কোটা সংস্কার আন্দোলনে জ্বালাও পোড়াও ভাংচুরসহ বিশৃঙ্খল পরিবেশ পরিস্থিতির তৈরি হলেও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের পরিবেশ পরিস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। এই উপজেলার কোথাও কোনো প্রতিষ্ঠান বা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে মেঘনা সেতু পর্যন্ত কোনো স্থানে পরিবহনে হামলা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা না ঘটলেও নাশকতার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে ৮ শতাধিক মানুষের বিরুদ্ধে। গত সোমবার সোনারগাঁ থানার এক উপ-পরিদর্শক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন বলে থানার একটি গোপন সূত্র জানায়। এই মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে প্রায় শতাধিক নামীয় সহ অজ্ঞাত আরো ৭ শতাধিক মানুষকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর থেকে এই পর্যন্ত পিরোজপুর, সাদীপুর, কাঁচপুর সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশত মানুষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে নাশকতার মামলা ও আসামিদের বিষয়ে জানতে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়ে সেকেন্ড অফিসার (উপ-পরিদর্শক) পঙ্কজ কান্তি সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি তথ্য দিতে অসহযোগিতা করে বলেন, মামলা হয়েছে। আর কিছু জানিনা, বলতে পারবোনা। অপরদিকে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জিঃ মাসুদুর রহমান মাসুম, সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান কালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, সমবায় বিষয়ক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ, যুবলীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুসহ নেতৃবৃন্দ সংবাদকে জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সোনারগাঁয়ে কোনো প্রকার জ্বালাও পোড়াও ভাংচুরসহ নাশকতার কোনো ঘটনা ঘটেনি। নাশকতা ঠেকাতে সর্বক্ষণ মাঠে ছিল আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তবে বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্ররা গত বুধবার কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থন জানিয়ে শান্তিপূর্ণ মিছিল করে চলে যায়। পরেরদিন ১৮ তারিখ বৃহস্পতিবার আবারো কাঁচপুর ও টিপরদী এলাকায় ছাত্ররা জড়ো হয়ে মহাসড়কে অবস্থান নেয়ার চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগের পাহাড়ার কারণে মহাসড়ক অবরোধ করতে পারেনি তারা। সব মিলিয়ে সোনারগাঁয়ের পরিবেশ পরিস্থিতি থমথমে অবস্থা বিরাজ করলেও অপ্রিতিকর তেমন কিছু ঘটেনি। এছাড়াও স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়সার আরো জানান, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কারো বিরুদ্ধে কোনো হয়রানি মূলক মামলা দেয়া হয়নি। পুলিশ যদি কারো বিরুদ্ধে কোনো মামলা করে সেটা তাদের প্রশাসনিক বিষয়।