চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-পাঁচলাইশ) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও মহানগর আহবায়ক এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগ কর্মসূচির সময় গুলির ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় এরশাদ উল্লাহসহ দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলী পূর্ব মসজিদের কাছে গুলিবর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি সারোয়ার হোসেন বাবলা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে তিনি নিজেকে বিএনপি কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতেন।
গুলিবিদ্ধ অপরজন শান্ত, যিনি ৩ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক।
গুলিবিদ্ধ তিনজনকে অনন্যা আবাসিক এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সারোয়ার হোসেন বাবলার মৃত্যু হয়। চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উত্তর বিভাগের উপকমিশনার আমীরুল ইসলাম জানিয়েছেন, “এরশাদ উল্লাহ সাহেব নির্বাচনী প্রচারে চালিতাতলী এলাকায় ছিলেন। সেখানে সন্ত্রাসীদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। কেন এ ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত চলছে।”
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির এক নেতা জানিয়েছেন, এরশাদ উল্লাহ সেদিন বিকেলে চালিতাতলীতে জনসংযোগে যান। মাগরিবের নামাজ আদায় শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছিলেন, ঠিক তখনই সরোয়ার বাবলাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে তার পাশেই থাকা এরশাদ উল্লাহ ও শান্ত গুলিবিদ্ধ হন।
তিনি আরও বলেন, “এটি বিএনপি বা এর সহযোগী সংগঠনগুলোর অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয় নয়।”
ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “সন্ত্রাস দমনে দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। নির্বাচনের সময় এমন ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও দুঃখজনক।”
তার মতে, “যারা রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে এবং নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, এ হামলার পেছনে তাদের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে।”
তিনি হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার দাবি জানান।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চলমান প্রচারণায় এটিই এখন পর্যন্ত প্রথম বড় ধরনের সহিংসতার ঘটনা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-পাঁচলাইশ) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও মহানগর আহবায়ক এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগ কর্মসূচির সময় গুলির ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় এরশাদ উল্লাহসহ দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলী পূর্ব মসজিদের কাছে গুলিবর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি সারোয়ার হোসেন বাবলা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে তিনি নিজেকে বিএনপি কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতেন।
গুলিবিদ্ধ অপরজন শান্ত, যিনি ৩ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক।
গুলিবিদ্ধ তিনজনকে অনন্যা আবাসিক এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সারোয়ার হোসেন বাবলার মৃত্যু হয়। চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উত্তর বিভাগের উপকমিশনার আমীরুল ইসলাম জানিয়েছেন, “এরশাদ উল্লাহ সাহেব নির্বাচনী প্রচারে চালিতাতলী এলাকায় ছিলেন। সেখানে সন্ত্রাসীদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। কেন এ ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত চলছে।”
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির এক নেতা জানিয়েছেন, এরশাদ উল্লাহ সেদিন বিকেলে চালিতাতলীতে জনসংযোগে যান। মাগরিবের নামাজ আদায় শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছিলেন, ঠিক তখনই সরোয়ার বাবলাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে তার পাশেই থাকা এরশাদ উল্লাহ ও শান্ত গুলিবিদ্ধ হন।
তিনি আরও বলেন, “এটি বিএনপি বা এর সহযোগী সংগঠনগুলোর অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয় নয়।”
ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “সন্ত্রাস দমনে দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। নির্বাচনের সময় এমন ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও দুঃখজনক।”
তার মতে, “যারা রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে এবং নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, এ হামলার পেছনে তাদের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে।”
তিনি হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার দাবি জানান।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চলমান প্রচারণায় এটিই এখন পর্যন্ত প্রথম বড় ধরনের সহিংসতার ঘটনা।