গলাচিপা (পটুয়াখালী) : বাঁশের তৈরি চাঁই দিয়ে ধরা হচ্ছে ছোট ছোট মাছ -সংবাদ
পটুয়াখালী জেলার উপকূলীয় গলাচিপা উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদী মোহনায় অবাধে নিধন হচ্ছে ছোট পাঙাশ পোনা। প্রাকৃতিক এ পাঙাশের পোনা সাইজে ৩ থেকে ৪ ইঞ্চির বেশি দৈর্ঘ্য নয়। এ মৌসুমে নদীর বিভিন্ন অঞ্চলে জেলেরা বিশাল আকারের চাঁই (বাঁশের তৈরি ফাঁদ) এবং জালের সাহায্যে পাঙাশ পোনা নিধন করছে। পোনা মাছকে আকর্ষণ করার জন্য চাঁইয়ের মধ্যে দেয়া হয় বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক খাবার। এ খাবারের লোভে ঝাঁকে ঝাঁকে পাঙাশ পোনা চাঁইয়ের ফাঁদে ঢুকে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পোনা শিকারিরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, কতিপয় অসাধু জেলে উপজেলা মৎস্য অফিসের কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজসেই চালাচ্ছে এ কর্মযজ্ঞ। এ ব্যাপারে গলাচিপা উপজেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, কোন অসাধু জেলে বা দুষ্কৃতকারীদের সঙ্গে তাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে একটি কুচক্রী মহল এমনটি রটাচ্ছে। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নিধনকৃত পাঙাশের পোনা ৭০০-৮০০ টাকা কেজি দরে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে পানপট্টি, হরিদেবপুর, চরবিশ্বাস, চিকনিকান্দিসহ গলাচিপা পৌর শহরের একাধিক মৎস্য বাজারে। উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের ফিশারি ঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী জয়নাল হাওলাদার, চরবিশ্বাস ইউনিয়নের মোসলেম ফকির, চিকনিকান্দি ইউনিয়নের আয়নাল মৃধাসহ আরও অনেকে জানান, নির্বিচারে পাঙাশের পোনা শিকার বন্ধ না হলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে এই প্রজাতির মাছ। এ পোনা মাছগুলো নিধন না হলে প্রতিটি পোনা দু-এক বছরে ৫ থেকে ১০ কেজি ওজনের হতো বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীরা। আর এ হিসাবে নিধনকৃত পাঙাশের মূল্য দাঁড়াতো কয়েক কোটি টাকা।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জহিরুন্নবী জানান, পাঙাশ পোনার ভরা মৌসুম নিরূপণে পর্যবেক্ষণ চলছে। নিধন বন্ধে সময় নির্ধারনের সুপারিশসহ তথ্য উপাত্ত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে পাঠানো হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
গলাচিপা (পটুয়াখালী) : বাঁশের তৈরি চাঁই দিয়ে ধরা হচ্ছে ছোট ছোট মাছ -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
পটুয়াখালী জেলার উপকূলীয় গলাচিপা উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদী মোহনায় অবাধে নিধন হচ্ছে ছোট পাঙাশ পোনা। প্রাকৃতিক এ পাঙাশের পোনা সাইজে ৩ থেকে ৪ ইঞ্চির বেশি দৈর্ঘ্য নয়। এ মৌসুমে নদীর বিভিন্ন অঞ্চলে জেলেরা বিশাল আকারের চাঁই (বাঁশের তৈরি ফাঁদ) এবং জালের সাহায্যে পাঙাশ পোনা নিধন করছে। পোনা মাছকে আকর্ষণ করার জন্য চাঁইয়ের মধ্যে দেয়া হয় বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক খাবার। এ খাবারের লোভে ঝাঁকে ঝাঁকে পাঙাশ পোনা চাঁইয়ের ফাঁদে ঢুকে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পোনা শিকারিরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, কতিপয় অসাধু জেলে উপজেলা মৎস্য অফিসের কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজসেই চালাচ্ছে এ কর্মযজ্ঞ। এ ব্যাপারে গলাচিপা উপজেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, কোন অসাধু জেলে বা দুষ্কৃতকারীদের সঙ্গে তাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে একটি কুচক্রী মহল এমনটি রটাচ্ছে। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নিধনকৃত পাঙাশের পোনা ৭০০-৮০০ টাকা কেজি দরে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে পানপট্টি, হরিদেবপুর, চরবিশ্বাস, চিকনিকান্দিসহ গলাচিপা পৌর শহরের একাধিক মৎস্য বাজারে। উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের ফিশারি ঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী জয়নাল হাওলাদার, চরবিশ্বাস ইউনিয়নের মোসলেম ফকির, চিকনিকান্দি ইউনিয়নের আয়নাল মৃধাসহ আরও অনেকে জানান, নির্বিচারে পাঙাশের পোনা শিকার বন্ধ না হলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে এই প্রজাতির মাছ। এ পোনা মাছগুলো নিধন না হলে প্রতিটি পোনা দু-এক বছরে ৫ থেকে ১০ কেজি ওজনের হতো বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীরা। আর এ হিসাবে নিধনকৃত পাঙাশের মূল্য দাঁড়াতো কয়েক কোটি টাকা।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জহিরুন্নবী জানান, পাঙাশ পোনার ভরা মৌসুম নিরূপণে পর্যবেক্ষণ চলছে। নিধন বন্ধে সময় নির্ধারনের সুপারিশসহ তথ্য উপাত্ত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে পাঠানো হবে।