alt

সারাদেশ

রায়গঞ্জে অব্যবস্থাপনায় বন্ধের মুখে প্রাণিসম্পদ উপকেন্দ্রগুলো

প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) : বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪

রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) : অব্যবস্থাপনায় এভাবেই পড়ে আছে প্রাণিসম্পদ উপকেন্দ্রের কৃত্রিম প্রজনন পয়েন্ট-সংবাদ

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা প্রাণিসম্পদ উপকেন্দ্রের অবকাঠামো এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার বেহাল দশা। দীর্ঘদিন ধরে এই প্রাণিসম্পদ উপকেন্দ্র (কৃত্রিম প্রজনন পয়েন্ট) এর চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার হাজার হাজার হাঁস-মুরগি, ছাগল-ভেড়া ও গবাদিপশু খামারিরা। এসব দেখার যেন কেউ নেই। নানা সমস্যায় জর্জরিত একমাত্র প্রাণিসম্পদ উপকেন্দ্র ও কৃত্রিম প্রজনন পয়েন্ট এটি। নানামুখী অব্যবস্থাপনায় বন্ধের মুখে এই সেবা কেন্দ্রেটি। প্রায় ২৬ বছর আগে নির্মিত এ কেন্দ্রটির অবস্থা একেবারেই নাজুক। দূর থেকে দেখে মনে হয় এটি ভুতুড়ের কারখানা।

উন্নত জাতের গবাদি পশুর বিস্তারে ও খামারিদের সেবাদানে সলঙ্গায় স্থাপিত হয় প্রাণিসম্পদ উপকেন্দ্র ও কৃত্রিম প্রজনন পয়েন্ট। এ কেন্দ্র থেকে উন্নত জাতের গরুর সিমেন (বীর্য) সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে কৃষক ও খামারিদের মাঝে বিতরণ করা হয়। সরেজমিনে প্রাণিসম্পদ উপকেন্দ্রটিতে গিয়ে দেখা গেছে. জরাজীর্ণ অবস্থায় সেখানে রয়েছে কেটে রাখা বিভিন্ন গাছের গুল ও বাসা বাড়ির আবাপত্রসহ বিভিন্ন জ্বালানি, কতদিন ধরে কেন্দ্রটি খোলা হয় না তা অনেকেই বলতে পারে নাই। রায়গঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের একটি সাব-প্রাণিসম্পদ কল্যাণ কেন্দ্র সলঙ্গা থাকলেও তা কোনো কাজে আসছে না সাধারণ খামারিদের। এই কেন্দ্রটির অবকাঠামো, প্রয়োজনীয় উপকরণ, ওষুধ ও জনবল সংকটের কারণেই দিন দিন নিমজ্জিত হয়ে পড়ছে সরকারি এই প্রাণিসম্পদ উপকেন্দ্রটি।

বর্তমান সরকার দেশকে দরিদ্রমুক্ত করতে বিভিন্ন উপায়ে যেমন, ছাগল-ভেড়া পালন, হাঁস-মুরগির খামার, গবাদি পশু পালনে মানুষদের আগ্রহী করছেন ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, ব্যাংক এবং এনজিওর মাধ্যমে ঋণ দিচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে সরকারি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অসচেতনতা ও অবহেলায় যেমন আগ্রহ হারাতে বসেছে পশু পালনকারীরা, তেমনি নষ্ট হচ্ছে প্রাণিসম্পদ উপকেন্দ্রের (কৃত্রিম প্রজনন পয়েন্ট) ভবন ও সরঞ্জামাদি। কেন্দ্রটি না খোলায় এলাকার কিছু মানুষ ভবনটিকে নিজের সম্পদ মনে করে দখল করে ব্যবহার করছেন। প্রয়োজনীয় জনবল ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের দেখভালের অভাবে এই প্রাণিসম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রটির কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

এলাকাবাসী জানায় এক সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে এই কেন্দ্রে প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০ জন বিভিন্ন সেবা যেমন কৃত্তিম প্রজনন, ছাগলের ঠা-া কাশিসহ ভ্যাক্সিন দিতে আসত। বর্তমানে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আসার পর থেকে কেন্দ্রটিতে তদারকি না করায় যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে পশু-পাখি নিয়ে ছুটে চলছে গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তারদের কাছে। আর তাদের শরণাপন্ন হয়েই এলাকার চাষি ও খামারিদের অনেকই প্রতারিত হচ্ছেন।

খামারি ফারুক হোসেন বলেন, আগে এই কেন্দ্র থেকে গবাদিপশুদের চিকিৎসাসহ বিভিন্ন পরামর্শ নিতাম কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এটি বন্ধ থাকায় সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে খামারিরা। স্থানীয় সচেতনমহল জানান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহেলা, জনবল ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের দেখভালের অভাবে এটির কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। নষ্ট হচ্ছে প্রাণিসম্পদ উপকেন্দ্রের ভবন ও সরঞ্জামাদি। কেন্দ্রটি না খোলায় এলাকার মানুষেরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ বিষয়ে সলঙ্গা প্রাণিসম্পদ উপকেন্দ্রের এ আই টেকনিশিয়ান মো. আফজাল হোসেন নিয়মিত অফিসে আসেন না স্বীকার করে প্রতিবেদককে বলেন, অফিসের সামনে অনেকে বড় বড় গাছের গুল, স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের অফিসের আসবাপত্র পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।

অফিসে যাওয়াই যায় না। তিনি আরও বলেন, আমি গ্রামে গ্রামে থাকি যদিও আমার বাসা সলঙ্গা বাজারের ভেতর। অফিসে ফোন নাম্বার লেখা আছে কোনো খামারি এসে ফোন দিলে যেখানেই থাকি সঙ্গে সঙ্গে চলে আসি। তবে একটু বৃষ্টি হলে অফিস কক্ষে পানি উঠে একাকার হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এ কেন্দ্রে কর্মরত উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম মুন্নুর কথা জানতে চাইলে এ আই টেকনিশিয়ান মো. আফজাল হোসেন বলেন, এক সময় তিনি নিয়মিত আসলেও এখন অনিয়মিতভাবে অফিসে আসেন। এ কেন্দ্রে কর্মরত উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম মুন্নু বলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে জনবল সংকট থাকায় গত ৩ বছর ধরে আমি প্রাণিসম্পদ উপকেন্দ্রে যায় না। তবে পাঙ্গাসী ইউনিয়ন ও সোনাখাড়া ইউনিয়নের প্রাণিসম্পদ উপকেন্দ্রের ও একই অবস্থা বলে জানালেন তিনি।

রায়গঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে উপজেলায় ১৪ জন এ আই টেকনিশিয়ান রয়েছে। এই এআই টেকনিশিয়ানগণ কোথায় কাজ করেন তা বলতে পারে না কেউ।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়ালী-উল-ইসলাম বলেন, উপকেন্দ্রগুলোতে বর্তমানে যারা কাজ করেন তারা মূলত স্বেচ্ছায় কাজ করেন। উপকেন্দ্রগুলোতে রাজস্ব খাতে লোক না নাই। তবে যারা স্বেচ্ছায় কাজ করছে তাদের যে যেভাবে ডাকছে সেভাবেই কাজ করার চেষ্টা করছে।

ছবি

সীমান্তে ভারতে পালানোর সময় জৈন্তাপুর উপজেলা আ.লীগ সভাপতি কামাল আহমেদ গ্রেপ্তার

ছবি

রাউজানে গোলাগুলিতে যুবদল নেতা গুলিবিদ্ধ

ছবি

পটিয়ায় সোনা ছিনতাইয়ের ঘটনায় যুবদল নেতা বহিষ্কার

সিলেটে হযরত শাহপরান (রহ.) মাজারে গান-বাজনা নিষিদ্ধ

ছবি

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের কর্মচারীদের মারধর, ও তত্বাবধায়ককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ রোগীর স্বজনদের বিরুদ্ধে

ছবি

আরসা আরএসও’র গোলাগুলিতে উত্তপ্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্প

ছবি

বদিকে নিরাপত্তাজনিত কারণে চট্টগ্রাম কারাগারে স্থানান্তর

ছবি

কা‌শিমপুর কারাগার‌ে এক কারারক্ষী মাদকসহ আটক

ছবি

সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণে ১২ জন দগ্ধ

বয়ারচর সংযোগ ব্রিজ ও বেড়িবাঁধ রক্ষায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন

ছবি

চট্টগ্রামে শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণ, আহত ১২ শ্রমিক

ছবি

চাঁদপুরে যুবলীগ নেতার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার, মুখ-মাথা স্কচটেপ দিয়ে বাঁধা

ছবি

বারি’র অভ্যন্তরীণ গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালা শুরু

ছবি

আশুলিয়ায় কাজে ফিরেছেন শ্রমিকরা, নিরাপত্তা জোরদার

ছবি

বঙ্গবন্ধু সেতুতে ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, ৩ জনের মৃত্যু

ছবি

গোলাম দস্তগীর গাজীর কারখানায় আবারও লুটপাটের পর আগুন

নরসিংদীতে পাটকলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

ছবি

কক্সবাজারে উখিয়ায় মুরগী বহনকারী পিকআপ থেকে ইয়াবা উদ্ধার, দুই কারবারী আটক

ছবি

মদনপুরে দেওয়ানবাগ দরবার শরীফে হামলা ভাঙচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ

ছবি

কক্সবাজারে পুকুরে ডুবে যুবকের মৃত্যু

ছবি

টেকনাফে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার

ছবি

সাভার শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ, যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ১৪

ছবি

অধ্যক্ষকে হাতুড়িপেটা করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর, মামলা

ছবি

কক্সবাজারে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৮ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

ছবি

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিশেষ যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ আরসা সদস্য গ্রেফতার

ছবি

কুমিল্লায় মাইক্রোবাসের পেছনে বাসের ধাক্কায় শিশুসহ নিহত ৪

নবীকে নিয়ে ‘কটূক্তি’: খুলনায় পুলিশ কার্যালয়ে ঢুকে তরুণকে গণপিটুনি

রংপুরের মিঠাপুকুরে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ন শ্রেণীকক্ষ

ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজিবি’র অভিযানে ৭৫০ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার

শরণখোলায় এক কিশোরীর আত্মহত্যা

বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে অন্তত ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দুদকে

ছবি

রামুতে ৫ কোটি টাকার ক্রিস্টাল মেথ আইস উদ্ধার

ছবি

নাজিরপুরে অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

ছবি

ফরিদপুরে নিখোঁজ ছেলের সন্ধান চায় বাবা

ছবি

বাংলাদেশে মায়ানমার বিজিপি সদস্যের মৃত্যু, সর্বোচ্চ মর্যাদায় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া

ছবি

গাজীপুরে শিল্প পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর কড়া পাহারায় খুলেছে সব কারখানা

tab

সারাদেশ

রায়গঞ্জে অব্যবস্থাপনায় বন্ধের মুখে প্রাণিসম্পদ উপকেন্দ্রগুলো

প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ)

রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) : অব্যবস্থাপনায় এভাবেই পড়ে আছে প্রাণিসম্পদ উপকেন্দ্রের কৃত্রিম প্রজনন পয়েন্ট-সংবাদ

বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা প্রাণিসম্পদ উপকেন্দ্রের অবকাঠামো এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার বেহাল দশা। দীর্ঘদিন ধরে এই প্রাণিসম্পদ উপকেন্দ্র (কৃত্রিম প্রজনন পয়েন্ট) এর চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার হাজার হাজার হাঁস-মুরগি, ছাগল-ভেড়া ও গবাদিপশু খামারিরা। এসব দেখার যেন কেউ নেই। নানা সমস্যায় জর্জরিত একমাত্র প্রাণিসম্পদ উপকেন্দ্র ও কৃত্রিম প্রজনন পয়েন্ট এটি। নানামুখী অব্যবস্থাপনায় বন্ধের মুখে এই সেবা কেন্দ্রেটি। প্রায় ২৬ বছর আগে নির্মিত এ কেন্দ্রটির অবস্থা একেবারেই নাজুক। দূর থেকে দেখে মনে হয় এটি ভুতুড়ের কারখানা।

উন্নত জাতের গবাদি পশুর বিস্তারে ও খামারিদের সেবাদানে সলঙ্গায় স্থাপিত হয় প্রাণিসম্পদ উপকেন্দ্র ও কৃত্রিম প্রজনন পয়েন্ট। এ কেন্দ্র থেকে উন্নত জাতের গরুর সিমেন (বীর্য) সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে কৃষক ও খামারিদের মাঝে বিতরণ করা হয়। সরেজমিনে প্রাণিসম্পদ উপকেন্দ্রটিতে গিয়ে দেখা গেছে. জরাজীর্ণ অবস্থায় সেখানে রয়েছে কেটে রাখা বিভিন্ন গাছের গুল ও বাসা বাড়ির আবাপত্রসহ বিভিন্ন জ্বালানি, কতদিন ধরে কেন্দ্রটি খোলা হয় না তা অনেকেই বলতে পারে নাই। রায়গঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের একটি সাব-প্রাণিসম্পদ কল্যাণ কেন্দ্র সলঙ্গা থাকলেও তা কোনো কাজে আসছে না সাধারণ খামারিদের। এই কেন্দ্রটির অবকাঠামো, প্রয়োজনীয় উপকরণ, ওষুধ ও জনবল সংকটের কারণেই দিন দিন নিমজ্জিত হয়ে পড়ছে সরকারি এই প্রাণিসম্পদ উপকেন্দ্রটি।

বর্তমান সরকার দেশকে দরিদ্রমুক্ত করতে বিভিন্ন উপায়ে যেমন, ছাগল-ভেড়া পালন, হাঁস-মুরগির খামার, গবাদি পশু পালনে মানুষদের আগ্রহী করছেন ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, ব্যাংক এবং এনজিওর মাধ্যমে ঋণ দিচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে সরকারি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অসচেতনতা ও অবহেলায় যেমন আগ্রহ হারাতে বসেছে পশু পালনকারীরা, তেমনি নষ্ট হচ্ছে প্রাণিসম্পদ উপকেন্দ্রের (কৃত্রিম প্রজনন পয়েন্ট) ভবন ও সরঞ্জামাদি। কেন্দ্রটি না খোলায় এলাকার কিছু মানুষ ভবনটিকে নিজের সম্পদ মনে করে দখল করে ব্যবহার করছেন। প্রয়োজনীয় জনবল ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের দেখভালের অভাবে এই প্রাণিসম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রটির কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

এলাকাবাসী জানায় এক সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে এই কেন্দ্রে প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০ জন বিভিন্ন সেবা যেমন কৃত্তিম প্রজনন, ছাগলের ঠা-া কাশিসহ ভ্যাক্সিন দিতে আসত। বর্তমানে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আসার পর থেকে কেন্দ্রটিতে তদারকি না করায় যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে পশু-পাখি নিয়ে ছুটে চলছে গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তারদের কাছে। আর তাদের শরণাপন্ন হয়েই এলাকার চাষি ও খামারিদের অনেকই প্রতারিত হচ্ছেন।

খামারি ফারুক হোসেন বলেন, আগে এই কেন্দ্র থেকে গবাদিপশুদের চিকিৎসাসহ বিভিন্ন পরামর্শ নিতাম কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এটি বন্ধ থাকায় সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে খামারিরা। স্থানীয় সচেতনমহল জানান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহেলা, জনবল ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের দেখভালের অভাবে এটির কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। নষ্ট হচ্ছে প্রাণিসম্পদ উপকেন্দ্রের ভবন ও সরঞ্জামাদি। কেন্দ্রটি না খোলায় এলাকার মানুষেরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ বিষয়ে সলঙ্গা প্রাণিসম্পদ উপকেন্দ্রের এ আই টেকনিশিয়ান মো. আফজাল হোসেন নিয়মিত অফিসে আসেন না স্বীকার করে প্রতিবেদককে বলেন, অফিসের সামনে অনেকে বড় বড় গাছের গুল, স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের অফিসের আসবাপত্র পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।

অফিসে যাওয়াই যায় না। তিনি আরও বলেন, আমি গ্রামে গ্রামে থাকি যদিও আমার বাসা সলঙ্গা বাজারের ভেতর। অফিসে ফোন নাম্বার লেখা আছে কোনো খামারি এসে ফোন দিলে যেখানেই থাকি সঙ্গে সঙ্গে চলে আসি। তবে একটু বৃষ্টি হলে অফিস কক্ষে পানি উঠে একাকার হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এ কেন্দ্রে কর্মরত উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম মুন্নুর কথা জানতে চাইলে এ আই টেকনিশিয়ান মো. আফজাল হোসেন বলেন, এক সময় তিনি নিয়মিত আসলেও এখন অনিয়মিতভাবে অফিসে আসেন। এ কেন্দ্রে কর্মরত উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম মুন্নু বলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে জনবল সংকট থাকায় গত ৩ বছর ধরে আমি প্রাণিসম্পদ উপকেন্দ্রে যায় না। তবে পাঙ্গাসী ইউনিয়ন ও সোনাখাড়া ইউনিয়নের প্রাণিসম্পদ উপকেন্দ্রের ও একই অবস্থা বলে জানালেন তিনি।

রায়গঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে উপজেলায় ১৪ জন এ আই টেকনিশিয়ান রয়েছে। এই এআই টেকনিশিয়ানগণ কোথায় কাজ করেন তা বলতে পারে না কেউ।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়ালী-উল-ইসলাম বলেন, উপকেন্দ্রগুলোতে বর্তমানে যারা কাজ করেন তারা মূলত স্বেচ্ছায় কাজ করেন। উপকেন্দ্রগুলোতে রাজস্ব খাতে লোক না নাই। তবে যারা স্বেচ্ছায় কাজ করছে তাদের যে যেভাবে ডাকছে সেভাবেই কাজ করার চেষ্টা করছে।

back to top