টাঙ্গাইলের ধনবাড়রি ভাতকুড়া-মুশুদ্দি সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় স্থানীয়দের যাতায়াতের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিনের বেলায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করা গেলেও রাতে চলাচলে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কে বড়-বড় গর্তের পাশাপাশি পাকা অংশ ভেঙে নদীতে চলে গেছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পথচলা। সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কার না করায় এমন পরিস্থিতি হয়েছে। সড়কের বেশ কয়েটি অংশে চলাচল কষ্টকর। এতে অটোরিকশা ভ্যান, ইজিবাইক, মোটরসাইকেলসহ অন্য যানবাহন চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য হাটবাজারে নিতে অর্থ ব্যয় বেড়ে গেছে বলে স্থানীয়রা জানালেন।
পাইস্কা ইউনিয়নের ভাতকুড়া গ্রাম দিয়ে সড়কটি চলে গেছে। সড়কটি ধরে প্রতিদিন চলাচল করছে বীরতারা, বলিভদ্র, মুশুদ্দি ও পাইস্কা ইউনিয়নের হাজারো মানুষ। সড়কের পাশে বৈরান নদী। ভাতকুড়ার নজরুলের দোকান হতে ব্রিজ পর্যন্ত সড়কের সিংহভাগ অংশ ভেঙে নদীতে চলে গেছে। ভাঙা অংশের পাশ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাওয়া-আসা করতে হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ চলাচলকারীদের। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
স্থানীয় মুকুল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ‘সড়কটি ভেঙে গেছে। এটি জনগুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ সড়ক। এমন ভাঙা সড়ক উপজেলায় আর নেই। রাতের বাইসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় নদীতে পড়ে আমার ডান কাধের জয়েন্ট ভেঙে গিয়েছিল। আগের মত কোনো কাজকর্ম করতে পারছে না।’
ভাতকুড়া গ্রামের ফারুক হোসাইন জানান, ‘৪-৫ বছর আগে সড়কটি ভাঙন শুরু হয়। উপজেলা থেকে তখন কিছু মেরামতের কাজ করা হয়েছিল। গ্রামবাসী বিষয়টি বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের বারবার অবহিত করলেও গুরুত্ব দেননি। তাই গ্রামবাসী ১০-৫০ টাকা চাঁদা তুলে ভাঙা অংশগুলো মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করেন বলে তিনি জানান।’
বেলাল হোসেন ও আসাদুজ্জামান জানান, এই সড়ক থেকে নদীতে পড়ে অনেকেই পড়ে আহত হয়েছে। রাতে কেউ বিপদে পড়লে তার কষ্টে শেষ থাকে না। অটোরিকশাচালক আব্দুল আলিম ও রাসেদুল ইসলামসহ আরও অনেকেই জানান, ‘সড়কটি এখন মরণ ফাঁদ। রাতে অন্ধকারে চলাচল করতে গিয়ে লোকজন দুর্ঘটনায় পড়েন।’
সবজির বেপারী আ. রহিম মিয়াজানান, উপজেলায় সবচেয়ে বেশি সবজি উৎপাদন হয় মুশুদ্দি ও বলিভদ্র ইউনিয়নে। এই ভাঙা সড়কে তেমন কোনো গাড়ি চলাচল করতে চায় না।
পাইস্কা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বাবুল সাংবাদিকদের জানান, ‘এই সড়ক দিয়ে শুষ্ক মৌসুমে কোনো মতে চলাফেরা করা যায়। তবে আমরা চেষ্টা করছি এটি সংস্কারের।’
ধনবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম মন্ডল সাংবাদিকদের জানান, ‘সড়কটি সংস্কারে প্রকল্প গ্রহণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট ফাইল পাঠানো হয়েছে।’ বরাদ্দ পেলে সংস্কারের কাজ শুরু হবে।
অপরাধ ও দুর্নীতি: দেশে ও লন্ডনে আনোয়ারুজ্জামানের বিপুল সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক
অপরাধ ও দুর্নীতি: ৪৩ বছর ধরে প্লট দখলে আমলা-রাজনীতিকরা, বঞ্চিত স্থানীয় চাষিরা
নগর-মহানগর: আরও কয়েকটি এলাকায় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা