ভোলা : ভারত সীমান্তরক্ষীর হাতে আটক ১৯ জেলে -ফাইল ছবি
ভোলায় সাগরে মাছ ধরে ফেরার পথে ভারত সীমান্তরক্ষীর হাতে আটক ১৯ জেলের দুই মাসেও মুক্তি মেলেনি। ওই সব পরিবারে চরম দুর্দিন চলছে। পরিবারের এক মাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে এক এক পরিবারের ৫/৬ জন সদস্য অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে।
সফিজল মাঝির নৌকা নিয়ে ওই জেলারা সাগরে মাছ ধরতে যায় ৫ সেপ্টম্বর। সুন্দরবন এলাকার সাগরে জাল ফেলে মাছও পান। বাজারদর অনুযায়ী প্রায় ৬ লাখ টাকার ইলিশ নিয়ে ১২ সেপ্টেম্বর ফেরার পথে রাতে ঝড়োবাতাস ও রাতেমুখে ট্রলার বিকল হয়ে যায়। রাতের টানে ভারতের সীমানায় প্রবেশ করতেই সেনা সদস্যরা তাদের ধরে নিয়ে যায়। ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান জানান, ভারতের কারাগার থেকে জেলেদের উদ্ধারে ইতিমধ্যে সরকারিভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। দুই দেশের বিনিময় নীতিতে তাদের উদ্ধারে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন জানান, ১৯ জেলের তালিকা তৈরি করে তা মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুজ্জামান জানান, জেলে পরিবারের জন্য ইতিমধ্যে চাল দেয়া হয়েছে। সফিজল মাঝির স্ত্রী জানান, দীর্ঘদিন পর সাগরে ঝাঁকের ইলিশ ধরা পড়ছে। এমন সংবাদে ৫ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে ১৮ জন জেলে নিয়ে তার স্বামী সাগরে মাছ ধরতে যান। আর ফিরে আসেনি। এলাকার ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি নিরব মাঝি জানান, তাদের এলাকার জেলেরা নিখোঁজ ও ভারতে আটক হওয়া নিয়ে তারা উদ্বিগ্নœ। ওই সংগঠনের জেলা সম্পাদক শেখ আল মামুন জানান, ওই জেলেদের সকল তথ্য সংগ্রহ করে প্রশাসনের সহায়তায় তাদের উদ্ধারে তারা কাজ শুরু করেছেন।
ভারতের আটক জেলেরা হলেন- সফিজল বেপারী (মাঝি), শাহেআলম, ছিডু মুন্সি, রাজীব চন্দ্র দাস, ট্রলার চালক আক্তার হোসেন, মিন্টু হাওলাদার, ফরিদ, আলমগীর, মোহাম্মদ ফরিদ, ইউনুছ, বাবুল সরদার, নিরব হোসেন, ইসমাইল, শাহে আলম হাওলাদার, গৌতম চন্দ্র দাস, জাকির হোসেন, সগির সিকদার, টুটুল, শহীদুল ইসলাম।
এদের প্রত্যেকের বাড়ি ভোলা জেলা সদরের দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডে। নিখোঁজের বিষয়ে ভোলা থানায় সাধারণ ডাইরি করা হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ভোলা : ভারত সীমান্তরক্ষীর হাতে আটক ১৯ জেলে -ফাইল ছবি
বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
ভোলায় সাগরে মাছ ধরে ফেরার পথে ভারত সীমান্তরক্ষীর হাতে আটক ১৯ জেলের দুই মাসেও মুক্তি মেলেনি। ওই সব পরিবারে চরম দুর্দিন চলছে। পরিবারের এক মাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে এক এক পরিবারের ৫/৬ জন সদস্য অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে।
সফিজল মাঝির নৌকা নিয়ে ওই জেলারা সাগরে মাছ ধরতে যায় ৫ সেপ্টম্বর। সুন্দরবন এলাকার সাগরে জাল ফেলে মাছও পান। বাজারদর অনুযায়ী প্রায় ৬ লাখ টাকার ইলিশ নিয়ে ১২ সেপ্টেম্বর ফেরার পথে রাতে ঝড়োবাতাস ও রাতেমুখে ট্রলার বিকল হয়ে যায়। রাতের টানে ভারতের সীমানায় প্রবেশ করতেই সেনা সদস্যরা তাদের ধরে নিয়ে যায়। ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান জানান, ভারতের কারাগার থেকে জেলেদের উদ্ধারে ইতিমধ্যে সরকারিভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। দুই দেশের বিনিময় নীতিতে তাদের উদ্ধারে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন জানান, ১৯ জেলের তালিকা তৈরি করে তা মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুজ্জামান জানান, জেলে পরিবারের জন্য ইতিমধ্যে চাল দেয়া হয়েছে। সফিজল মাঝির স্ত্রী জানান, দীর্ঘদিন পর সাগরে ঝাঁকের ইলিশ ধরা পড়ছে। এমন সংবাদে ৫ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে ১৮ জন জেলে নিয়ে তার স্বামী সাগরে মাছ ধরতে যান। আর ফিরে আসেনি। এলাকার ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি নিরব মাঝি জানান, তাদের এলাকার জেলেরা নিখোঁজ ও ভারতে আটক হওয়া নিয়ে তারা উদ্বিগ্নœ। ওই সংগঠনের জেলা সম্পাদক শেখ আল মামুন জানান, ওই জেলেদের সকল তথ্য সংগ্রহ করে প্রশাসনের সহায়তায় তাদের উদ্ধারে তারা কাজ শুরু করেছেন।
ভারতের আটক জেলেরা হলেন- সফিজল বেপারী (মাঝি), শাহেআলম, ছিডু মুন্সি, রাজীব চন্দ্র দাস, ট্রলার চালক আক্তার হোসেন, মিন্টু হাওলাদার, ফরিদ, আলমগীর, মোহাম্মদ ফরিদ, ইউনুছ, বাবুল সরদার, নিরব হোসেন, ইসমাইল, শাহে আলম হাওলাদার, গৌতম চন্দ্র দাস, জাকির হোসেন, সগির সিকদার, টুটুল, শহীদুল ইসলাম।
এদের প্রত্যেকের বাড়ি ভোলা জেলা সদরের দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডে। নিখোঁজের বিষয়ে ভোলা থানায় সাধারণ ডাইরি করা হয়েছে।