কারান্তরীণ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোল্যা নজরুল ইসলামের দুটি ফ্ল্যাটসহ স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। যার মূল্য ধরা হয়েছে ১ কোটি ৬৪ লাখ ৩০ হাজার ৫৪০ টাকা। একইসঙ্গে তার নামে থাকা ৫৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩০৬ টাকার শেয়ার অবরুদ্ধেরও আদেশ দেয়া হয়েছে।
গত রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জব্দ হওয়া সম্পদের মধ্যে রাজধানীর আফতাব নগরে ১২ লাখ ৮৩ হাজার ৪৬০ টাকা মূল্যের আড়াই কাঠার প্লট, বাড্ডার পুলিশ অফিসার্স হাউজিং সোসাইটিতে ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ৮৮৫ টাকা মূল্যের চার কাঠা প্লট, নারায়ণগঞ্জে ৫ লাখ টাকা মূল্যের ৬ দশমিক ৩৫ কাঠা জমি ও রামপুরায় ১ কোটি ১৪ লাখ ৮৩ হাজার ২০০ টাকা মূল্যের দুটি ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট রয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন এ আবেদন করেন। এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী জেলা পুলিশের সহায়তায় সারদার পুলিশ অ্যাকাডেমি থেকে মোল্যা নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের দিন ৯ ফেব্রুয়ারি তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। এরপর গত ১৭ মার্চ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদিকে ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম ও ফরিদপুর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার (বর্তমানে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত) সুভাষ চন্দ্র সাহার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। এদিন পৃথক দুই আবেদনে অভিযুক্তদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা ও তদন্তকাজ চলমান থাকায় এ নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়।
নজরুলের নিষেধাজ্ঞা আবেদনে দুদকের সহকারী পরিচালক নাছরুল্লাহ হোসাইন উল্লেখ করেন, মোল্যা নজরুল ইসলাম একজন পাবলিক সার্ভেন্ট হয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৯৪ লাখ ১ হাজার ৮০৭ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। আসামি মোল্যা নজরুল ইসলাম দেশ ছেড়ে বিদেশে পলাতে পারেন মর্মে তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেয়া একান্ত প্রয়োজন।
সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
কারান্তরীণ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোল্যা নজরুল ইসলামের দুটি ফ্ল্যাটসহ স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। যার মূল্য ধরা হয়েছে ১ কোটি ৬৪ লাখ ৩০ হাজার ৫৪০ টাকা। একইসঙ্গে তার নামে থাকা ৫৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩০৬ টাকার শেয়ার অবরুদ্ধেরও আদেশ দেয়া হয়েছে।
গত রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জব্দ হওয়া সম্পদের মধ্যে রাজধানীর আফতাব নগরে ১২ লাখ ৮৩ হাজার ৪৬০ টাকা মূল্যের আড়াই কাঠার প্লট, বাড্ডার পুলিশ অফিসার্স হাউজিং সোসাইটিতে ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ৮৮৫ টাকা মূল্যের চার কাঠা প্লট, নারায়ণগঞ্জে ৫ লাখ টাকা মূল্যের ৬ দশমিক ৩৫ কাঠা জমি ও রামপুরায় ১ কোটি ১৪ লাখ ৮৩ হাজার ২০০ টাকা মূল্যের দুটি ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট রয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন এ আবেদন করেন। এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী জেলা পুলিশের সহায়তায় সারদার পুলিশ অ্যাকাডেমি থেকে মোল্যা নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের দিন ৯ ফেব্রুয়ারি তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। এরপর গত ১৭ মার্চ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদিকে ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম ও ফরিদপুর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার (বর্তমানে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত) সুভাষ চন্দ্র সাহার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। এদিন পৃথক দুই আবেদনে অভিযুক্তদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা ও তদন্তকাজ চলমান থাকায় এ নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়।
নজরুলের নিষেধাজ্ঞা আবেদনে দুদকের সহকারী পরিচালক নাছরুল্লাহ হোসাইন উল্লেখ করেন, মোল্যা নজরুল ইসলাম একজন পাবলিক সার্ভেন্ট হয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৯৪ লাখ ১ হাজার ৮০৭ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। আসামি মোল্যা নজরুল ইসলাম দেশ ছেড়ে বিদেশে পলাতে পারেন মর্মে তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেয়া একান্ত প্রয়োজন।