পবিত্র রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে জয়পুরহাটের ঐতিহ্যবাহী গোপীনাথ জীউ মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে ভক্তদের মিলনমেলা ও ধর্মীয় উৎসব। সন্ধা থেকে ভোর পর্যন্ত চলে পূজা-অর্চনা, কীর্তন, আরতি ও প্রসাদ বিতরণ। ভক্তদের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো মন্দির এলাকা। প্রতিবছরের মতো এবারও উপজেলার গোপীনাথপুরে রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে হাজারো ভক্ত-অনুরাগী গোপীনাথ ধামে সমবেত হন। তারা স্নান, উপাসনা ও ভক্তিগীতের মাধ্যমে দিনটি পালন করেন। মন্দির চত্বরে সাজানো হয় নানা রঙের আলো, কলাগাছ, ফুল ও প্যান্ডেল। নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ নির্বিশেষে সবাই অংশ নেন এই উৎসবে।
মন্দিরের সেবায়ত কৃষ্ণন্দ্রে প্রিয়া বলেন, “রাস পূর্ণিমা গোপীনাথের ভক্তদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র দিন। ভক্তরা বিশ্বাস করেন, এদিন পূজা করলে জীবনের পাপ মোচন হয় ও মনের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়।” তিনি আরও জানান, রাতব্যাপী বিভিন্ন ধর্মীয় কর্মসূচির পাশাপাশি সন্ধ্যা থেকে অনুষ্ঠিত হয় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, নামসংকীর্তন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উৎসবকে ঘিরে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেন। মন্দির চত্বর ও আশপাশের এলাকায় বিরাজ করে উৎসবের আমেজ ও ধর্মীয় সম্প্রীতির এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। বগুড়া থেকে আসা ভক্ত সুবেদ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, “গোপিনাথ ধামে রাজ পূর্ণিমায় আসা মানেই আত্মিক প্রশান্তি পাওয়া। এটি আমাদের জীবনের এক বিশেষ দিন।” এ যেন ভক্তি, আনন্দ ও ঐতিহ্যের এক অনন্য মিলনমেলা—রাজ পূর্ণিমায় গোপিনাথ ধাম পরিণত হয়েছে আধ্যাত্মিকতার এক মহোৎসবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
পবিত্র রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে জয়পুরহাটের ঐতিহ্যবাহী গোপীনাথ জীউ মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে ভক্তদের মিলনমেলা ও ধর্মীয় উৎসব। সন্ধা থেকে ভোর পর্যন্ত চলে পূজা-অর্চনা, কীর্তন, আরতি ও প্রসাদ বিতরণ। ভক্তদের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো মন্দির এলাকা। প্রতিবছরের মতো এবারও উপজেলার গোপীনাথপুরে রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে হাজারো ভক্ত-অনুরাগী গোপীনাথ ধামে সমবেত হন। তারা স্নান, উপাসনা ও ভক্তিগীতের মাধ্যমে দিনটি পালন করেন। মন্দির চত্বরে সাজানো হয় নানা রঙের আলো, কলাগাছ, ফুল ও প্যান্ডেল। নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ নির্বিশেষে সবাই অংশ নেন এই উৎসবে।
মন্দিরের সেবায়ত কৃষ্ণন্দ্রে প্রিয়া বলেন, “রাস পূর্ণিমা গোপীনাথের ভক্তদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র দিন। ভক্তরা বিশ্বাস করেন, এদিন পূজা করলে জীবনের পাপ মোচন হয় ও মনের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়।” তিনি আরও জানান, রাতব্যাপী বিভিন্ন ধর্মীয় কর্মসূচির পাশাপাশি সন্ধ্যা থেকে অনুষ্ঠিত হয় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, নামসংকীর্তন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উৎসবকে ঘিরে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেন। মন্দির চত্বর ও আশপাশের এলাকায় বিরাজ করে উৎসবের আমেজ ও ধর্মীয় সম্প্রীতির এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। বগুড়া থেকে আসা ভক্ত সুবেদ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, “গোপিনাথ ধামে রাজ পূর্ণিমায় আসা মানেই আত্মিক প্রশান্তি পাওয়া। এটি আমাদের জীবনের এক বিশেষ দিন।” এ যেন ভক্তি, আনন্দ ও ঐতিহ্যের এক অনন্য মিলনমেলা—রাজ পূর্ণিমায় গোপিনাথ ধাম পরিণত হয়েছে আধ্যাত্মিকতার এক মহোৎসবে।