alt

দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও কাউখালীর ঐতিহ্যবাহী শীতলপাটির কদর

প্রতিনিধি, পিরোজপুর : সোমবার, ২০ মে ২০২৪

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার চিড়াপাড়া পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের সুবিদপুর গ্রামের শীতলপাটির সুনাম ছিল সারাদেশে। প্রায় ২০০ বছর ধরে এই গ্রামের পাটিকররা কোনোমতে ওই শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। কিন্তু যথাযথ স্বীকৃতি ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে দৃষ্টিনন্দন এ শীতল পাটির বিপন্ন দশা।

দেশের যে কয়টি জেলায় শীতল পাটি তৈরি হয় তার মধ্যে পিরোজপুরের কাউখালী অন্যতম। পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা সদর থেকে দুই কিলোমিটার দক্ষিণে সুবিদপুর গ্রামের অবস্থান। যে গ্রামের ৬০টি পরিবার আজও পাটি শিল্পকে তাদের বাঁচার একমাত্র অবলম্বন হিসেবে অঁাঁকড়ে রয়েছে। এখানকার তৈরি শীতলপাটি পাইকারদের হাত ঘুরে চলে যায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, পটুয়াখালী, যশোর ও খুলনার বাজারে।

রপ্তানি পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি না পেলেও শৌখিন ব্যবসায়ী ও বেড়াতে আসা অতিথিদের মাধ্যমে শীতলপাটি যাচ্ছে ভারত, নেপাল, ভূটান, মালয়শিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ব্রিটেনসহ অনেক দেশে। অনেকে আবার ঘরের শোভাবর্ধনে নকশা করা শীতলপাটি দেয়ালে টাঙিয়ে রাখেন।

সুবিদপুর গ্রামের রবিন পাটিকর জানান, কালের বিবর্তনে কাউখালীর পাটি শিল্প আজ বিলীনের পথে। অভাব তাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। রাত-দিন পরিশ্রম করেও দু’বেলা দু’মুঠো আহার জোগাতে পারছেন না আবার বাপ দাদার পেশা তাই এ পেশা ছাড়তেও পারছেন না তারা। উচ্চশিক্ষা দূরের কথা নাম দস্তখত শেখারও সুযোগ পায় না তাদের ৭০ ভাগ শিশু।

পাটিকর সীমা রানি জানান, পাঁচ ফুট প্রস্থ ও সাত ফুট দৈর্ঘ্যরে ভালো মানের একটি শীতলপাটি কাউখালীর বাজারে দুই হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। মধ্যম মানের একটি পাটির দাম ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা। এছাড়া ৪০০-৫০০ টাকায়ও কিছু শীতলপাটি মেলে।

তিনি আরও জানান, একটি শীতলপাটি তৈরি করতে সাধারণত তিন-চার দিন লাগে। একজন বয়স্ক পাটিকর সাত দিনে একটি পাটি তৈরি করতে পারেন।

গড় হিসেবে দেখা যায়, একটি পরিবারের তিন সদস্য মিলে কাজ করলেও মাসে ১০টিরও বেশি পাটি তৈরি সম্ভব নয়। ১০টি পাটি বিক্রি করে মাসে সর্বোচ্চ ছয়-সাত হাজার টাকা আয় হয়। এই আয়েই চলে পাটিকরদের সংসার। পাটি শিল্পের বিকাশে বড় সমস্যা হলো অর্থনৈতিক সংকট। শীতলপাটি তৈরির জন্য পাটিকরদের সরকারি, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কোনো ঋণ দেয় না। সরকার শীতলপাটি রপ্তানির উদ্যোগ নিলে পাটিকরদের সুদিন আসতো।

জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মামুন হোসাইন বাবলু জমাদ্দার বলেন, পাটি শিল্পটি আমাদের ঐহিত্য, এই শিল্পটি বাঁচিয়ে রাখতে সমাজের সব মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

চিরাপাড়া পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাইকুজ্জামান মিন্টু তালুকদার বলেন, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ দেশি-বিদেশি পর্যটক এলাকাটি পরিদর্শন করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্বজনল মোল্লা আশ্বাস দিয়ে বলেন, এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে যা কিছু দরকার তার জন্য আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেষ্টা করবো।

ডিমলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার

এক মোটরসাইকেলে ৪ বন্ধু, দুর্ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু

চট্টগ্রামে স্কুল ও দোকানে আগুন

চুনারুঘাটে মধ্যরাতে এক যুবকের লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা

মধুপুরে দায়েরকৃত ৮৮টি মামলা প্রত্যাহার

তিতাসে ট্রলিগাড়ি উল্টে নদীতে তিন নারীর মৃত্যু

নোয়াখালীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে মোটরসাইকেল ছিনতাই

সিরাজগঞ্জে পরকীয়ার জেরে প্রেমিককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

চট্টগ্রামে কাস্টমস কর্মকর্তাদের গাড়িতে হামলার সময় ‘গুলি কর, গুলি কর’ শব্দ

চান্দিনায় দুই দিনে ১৬ ড্রেজার ও ৪০ হাজার ফুট পাইপ ধ্বংস

শ্রীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ৯টি বসতঘর পুড়ে ছাই, নগদ টাকাসহ ১৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

ছবি

গদখালীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা, টিউলিপে নতুন সম্ভাবনার আভাস

ছবি

শাহজাদপুরে কুমড়ো বড়ি বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন জাহানারা খাতুন

ছবি

হাটহাজারীতে অভিযানে বিষের কৌটা জব্দ

ছবি

বরুড়ায় আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

ছবি

হোমনায় অ্যাসিল্যান্ডের গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশু ফাইজা’র মর্মান্তিক মৃত্যু

ছবি

ওকালতি ছেড়ে কৃষিকাজ মাটির টানে কোটিপতি আমিনুল

ছবি

আদমদীঘির গ্রামে গ্রামে পিঠা খাওয়ার ধুম

ছবি

চাটখিলে পাঁচ দফা দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের মানববন্ধন

ছবি

নাসিরনগরে নিখোঁজ ছাত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

ছবি

দুমকিতে নতুন ইউএনওর সাথে মতবিনিময়

ছবি

মাইজভান্ডার ওরশ উপলক্ষে প্রশাসনিক সমন্বয় সভা

ছবি

ভাঙ্গুড়ায় একই রাতে ৫ জুয়েলার্স ও তিন বাড়িতে ডাকাতি

ছবি

রায়পুরে কৃষকের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ

ছবি

গজারিয়ায় পুকুরে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধনের অভিযোগ

ছবি

মানিকগঞ্জে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতি

ছবি

রায়পুরায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রাণতোষ সরকারকের গুলি করে হত্যা

ছবি

কালীগঞ্জে টানা আন্দোলনে স্বাস্থ্যসেবায় অচলাবস্থায়

ছবি

রায়গঞ্জে আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

ছবি

লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

ছবি

কুষ্টিয়ায় কিল-ঘুসিতে গাড়িচালকের মৃত্যু গ্রেপ্তারের দাবীতে মানবন্ধন

ছবি

৪ ডিসেম্বর দেবীদ্বার হানাদারমুক্ত দিবস

ছবি

গজারিয়ায় ইয়াবাসহ আটক ১

ছবি

সুর সুধা সঙ্গীতায়নের প্রতিবন্ধী ব্যক্তি দিবস উদযাপন

ছবি

আমন ধানের ক্ষেতে ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান সংগ্রহ

ছবি

চাটমোহরে মহিলা দলের দুই নেত্রী গ্রেপ্তার

tab

দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও কাউখালীর ঐতিহ্যবাহী শীতলপাটির কদর

প্রতিনিধি, পিরোজপুর

সোমবার, ২০ মে ২০২৪

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার চিড়াপাড়া পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের সুবিদপুর গ্রামের শীতলপাটির সুনাম ছিল সারাদেশে। প্রায় ২০০ বছর ধরে এই গ্রামের পাটিকররা কোনোমতে ওই শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। কিন্তু যথাযথ স্বীকৃতি ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে দৃষ্টিনন্দন এ শীতল পাটির বিপন্ন দশা।

দেশের যে কয়টি জেলায় শীতল পাটি তৈরি হয় তার মধ্যে পিরোজপুরের কাউখালী অন্যতম। পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা সদর থেকে দুই কিলোমিটার দক্ষিণে সুবিদপুর গ্রামের অবস্থান। যে গ্রামের ৬০টি পরিবার আজও পাটি শিল্পকে তাদের বাঁচার একমাত্র অবলম্বন হিসেবে অঁাঁকড়ে রয়েছে। এখানকার তৈরি শীতলপাটি পাইকারদের হাত ঘুরে চলে যায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, পটুয়াখালী, যশোর ও খুলনার বাজারে।

রপ্তানি পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি না পেলেও শৌখিন ব্যবসায়ী ও বেড়াতে আসা অতিথিদের মাধ্যমে শীতলপাটি যাচ্ছে ভারত, নেপাল, ভূটান, মালয়শিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ব্রিটেনসহ অনেক দেশে। অনেকে আবার ঘরের শোভাবর্ধনে নকশা করা শীতলপাটি দেয়ালে টাঙিয়ে রাখেন।

সুবিদপুর গ্রামের রবিন পাটিকর জানান, কালের বিবর্তনে কাউখালীর পাটি শিল্প আজ বিলীনের পথে। অভাব তাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। রাত-দিন পরিশ্রম করেও দু’বেলা দু’মুঠো আহার জোগাতে পারছেন না আবার বাপ দাদার পেশা তাই এ পেশা ছাড়তেও পারছেন না তারা। উচ্চশিক্ষা দূরের কথা নাম দস্তখত শেখারও সুযোগ পায় না তাদের ৭০ ভাগ শিশু।

পাটিকর সীমা রানি জানান, পাঁচ ফুট প্রস্থ ও সাত ফুট দৈর্ঘ্যরে ভালো মানের একটি শীতলপাটি কাউখালীর বাজারে দুই হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। মধ্যম মানের একটি পাটির দাম ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা। এছাড়া ৪০০-৫০০ টাকায়ও কিছু শীতলপাটি মেলে।

তিনি আরও জানান, একটি শীতলপাটি তৈরি করতে সাধারণত তিন-চার দিন লাগে। একজন বয়স্ক পাটিকর সাত দিনে একটি পাটি তৈরি করতে পারেন।

গড় হিসেবে দেখা যায়, একটি পরিবারের তিন সদস্য মিলে কাজ করলেও মাসে ১০টিরও বেশি পাটি তৈরি সম্ভব নয়। ১০টি পাটি বিক্রি করে মাসে সর্বোচ্চ ছয়-সাত হাজার টাকা আয় হয়। এই আয়েই চলে পাটিকরদের সংসার। পাটি শিল্পের বিকাশে বড় সমস্যা হলো অর্থনৈতিক সংকট। শীতলপাটি তৈরির জন্য পাটিকরদের সরকারি, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কোনো ঋণ দেয় না। সরকার শীতলপাটি রপ্তানির উদ্যোগ নিলে পাটিকরদের সুদিন আসতো।

জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মামুন হোসাইন বাবলু জমাদ্দার বলেন, পাটি শিল্পটি আমাদের ঐহিত্য, এই শিল্পটি বাঁচিয়ে রাখতে সমাজের সব মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

চিরাপাড়া পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাইকুজ্জামান মিন্টু তালুকদার বলেন, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ দেশি-বিদেশি পর্যটক এলাকাটি পরিদর্শন করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্বজনল মোল্লা আশ্বাস দিয়ে বলেন, এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে যা কিছু দরকার তার জন্য আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেষ্টা করবো।

back to top