নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, চলতি বছর অর্থ বরাদ্দ সহ ৬ দফা দাবিতে আজ মঙ্গলবার রংপুর সিটি করপোরেশন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছে ‘তিস্তা বাাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ’।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফর করে ফিরে এসে বলেছেন তিস্তা মহাপরিকল্পনা চীন বা ভারত করতে চায়। তবে ভারতের করা উচিত বলে জানিয়েছেন। অথচ তিনি এর আগে বলেছেন প্রয়োজনে নিজস্ব অর্থায়নে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। বক্তারা বলেন তারা কারো মুখাপেক্ষি থাকতে চান না। প্রাথমিক কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করার দাবিও জানান তারা। তারা দাবি আদায়ের জন্য তিস্তা নদী সংলগ্ন বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশের ঘোষনা দেন। জুলাই মাস ব্যাপি এই কর্মসূচি চলবে বলেও জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন তিস্তা বাাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যাক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী সাধারন সম্পাদক শফিয়ার রহমান। এ সময় অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে যে ৬ দফা দাবি তুলে ধরা হয় সেগুলো হচ্ছে তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন , অভিন্ন নদী হিসেবে ভারতের সাথে ন্যায্য হিস্যার ভিত্তিতে তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন , তিস্তা নদীতে সারা বছর পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে জলাধার নির্মান, তিস্তা নদীর শাখা প্রশাখা ও উপ শাখাগুলোর সাথে নদীর পুর্বেকার সংযোগ স্থাপন ও নৌ চলাচল পুনরায় শুরু করা, তিস্তা মহাপরিকল্পনায় তিস্তা নদী ও তিস্তা তীরবর্তী কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষায় কৃষক সমবায় ও কৃষি ভিত্তিক শিল্প কলকারখানা গড়ে তোলা, তিস্তার ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষন । নদী ভাঙ্গনের শিকার ভুমিহীন-গৃহহীন মৎসজিবীসহ উদ্বাস্তু মানুষদের পুর্নবাসন, ভুমিদস্যু ও কর্পোরেট কোম্পানীর কবল থেকে দখলকৃত তিস্তাসহ শাখা, উপশাখা দখলমুক্ত করা, নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহন করা এবং তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপুরনের ব্যবস্থা গ্রহন এবং প্রকল্প এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিস্তা পাড়ের মানুষদের কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা করা।

আগষ্ট মাসে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষনা দেয়া হয়।