে কথা বলতে বলতে
এক ছায়া এসে বসেছে ভেতরে
তার কথাবার্তা, হাঁটাচলা
আরে না না, বলে ওঠার ভঙ্গি
সব আমার মতো

অথবা আমার সব ভঙ্গি
হাঁটতে হাঁটতে আচমকা ফিরে তাকানো
কথা বলতে বলতে চুপ করে যাওয়া
সব ওর মতো
কিছু একটা হবে

যারা যা ভাববে, ভাবুক
একদিন সব ছেড়ে পালিয়ে যাব
ছায়ার জীবনে
তুমি এসে দেখবে
মগ্ন গাছের নিচে পড়ে আছে যথার্থ দিনগুলো
ডাল ভেঙ্গে চলে গেছে সব অভিযোগ

ঘুঘু কাহিনী
শেলী সেনগুপ্তা

বাস্তু ঘুঘু ও সাপের
মিল ও অমিলের কথা তোলা থাক,
শুধু বলবো
দুধকলায় পোষা বাস্তুসাপ মাথা গোঁজে
শার্টের আস্তিনে,
শান দেয় চেরা জিভে,

ছড়ানো দানা ফুরিয়ে গেলে
ঘুঘু চড়ে শূন্য ভিটায়
সেও নাকি বাস্তুঘুঘু!

অবসরের জানালা খুলে
গৃহস্থ উঠোন নিকোয়
সাপ-ঘুঘুর সঙ্গম-তৃষ্ণায়...

অশরীরী সংসার
শতাব্দী জাহিদ

আমাদের সংসার করা হলো না-
বিক্রমপুরের নাম না জানা শাখা নদীর বুকে
জেগে ওঠা কাশফুলের মাঠ, সবুজের দেয়াল পেঁচিয়ে
কাঠের দোতলা বাড়িটা বাংলা কবিতার নন্দনে জমে গেল।

এ্যালকোহলে বুঁদ থাকা শীতের খুনি বাতাস জানলো
ঈশ্বর, হিতৈশী, অগ্রজ কবিরা, ধাক্কা খাওয়া শরীরযুগল
বন্ধুরা তো বটেই-
আমাদের সন্তান হলো না
যারা এলো আমার আমার হয়ে জন্মালো।

আমাদের সংসার হলো না-
নক্তন্তন আদরে, দেয়াল হলো না সন্তানেরা।

বিন্নাপাড়ার মেয়ে
নিজাম বিশ্বাস

পথের ওপর আমি তখন আকন্দে কলি
তোমার ঠোঁটের হাসি দেখে ফুল হয়ে উঠি,
কলাবেণী দুলিয়ে দুলিয়ে যাও কই?
সন্ধ্যায় ফিরো ঘরে- আমি পথে পড়ে রই

বিন্নাপাড়ার মেয়ে, তুমি কোন্ ঘরের ঝি?
শুক্রবারে আসোনি তাই আমি ঝরে পড়েছি
ভুলোমনে গোলাপ পাপড়ি ছিঁড়ে ছিঁড়ে
অংক কোচিং শেষে আজো ফিরছো নাকি ঘরে!
ধুলোমাখা পথটা এখন কালো পিচে ঢাকা
তোমার পায়ের ছাপ মুছে যায় অটোগাড়ির চাকা

পরসুখের-অসুখ
সাইয়্যিদ মঞ্জু

অপ্রকাশিত আগুন দীর্ঘস্থায়ী হলে
মগজ পোড়ার ছাই উড়ে যায় ঊর্ধাকাশ
অহেতুক পুষে রাখা পরসুখের-অসুখ
বয়ে আনে-
প্রশান্তির পথে প্রচণ্ড বৈশাখী দিবা।

বিকিরিত সূর্যহাসি ঘূর্ণন সময় ধরে
সন্ধ্যার শরীরে অন্তরাল
সূত্রহীন কষাকষি অগণন ধারাপাত
মুনাফার শূন্যঘরে
নিঃসঙ্গতাই কেবল অতিব আপন।

প্রাণবান এক লাশ শোকহীন আশপাশ
নিজের ভেতর সারা গোরস্থান
স্বপ্ন ঘোরে দেখি এক উপোস বিড়াল
মিউ রবে হেঁটে যায় নিরুদ্দেশ
প্রভাতের মুখে
বিগত রাতের অনুবাদ
আছে কি ধারণ চোখ!
এপার ওপার কা-কা ডাক
খ্যাতি পিপাসার কাক।

যা কিছু ভুলের স্বভাব- পনের
নবনীতা রুমু সিদ্দিকা

চলে যাচ্ছি চলে যাবো বলে- কেউ কেউ অস্তিত্বের খণ্ড বিছিয়ে দিলো পথে। চলে যেতে যেতে যেটুকু পিছন ফিরি তার সবটুকুই হয়তো মিথ্যে নয়। টুলটুলে লালপথে কে কতোটুকু গেছে কতোদূর... বরং আরো ডুবে গেছে নিজের কাছেই। পূর্ণিমার পর চাঁদের দেহে ভাটা লাগে বন্ধু সুজন আমার-
মৃতজোছনায় আলোর বিষ্টিতে চন্দ্রমুখি স্মৃতির কাল রচনা করে। আমি কাউকে চটুল আহ্বান দিই না। চলে গেলে হেরে যাবো বিষ্টির র্স্পশ ভুলে যাবো- সেই যাবার পথের ধুলো উড়িয়ে আজীবন জোছনা মেখে পা ফেলতে পারি না- এতোগুলো জোছনাপ্রবণ উচ্ছলতা কাকে দিয়ে যাবো। কার কাছে জমা রাখবো নৈঃশব্দ্যিক অন্তর্বেদনার শীতকাল এবং হেঁটে যাবার সযতেœর পথযাত্রাসমূহ আমার!
তাই কৃষ্ণপক্ষের অদৃশ্য পথে সকল উৎর্কীণ ভুল চিহ্নের সময় রেখে গেলাম কালপরাণের ভুল স্বভাব উপাখ্যানে

আয়ুরেখা
অজিত দাশ


বোধের উলটো পথে এখন হাত বাড়াই
নিজেকে দেখার সাধ ফুরিয়ে নিশ্চিহ্ন হলে
ভেতরে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে এক নির্জন সন্ন্যাসীকে
খুঁজে ফেরার দিন ক্রমশ গিলে ফেলেছে একটা ভাঙ্গা সেতু,
যার পিলার বহু আগে আটকে দিয়েছিল গন্তব্য
তোমার-আমার! আমাদের রক্তদানার।
স্থির হয়ে গলে যাচ্ছে এখন সময়; তার চারপাশে
ভিড় করেছে পিঁপড়েরা সারিবদ্ধ পথে
তোমার মুখের আয়ুরেখা যে পাখির ডানায় ভর করে
বদলি হবে দেশে দেশে সেখানে আমারও অধিকার ছিলো।
আনমনে কোনো এক শীতের শুরুতে
তারা ফিরে আসবে ভেবে নিজের ভেতরে না গিয়ে
ভিজে কুয়াশার দুপুরে একাকি গাছ হয়ে রই।

অচেনা অচলায়তন
স্বপ্না ইসলাম ছো্‌য়া

যৌবনের শুরুতেই
শিখে গিয়েছিলাম নিঃসঙ্গতা কাকে বলে,
অথচ, চঞ্চল কর্নিয়ায় তখনও দুরন্ত কৈশোর
খেলা করছিল।
একলা ঘুঘুর নিরবচ্ছিন্ন সুরে
মোহাচ্ছন্ন হয়ে পড়তো ব্যথাতুর কথামালা।
সদ্য জন্ম নেয়া বেপরোয়া প্রেম কৌতূহলী চোখকে
বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দুদ্দাড় ভেঙে ফেলতো
অচেনা অচলায়তন;

ওইসব নিঃসঙ্গ প্রহর বেলায়,
আমি ধান ছড়ানো মাঠে পিঠ এলিয়ে,
ফড়িঙের ডানায় আনমনে রোদ জমাতাম।

কার্তিকের স্নান

আমি- শেষ

ছবি

মহিবুল আলমের কবিতায় নদী ও নারী

ছবি

কবি মাহমুদ কামাল ও নিমগ্ন আত্মার সাধক

ছবি

স্পর্শ

ছবি

নুরুন্নাহার মুন্নির গল্প

ছবি

মাটির মমতায় হেমন্ত বিকেল

ছবি

লোরকার দেশে

ছবি

জীবনানন্দ দাশ দূর-সময়ের সার্বভৌম কবি

ছবি

পথ ভিন্ন : প্রসঙ্গ লালন

ছবি

মার্গারেট অ্যাটউড ‘রানিং দ্য ব্যাট’

ছবি

এলোমেলো স্মৃতির সমরেশ মজুমদার

সাময়িকী কবিতা

ছবি

লোরকার দেশে

ছবি

বিমল গুহের কবিতার অন্তর্জগৎ ও শিল্পৈশ্বর্য

ছবি

কবিতার সুনীল সুনীলের কবিতা

ছবি

রূপান্তরের অকথিত গল্পটা

ছবি

মানব সভ্যতার আত্মবিশ্লেষণের আয়না

ছবি

বাইরে একটা কিছু জ্বলছে

ছবি

‘কাফকার মতো হবো বলে আইন পড়েছিলাম’

ছবি

সত্যেন সেনের উপন্যাস: মিথ ও ইতিহাসলগ্ন মানুষ

ছবি

বিস্ময়ের সীমা নাই

ছবি

নগর বাউল ও ত্রিকালদর্শী সন্ত কবি শামসুর রাহমান

সাময়িকী কবিতা

ছবি

ও বন্ধু আমার

ছবি

লোরকার দেশে

ছবি

শামসুর রাহমানের কবিতায় ‘মিথ’

ছবি

বহুমাত্রিক শামসুর রাহমান

ছবি

দূর-সময়ের সার্বভৌম কবি

ছবি

মাহফুজ আল-হোসেন-এর দশটি কবিতা

ছবি

মনোজগতের অন্বেষায়

সাময়িকী কবিতা

ছবি

এক ঘর রোদ

ছবি

দ্রোহের রম্য পঙ্ক্তিমালা

ছবি

সংবেদী রঙে ও রেখায় প্রাণের উন্মোচন

ছবি

অলস দিনের হাওয়া

tab

সাময়িকী কবিতা

বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১

ছায়ামানুষের সঙ্গে
তৃণা চক্রবর্তী

ছায়ামানুষের সঙ্গে কথা বলতে বলতে
এক ছায়া এসে বসেছে ভেতরে
তার কথাবার্তা, হাঁটাচলা
আরে না না, বলে ওঠার ভঙ্গি
সব আমার মতো

অথবা আমার সব ভঙ্গি
হাঁটতে হাঁটতে আচমকা ফিরে তাকানো
কথা বলতে বলতে চুপ করে যাওয়া
সব ওর মতো
কিছু একটা হবে

যারা যা ভাববে, ভাবুক
একদিন সব ছেড়ে পালিয়ে যাব
ছায়ার জীবনে
তুমি এসে দেখবে
মগ্ন গাছের নিচে পড়ে আছে যথার্থ দিনগুলো
ডাল ভেঙ্গে চলে গেছে সব অভিযোগ

ঘুঘু কাহিনী
শেলী সেনগুপ্তা

বাস্তু ঘুঘু ও সাপের
মিল ও অমিলের কথা তোলা থাক,
শুধু বলবো
দুধকলায় পোষা বাস্তুসাপ মাথা গোঁজে
শার্টের আস্তিনে,
শান দেয় চেরা জিভে,

ছড়ানো দানা ফুরিয়ে গেলে
ঘুঘু চড়ে শূন্য ভিটায়
সেও নাকি বাস্তুঘুঘু!

অবসরের জানালা খুলে
গৃহস্থ উঠোন নিকোয়
সাপ-ঘুঘুর সঙ্গম-তৃষ্ণায়...

অশরীরী সংসার
শতাব্দী জাহিদ

আমাদের সংসার করা হলো না-
বিক্রমপুরের নাম না জানা শাখা নদীর বুকে
জেগে ওঠা কাশফুলের মাঠ, সবুজের দেয়াল পেঁচিয়ে
কাঠের দোতলা বাড়িটা বাংলা কবিতার নন্দনে জমে গেল।

এ্যালকোহলে বুঁদ থাকা শীতের খুনি বাতাস জানলো
ঈশ্বর, হিতৈশী, অগ্রজ কবিরা, ধাক্কা খাওয়া শরীরযুগল
বন্ধুরা তো বটেই-
আমাদের সন্তান হলো না
যারা এলো আমার আমার হয়ে জন্মালো।

আমাদের সংসার হলো না-
নক্তন্তন আদরে, দেয়াল হলো না সন্তানেরা।

বিন্নাপাড়ার মেয়ে
নিজাম বিশ্বাস

পথের ওপর আমি তখন আকন্দে কলি
তোমার ঠোঁটের হাসি দেখে ফুল হয়ে উঠি,
কলাবেণী দুলিয়ে দুলিয়ে যাও কই?
সন্ধ্যায় ফিরো ঘরে- আমি পথে পড়ে রই

বিন্নাপাড়ার মেয়ে, তুমি কোন্ ঘরের ঝি?
শুক্রবারে আসোনি তাই আমি ঝরে পড়েছি
ভুলোমনে গোলাপ পাপড়ি ছিঁড়ে ছিঁড়ে
অংক কোচিং শেষে আজো ফিরছো নাকি ঘরে!
ধুলোমাখা পথটা এখন কালো পিচে ঢাকা
তোমার পায়ের ছাপ মুছে যায় অটোগাড়ির চাকা

পরসুখের-অসুখ
সাইয়্যিদ মঞ্জু

অপ্রকাশিত আগুন দীর্ঘস্থায়ী হলে
মগজ পোড়ার ছাই উড়ে যায় ঊর্ধাকাশ
অহেতুক পুষে রাখা পরসুখের-অসুখ
বয়ে আনে-
প্রশান্তির পথে প্রচণ্ড বৈশাখী দিবা।

বিকিরিত সূর্যহাসি ঘূর্ণন সময় ধরে
সন্ধ্যার শরীরে অন্তরাল
সূত্রহীন কষাকষি অগণন ধারাপাত
মুনাফার শূন্যঘরে
নিঃসঙ্গতাই কেবল অতিব আপন।

প্রাণবান এক লাশ শোকহীন আশপাশ
নিজের ভেতর সারা গোরস্থান
স্বপ্ন ঘোরে দেখি এক উপোস বিড়াল
মিউ রবে হেঁটে যায় নিরুদ্দেশ
প্রভাতের মুখে
বিগত রাতের অনুবাদ
আছে কি ধারণ চোখ!
এপার ওপার কা-কা ডাক
খ্যাতি পিপাসার কাক।

যা কিছু ভুলের স্বভাব- পনের
নবনীতা রুমু সিদ্দিকা

চলে যাচ্ছি চলে যাবো বলে- কেউ কেউ অস্তিত্বের খণ্ড বিছিয়ে দিলো পথে। চলে যেতে যেতে যেটুকু পিছন ফিরি তার সবটুকুই হয়তো মিথ্যে নয়। টুলটুলে লালপথে কে কতোটুকু গেছে কতোদূর... বরং আরো ডুবে গেছে নিজের কাছেই। পূর্ণিমার পর চাঁদের দেহে ভাটা লাগে বন্ধু সুজন আমার-
মৃতজোছনায় আলোর বিষ্টিতে চন্দ্রমুখি স্মৃতির কাল রচনা করে। আমি কাউকে চটুল আহ্বান দিই না। চলে গেলে হেরে যাবো বিষ্টির র্স্পশ ভুলে যাবো- সেই যাবার পথের ধুলো উড়িয়ে আজীবন জোছনা মেখে পা ফেলতে পারি না- এতোগুলো জোছনাপ্রবণ উচ্ছলতা কাকে দিয়ে যাবো। কার কাছে জমা রাখবো নৈঃশব্দ্যিক অন্তর্বেদনার শীতকাল এবং হেঁটে যাবার সযতেœর পথযাত্রাসমূহ আমার!
তাই কৃষ্ণপক্ষের অদৃশ্য পথে সকল উৎর্কীণ ভুল চিহ্নের সময় রেখে গেলাম কালপরাণের ভুল স্বভাব উপাখ্যানে

আয়ুরেখা
অজিত দাশ


বোধের উলটো পথে এখন হাত বাড়াই
নিজেকে দেখার সাধ ফুরিয়ে নিশ্চিহ্ন হলে
ভেতরে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে এক নির্জন সন্ন্যাসীকে
খুঁজে ফেরার দিন ক্রমশ গিলে ফেলেছে একটা ভাঙ্গা সেতু,
যার পিলার বহু আগে আটকে দিয়েছিল গন্তব্য
তোমার-আমার! আমাদের রক্তদানার।
স্থির হয়ে গলে যাচ্ছে এখন সময়; তার চারপাশে
ভিড় করেছে পিঁপড়েরা সারিবদ্ধ পথে
তোমার মুখের আয়ুরেখা যে পাখির ডানায় ভর করে
বদলি হবে দেশে দেশে সেখানে আমারও অধিকার ছিলো।
আনমনে কোনো এক শীতের শুরুতে
তারা ফিরে আসবে ভেবে নিজের ভেতরে না গিয়ে
ভিজে কুয়াশার দুপুরে একাকি গাছ হয়ে রই।

অচেনা অচলায়তন
স্বপ্না ইসলাম ছো্‌য়া

যৌবনের শুরুতেই
শিখে গিয়েছিলাম নিঃসঙ্গতা কাকে বলে,
অথচ, চঞ্চল কর্নিয়ায় তখনও দুরন্ত কৈশোর
খেলা করছিল।
একলা ঘুঘুর নিরবচ্ছিন্ন সুরে
মোহাচ্ছন্ন হয়ে পড়তো ব্যথাতুর কথামালা।
সদ্য জন্ম নেয়া বেপরোয়া প্রেম কৌতূহলী চোখকে
বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দুদ্দাড় ভেঙে ফেলতো
অচেনা অচলায়তন;

ওইসব নিঃসঙ্গ প্রহর বেলায়,
আমি ধান ছড়ানো মাঠে পিঠ এলিয়ে,
ফড়িঙের ডানায় আনমনে রোদ জমাতাম।

back to top