alt

সারাদেশ

বেরোবির উপাচার্যের বাসভবনে আক্রমণ-আগুন, যেভাবে উদ্ধার হলেন অবরুদ্ধ ২০ জন

লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর : শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিক্ষোভের সময় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন ২০ জন। সেখানে ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ ও তার পরিবারের সদস্যরা, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং প্রক্টর। তখন ওই ভবনের নিচতলায় আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

আগুনের লেলিহান শিখায় বাসভবন দাউদাউ করে জ্বললেও ফায়ার সার্ভিস কিংবা পুলিশ সেখানে যেতে পারেনি। এক পর্যায়ে জীবন রক্ষার জন্য দোতলার একটি কক্ষে আশ্রয় নেন তারা। সেখানেই কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন তারা।

দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে র?্যাব ও মেট্রোপলিটান পুলিশ যৌথভাবে ‘কমান্ডো স্টাইলে’ অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে রংপুর সার্কিট হাউজে নিয়ে আসে, বলছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন।

বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর শরীফুল ইসলাম জানান, গত ১৬ জুলাই মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে পার্কের মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় কোটা সংস্কারের পক্ষ-বিপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বেলা ১টার পর থেকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া আর সংঘর্ষ চলছিল। পুলিশ টিয়ারগ্যাস, রাবার বুলেট আর শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিল। দুপুর ৩টার দিকে বেরোবির শিক্ষার্থী আবু সাইদ গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রক্টর জানান সংঘর্ষ চলার ওই সময় তিনিসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক, কর্মকর্তা উপাচার্যের বাসভবনের নিচতলার অফিসে ছিলেন।

তিনি বলেন দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে প্রায় ৫ শতাধিক বহিরাগত উপাচার্যের বাস ভবনে হামলা চালায়। তারা বাসার সামনে দুটি প্রাইভেট কারসহ ২০টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় আতঙ্কে উপাচার্যসহ সবাই তার বাস ভবনের দোতলায় আশ্রয় নেন।

সেই সময় আক্রমণকারীরা উপাচার্যের বাসার নিচতলায় হামলা চালিয়ে আসবাবপত্রসহ মালামাল ভাঙচুর করে নিচতলায় আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

‘আগুনের লেলিহান শিখা দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে এ সময় ধোঁয়ার কু-লিতে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। প্রাণ রক্ষার্থে উপাচার্যের বাসভবনের দোতলায় একটি কক্ষে উপাচার্যসহ ২০ জন আশ্রয় নেই আমরা,’ বলেন প্রক্টর শরীফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে দোতলায় বৃষ্টির মতো ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। বোমাসহ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে দোতলার জানালা দরজা ভেঙে খানখান হয়ে যায়। এমনি অবস্থায় আমরা দুঃসহভাবে জীবন বাঁচানোর অপচেষ্টা করি। একপর্যায়ে আমরা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলাম আমাদের পুড়িয়ে জীবন্ত হত্যা করা হবে।’

পরে মেট্রোপলিটান পুলিশ ও র‌্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কর্মকর্তারা বলছেন সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ ও র‌্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেট দিয়ে না গিয়ে পেছন দিক দিয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে অভিযান চালিয়ে উপাচার্য সহ ২০জনকে উদ্ধার করে। সেখান থেকে গাড়িতে করে রংপুর সার্কিট হাউজে নিয়ে আসে।

প্রক্টর শরীফুল বলছেন, ‘আর ১০ মিনিট দেরী হলেই সন্ত্রাসীরা উপাচার্যের বাস ভবনের দোতলায় এসে তাদের জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করতো।’

উপাচার্যের বাসভবনে অবরুদ্ধ থাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক আসাদ মন্ডল বলেন, ‘যারা উপাচার্যের বাস ভবনে হামলা চালিয়েছে তারা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হতে পারেনা। এরা উপাচার্যের বাস ভবনের পেছনে কারমাইকেল কলেজ এলাকা দিয়ে দেয়াল টপকিয়ে প্রবেশ করেছিল।’

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদের সঙ্গে শুক্রবার বিকেলে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার বাসভবনের নিচতলায় আমার অফিসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ,  প্রক্টর, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে মিটিং করছিলাম। আমার স্ত্রী দোতলায় বেডরুমে ছিলেন। আকস্মিকভাবে আমার বাস ভবনে হামলা চালায়।’

‘এ সময় আমি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের ফোন করছিলাম। ফায়ার সার্ভিসকেও ফোন দিয়েছিলাম। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আর ফায়ার সার্ভিস আমার বাড়ির চারদিকে অবস্থান করা সন্ত্রাসী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চারদিকে তা-বের কারণে আসতে পারছিল না। অবশেষে বাধ্য হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফোন করি। তিনি ফোন রিসভি করলে আমার স্ত্রীসহ ২০ জনের জীবন রক্ষা এবং আমাদের উদ্ধারের জন্য অনুরোধ জানাই।

‘এরপর পুলিশ বিজিবি ও র‌্যাবের একটি দল গুলি বর্ষণ করতে করতে সাইরেন বাজিয়ে এসে তাদের গাড়িতে তুলে নিয়ে সরাসরি সার্কিট হাউজে নিয়ে যায়,’ বলেন উপাচার্য।

ছবি

সীমান্তে ভারতে পালানোর সময় জৈন্তাপুর উপজেলা আ.লীগ সভাপতি কামাল আহমেদ গ্রেপ্তার

ছবি

রাউজানে গোলাগুলিতে যুবদল নেতা গুলিবিদ্ধ

ছবি

পটিয়ায় সোনা ছিনতাইয়ের ঘটনায় যুবদল নেতা বহিষ্কার

সিলেটে হযরত শাহপরান (রহ.) মাজারে গান-বাজনা নিষিদ্ধ

ছবি

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের কর্মচারীদের মারধর, ও তত্বাবধায়ককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ রোগীর স্বজনদের বিরুদ্ধে

ছবি

আরসা আরএসও’র গোলাগুলিতে উত্তপ্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্প

ছবি

বদিকে নিরাপত্তাজনিত কারণে চট্টগ্রাম কারাগারে স্থানান্তর

ছবি

কা‌শিমপুর কারাগার‌ে এক কারারক্ষী মাদকসহ আটক

ছবি

সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণে ১২ জন দগ্ধ

বয়ারচর সংযোগ ব্রিজ ও বেড়িবাঁধ রক্ষায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন

ছবি

চট্টগ্রামে শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণ, আহত ১২ শ্রমিক

ছবি

চাঁদপুরে যুবলীগ নেতার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার, মুখ-মাথা স্কচটেপ দিয়ে বাঁধা

ছবি

বারি’র অভ্যন্তরীণ গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালা শুরু

ছবি

আশুলিয়ায় কাজে ফিরেছেন শ্রমিকরা, নিরাপত্তা জোরদার

ছবি

বঙ্গবন্ধু সেতুতে ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, ৩ জনের মৃত্যু

ছবি

গোলাম দস্তগীর গাজীর কারখানায় আবারও লুটপাটের পর আগুন

নরসিংদীতে পাটকলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

ছবি

কক্সবাজারে উখিয়ায় মুরগী বহনকারী পিকআপ থেকে ইয়াবা উদ্ধার, দুই কারবারী আটক

ছবি

মদনপুরে দেওয়ানবাগ দরবার শরীফে হামলা ভাঙচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ

ছবি

কক্সবাজারে পুকুরে ডুবে যুবকের মৃত্যু

ছবি

টেকনাফে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার

ছবি

সাভার শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ, যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ১৪

ছবি

অধ্যক্ষকে হাতুড়িপেটা করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর, মামলা

ছবি

কক্সবাজারে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৮ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

ছবি

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিশেষ যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ আরসা সদস্য গ্রেফতার

ছবি

কুমিল্লায় মাইক্রোবাসের পেছনে বাসের ধাক্কায় শিশুসহ নিহত ৪

নবীকে নিয়ে ‘কটূক্তি’: খুলনায় পুলিশ কার্যালয়ে ঢুকে তরুণকে গণপিটুনি

রংপুরের মিঠাপুকুরে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ন শ্রেণীকক্ষ

ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজিবি’র অভিযানে ৭৫০ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার

শরণখোলায় এক কিশোরীর আত্মহত্যা

বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে অন্তত ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দুদকে

ছবি

রামুতে ৫ কোটি টাকার ক্রিস্টাল মেথ আইস উদ্ধার

ছবি

নাজিরপুরে অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

ছবি

ফরিদপুরে নিখোঁজ ছেলের সন্ধান চায় বাবা

ছবি

বাংলাদেশে মায়ানমার বিজিপি সদস্যের মৃত্যু, সর্বোচ্চ মর্যাদায় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া

ছবি

গাজীপুরে শিল্প পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর কড়া পাহারায় খুলেছে সব কারখানা

tab

সারাদেশ

বেরোবির উপাচার্যের বাসভবনে আক্রমণ-আগুন, যেভাবে উদ্ধার হলেন অবরুদ্ধ ২০ জন

লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর

শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিক্ষোভের সময় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন ২০ জন। সেখানে ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ ও তার পরিবারের সদস্যরা, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং প্রক্টর। তখন ওই ভবনের নিচতলায় আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

আগুনের লেলিহান শিখায় বাসভবন দাউদাউ করে জ্বললেও ফায়ার সার্ভিস কিংবা পুলিশ সেখানে যেতে পারেনি। এক পর্যায়ে জীবন রক্ষার জন্য দোতলার একটি কক্ষে আশ্রয় নেন তারা। সেখানেই কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন তারা।

দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে র?্যাব ও মেট্রোপলিটান পুলিশ যৌথভাবে ‘কমান্ডো স্টাইলে’ অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে রংপুর সার্কিট হাউজে নিয়ে আসে, বলছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন।

বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর শরীফুল ইসলাম জানান, গত ১৬ জুলাই মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে পার্কের মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় কোটা সংস্কারের পক্ষ-বিপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বেলা ১টার পর থেকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া আর সংঘর্ষ চলছিল। পুলিশ টিয়ারগ্যাস, রাবার বুলেট আর শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিল। দুপুর ৩টার দিকে বেরোবির শিক্ষার্থী আবু সাইদ গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রক্টর জানান সংঘর্ষ চলার ওই সময় তিনিসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক, কর্মকর্তা উপাচার্যের বাসভবনের নিচতলার অফিসে ছিলেন।

তিনি বলেন দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে প্রায় ৫ শতাধিক বহিরাগত উপাচার্যের বাস ভবনে হামলা চালায়। তারা বাসার সামনে দুটি প্রাইভেট কারসহ ২০টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় আতঙ্কে উপাচার্যসহ সবাই তার বাস ভবনের দোতলায় আশ্রয় নেন।

সেই সময় আক্রমণকারীরা উপাচার্যের বাসার নিচতলায় হামলা চালিয়ে আসবাবপত্রসহ মালামাল ভাঙচুর করে নিচতলায় আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

‘আগুনের লেলিহান শিখা দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে এ সময় ধোঁয়ার কু-লিতে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। প্রাণ রক্ষার্থে উপাচার্যের বাসভবনের দোতলায় একটি কক্ষে উপাচার্যসহ ২০ জন আশ্রয় নেই আমরা,’ বলেন প্রক্টর শরীফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে দোতলায় বৃষ্টির মতো ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। বোমাসহ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে দোতলার জানালা দরজা ভেঙে খানখান হয়ে যায়। এমনি অবস্থায় আমরা দুঃসহভাবে জীবন বাঁচানোর অপচেষ্টা করি। একপর্যায়ে আমরা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলাম আমাদের পুড়িয়ে জীবন্ত হত্যা করা হবে।’

পরে মেট্রোপলিটান পুলিশ ও র‌্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কর্মকর্তারা বলছেন সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ ও র‌্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেট দিয়ে না গিয়ে পেছন দিক দিয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে অভিযান চালিয়ে উপাচার্য সহ ২০জনকে উদ্ধার করে। সেখান থেকে গাড়িতে করে রংপুর সার্কিট হাউজে নিয়ে আসে।

প্রক্টর শরীফুল বলছেন, ‘আর ১০ মিনিট দেরী হলেই সন্ত্রাসীরা উপাচার্যের বাস ভবনের দোতলায় এসে তাদের জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করতো।’

উপাচার্যের বাসভবনে অবরুদ্ধ থাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক আসাদ মন্ডল বলেন, ‘যারা উপাচার্যের বাস ভবনে হামলা চালিয়েছে তারা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হতে পারেনা। এরা উপাচার্যের বাস ভবনের পেছনে কারমাইকেল কলেজ এলাকা দিয়ে দেয়াল টপকিয়ে প্রবেশ করেছিল।’

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদের সঙ্গে শুক্রবার বিকেলে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার বাসভবনের নিচতলায় আমার অফিসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ,  প্রক্টর, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে মিটিং করছিলাম। আমার স্ত্রী দোতলায় বেডরুমে ছিলেন। আকস্মিকভাবে আমার বাস ভবনে হামলা চালায়।’

‘এ সময় আমি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের ফোন করছিলাম। ফায়ার সার্ভিসকেও ফোন দিয়েছিলাম। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আর ফায়ার সার্ভিস আমার বাড়ির চারদিকে অবস্থান করা সন্ত্রাসী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চারদিকে তা-বের কারণে আসতে পারছিল না। অবশেষে বাধ্য হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফোন করি। তিনি ফোন রিসভি করলে আমার স্ত্রীসহ ২০ জনের জীবন রক্ষা এবং আমাদের উদ্ধারের জন্য অনুরোধ জানাই।

‘এরপর পুলিশ বিজিবি ও র‌্যাবের একটি দল গুলি বর্ষণ করতে করতে সাইরেন বাজিয়ে এসে তাদের গাড়িতে তুলে নিয়ে সরাসরি সার্কিট হাউজে নিয়ে যায়,’ বলেন উপাচার্য।

back to top