alt

সারাদেশ

কক্সবাজারে ছাত্রলীগ নেতা মারধরের ঘটনায় আরও ১১ জন গ্রেফতার

জেলা বার্তা পরিবেশক, কক্সবাজার : বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার শহরে সংঘটিত হামলা, ভাঙচুর ও ছাত্রলীগের চার নেতাকে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা ৪ মামলায় আরও ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেল ৫টায় কক্সবাজারের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, কক্সবাজারে সংঘটিত ঘটনায় ৪ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ১১ জনসহ এ পর্যন্ত ৩৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলায় জড়িতদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে। ভিডিও, ছবি দেখে যাদের শনাক্ত করা যাচ্ছে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরুতে কক্সবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু গত ১৬ জুলাই বেলা ১১ টায় মিছিল করে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম সড়কের লিংক রোড এলাকায় অবস্থান নেয় কক্সবাজার পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী ও শিবির নেতারা। পুলিশ ওই সময় সড়ক থেকে তাদের সরিয়ে দিলেও এরা মিছিল সহকারে কক্সবাজার সরকারি কলেজে গেইটে যান। ওখানে আগে থেকে অবস্থান নেয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওখানে গাড়ি ভাঙচুরও করা হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর আন্দোলনকারীরা আবারও অবস্থান নেন সদরের লিংকরোড এলাকায়। আবারও পুলিশ তাদের সরিয়ে দেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা ওখান থেকে বিকেল ৪ টায় মিছিল সহকারে কক্সবাজার শহরে আসে। তারা শহরের লাল দিঘীর পাড় এলাকায় গিয়ে যেখানে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগ, জাসদ ও জাতীয় পার্টির কার্যালয় ভাঙচুর করে। কুপিয়ে ও মারধরে আহত করা হয় ছাত্রলীগের ৪ নেতাকে। একই সময় পাশের একটি মসজিদেও ভাঙচুর করে তারা।

ওই ঘটনার পর বুধবার উভয়পক্ষ মিছিল ও সভা করে কর্মসূচি শেষ করে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর চালানো হয় তাণ্ডব। সন্ধ্যার পর আন্দোলনকারীরা মিছিল সহকারে বাস টার্মিনাল হয়ে গাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, বোমা বিস্ফোরণ করতে করতে আসতে থাকে শহরের দিকে। এ খবরে লালদিঘীর পাড় এলাকায় জড়ো হন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। মিছিলটি ওই এলাকায় পৌঁছার সাথে সাথেই উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়।

একের পর এক গুলি বর্ষণ, হাত বোমার বিস্ফোরণে সংঘর্ষ চলতে থাকে। রাত ৯ টার দিকে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই সময় লালদিঘীর পাড় এলাকায় অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ। আন্দোলনকারীরা অবস্থান নেন ফজল মার্কেট এলাকায়। এক পর্যায়ে পুলিশ-বিজিবি, র‌্যাবের সাথেও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয় আন্দোলনকারীদের। ওই দিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সময় লাগে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত। ওই দিনের ঘটনায় একজনের মৃত্যু ও আহত হন আরও ৩৭ জন।

শুক্রবার সন্ধ্যার পর আবার শহরের প্রধান সড়কের বার্মিজ মাকের্ট, টেকপাড়া, তারাবানিয়ার ছড়া, রুমালিয়ারছড়া, আলীজাহান এলাকায় অবস্থান নেন তারা। এ সময় গাড়ি ভাঙচুর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়।

ছবি

সীমান্তে ভারতে পালানোর সময় জৈন্তাপুর উপজেলা আ.লীগ সভাপতি কামাল আহমেদ গ্রেপ্তার

ছবি

রাউজানে গোলাগুলিতে যুবদল নেতা গুলিবিদ্ধ

ছবি

পটিয়ায় সোনা ছিনতাইয়ের ঘটনায় যুবদল নেতা বহিষ্কার

সিলেটে হযরত শাহপরান (রহ.) মাজারে গান-বাজনা নিষিদ্ধ

ছবি

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের কর্মচারীদের মারধর, ও তত্বাবধায়ককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ রোগীর স্বজনদের বিরুদ্ধে

ছবি

আরসা আরএসও’র গোলাগুলিতে উত্তপ্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্প

ছবি

বদিকে নিরাপত্তাজনিত কারণে চট্টগ্রাম কারাগারে স্থানান্তর

ছবি

কা‌শিমপুর কারাগার‌ে এক কারারক্ষী মাদকসহ আটক

ছবি

সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণে ১২ জন দগ্ধ

বয়ারচর সংযোগ ব্রিজ ও বেড়িবাঁধ রক্ষায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন

ছবি

চট্টগ্রামে শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণ, আহত ১২ শ্রমিক

ছবি

চাঁদপুরে যুবলীগ নেতার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার, মুখ-মাথা স্কচটেপ দিয়ে বাঁধা

ছবি

বারি’র অভ্যন্তরীণ গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালা শুরু

ছবি

আশুলিয়ায় কাজে ফিরেছেন শ্রমিকরা, নিরাপত্তা জোরদার

ছবি

বঙ্গবন্ধু সেতুতে ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, ৩ জনের মৃত্যু

ছবি

গোলাম দস্তগীর গাজীর কারখানায় আবারও লুটপাটের পর আগুন

নরসিংদীতে পাটকলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

ছবি

কক্সবাজারে উখিয়ায় মুরগী বহনকারী পিকআপ থেকে ইয়াবা উদ্ধার, দুই কারবারী আটক

ছবি

মদনপুরে দেওয়ানবাগ দরবার শরীফে হামলা ভাঙচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ

ছবি

কক্সবাজারে পুকুরে ডুবে যুবকের মৃত্যু

ছবি

টেকনাফে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার

ছবি

সাভার শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ, যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ১৪

ছবি

অধ্যক্ষকে হাতুড়িপেটা করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর, মামলা

ছবি

কক্সবাজারে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৮ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

ছবি

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিশেষ যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ আরসা সদস্য গ্রেফতার

ছবি

কুমিল্লায় মাইক্রোবাসের পেছনে বাসের ধাক্কায় শিশুসহ নিহত ৪

নবীকে নিয়ে ‘কটূক্তি’: খুলনায় পুলিশ কার্যালয়ে ঢুকে তরুণকে গণপিটুনি

রংপুরের মিঠাপুকুরে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ন শ্রেণীকক্ষ

ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজিবি’র অভিযানে ৭৫০ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার

শরণখোলায় এক কিশোরীর আত্মহত্যা

বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে অন্তত ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দুদকে

ছবি

রামুতে ৫ কোটি টাকার ক্রিস্টাল মেথ আইস উদ্ধার

ছবি

নাজিরপুরে অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

ছবি

ফরিদপুরে নিখোঁজ ছেলের সন্ধান চায় বাবা

ছবি

বাংলাদেশে মায়ানমার বিজিপি সদস্যের মৃত্যু, সর্বোচ্চ মর্যাদায় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া

ছবি

গাজীপুরে শিল্প পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর কড়া পাহারায় খুলেছে সব কারখানা

tab

সারাদেশ

কক্সবাজারে ছাত্রলীগ নেতা মারধরের ঘটনায় আরও ১১ জন গ্রেফতার

জেলা বার্তা পরিবেশক, কক্সবাজার

বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার শহরে সংঘটিত হামলা, ভাঙচুর ও ছাত্রলীগের চার নেতাকে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা ৪ মামলায় আরও ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেল ৫টায় কক্সবাজারের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, কক্সবাজারে সংঘটিত ঘটনায় ৪ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ১১ জনসহ এ পর্যন্ত ৩৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলায় জড়িতদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে। ভিডিও, ছবি দেখে যাদের শনাক্ত করা যাচ্ছে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরুতে কক্সবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু গত ১৬ জুলাই বেলা ১১ টায় মিছিল করে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম সড়কের লিংক রোড এলাকায় অবস্থান নেয় কক্সবাজার পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী ও শিবির নেতারা। পুলিশ ওই সময় সড়ক থেকে তাদের সরিয়ে দিলেও এরা মিছিল সহকারে কক্সবাজার সরকারি কলেজে গেইটে যান। ওখানে আগে থেকে অবস্থান নেয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওখানে গাড়ি ভাঙচুরও করা হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর আন্দোলনকারীরা আবারও অবস্থান নেন সদরের লিংকরোড এলাকায়। আবারও পুলিশ তাদের সরিয়ে দেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা ওখান থেকে বিকেল ৪ টায় মিছিল সহকারে কক্সবাজার শহরে আসে। তারা শহরের লাল দিঘীর পাড় এলাকায় গিয়ে যেখানে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগ, জাসদ ও জাতীয় পার্টির কার্যালয় ভাঙচুর করে। কুপিয়ে ও মারধরে আহত করা হয় ছাত্রলীগের ৪ নেতাকে। একই সময় পাশের একটি মসজিদেও ভাঙচুর করে তারা।

ওই ঘটনার পর বুধবার উভয়পক্ষ মিছিল ও সভা করে কর্মসূচি শেষ করে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর চালানো হয় তাণ্ডব। সন্ধ্যার পর আন্দোলনকারীরা মিছিল সহকারে বাস টার্মিনাল হয়ে গাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, বোমা বিস্ফোরণ করতে করতে আসতে থাকে শহরের দিকে। এ খবরে লালদিঘীর পাড় এলাকায় জড়ো হন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। মিছিলটি ওই এলাকায় পৌঁছার সাথে সাথেই উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়।

একের পর এক গুলি বর্ষণ, হাত বোমার বিস্ফোরণে সংঘর্ষ চলতে থাকে। রাত ৯ টার দিকে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই সময় লালদিঘীর পাড় এলাকায় অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ। আন্দোলনকারীরা অবস্থান নেন ফজল মার্কেট এলাকায়। এক পর্যায়ে পুলিশ-বিজিবি, র‌্যাবের সাথেও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয় আন্দোলনকারীদের। ওই দিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সময় লাগে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত। ওই দিনের ঘটনায় একজনের মৃত্যু ও আহত হন আরও ৩৭ জন।

শুক্রবার সন্ধ্যার পর আবার শহরের প্রধান সড়কের বার্মিজ মাকের্ট, টেকপাড়া, তারাবানিয়ার ছড়া, রুমালিয়ারছড়া, আলীজাহান এলাকায় অবস্থান নেন তারা। এ সময় গাড়ি ভাঙচুর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়।

back to top