ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
চট্টগ্রামে সুলতানুল আলম চৌধুরী নামে বন বিভাগের এক রেঞ্জ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ মিজানুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন ও ভোগদখলের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সুলতানুল আলম চৌধুরী বোয়ালখালী উপজেলার পূর্ব গোমদণ্ডীর মধ্যম কড়লডেঙ্গা এলাকার মৃত আজহারুল হক চৌধুরীর ছেলে। তিনি বর্তমানে ফেনী জেলার দাগনভূঞায় রেঞ্জ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের পটিয়া রেঞ্জে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এর আগে তিনি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় গতকাল বুধবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে পুনরায় জামিনের আবেদন করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সুলতানুল আলম চৌধুরী অসৎ উদ্দেশ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১ লাখ ৬১ হাজার ৬৪৮ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করেন। এছাড়া তিনি ৫১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৩৪ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন। ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্ত শেষে ২০২৫ সালের ১২ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
দুদকের আইনজীবী এড. রেজাউল করিম রনি জানান, জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করে ভোগদখলের অভিযোগে দুদকের মামলায় বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতানুল আলম চৌধুরী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
চট্টগ্রামে সুলতানুল আলম চৌধুরী নামে বন বিভাগের এক রেঞ্জ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ মিজানুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন ও ভোগদখলের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সুলতানুল আলম চৌধুরী বোয়ালখালী উপজেলার পূর্ব গোমদণ্ডীর মধ্যম কড়লডেঙ্গা এলাকার মৃত আজহারুল হক চৌধুরীর ছেলে। তিনি বর্তমানে ফেনী জেলার দাগনভূঞায় রেঞ্জ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের পটিয়া রেঞ্জে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এর আগে তিনি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় গতকাল বুধবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে পুনরায় জামিনের আবেদন করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সুলতানুল আলম চৌধুরী অসৎ উদ্দেশ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১ লাখ ৬১ হাজার ৬৪৮ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করেন। এছাড়া তিনি ৫১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৩৪ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন। ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্ত শেষে ২০২৫ সালের ১২ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
দুদকের আইনজীবী এড. রেজাউল করিম রনি জানান, জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করে ভোগদখলের অভিযোগে দুদকের মামলায় বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতানুল আলম চৌধুরী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।