খুচরা বাজারে আবার বেড়েছে আলুর দাম। তিন দিনের ব্যবধানে বাজারভেদে কেজি প্রতি বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। গতকাল রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশে উৎপাদিত ডায়মন্ড ও কার্ডিনাল জাতের আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। একই জাতের আলু খুচরা বাজারে গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৩৫ থেকে ৩৮ টাকায়। আর দেশি জাতের লাল আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকয়।
সরকারের বেঁধে দেয়া দাম কার্যকর হয়নি মাংসের বাজারেও। বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাংস। বাজারভেদে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭২০ থেকে ৭৮০ টাকা কেজি দরে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়।
টিসিবির গতকালের বাজারদরের মূল্যতালিকায় দেখা যায়, আলু বিক্রি হয়েছে কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। গত বছর একই সময়ে আলু বিক্রি হয়েছে কেজি ২২ থেকে ২৫ টাকায়। ১ বছরের ব্যবধানে পণ্যটির দাম বৃদ্ধির হার ৮০ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এছাড়া গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা, জিরা মসলা বিক্রি হয়েছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়। সরু চাল বিক্রি হয়েছে ৬৫ থেকে ৭৬ টাকা, মাঝারি চাল ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা আর মোটা চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকা।
টিসিবির হিসেব অনুযায়ী মুগডাল, আলু, দেশি রসুন, জিরা, ব্রয়লার মুরগির মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, ধনে, চিনির মূল্য হ্রাস পেয়েছে।
রাজধানীর শ্যামলী কাঁচাবাজারের দেশি পেঁয়াজ-রসুন-আদা-আলু বিক্রেতা সাজ্জাদ হোসেন সংবাদকে বলেন, ‘আলুর দামটা বাড়তেছে। আজ আলু বিক্রি করছি কেজি ৪৫ টাকা। একই আলু তিন দিন আগে বিক্রি করেছি ৪০ টাকায়। কারণ গতকাল পাইকারি আড়তের বাছাই করা আলু কিনতে আমাদেরই পড়েছে কেজি ৩৮ টাকা। আমদানি আদা কেজি ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, আমদানি রসুন ২২০ টাকা, রসুন, দেশি রসুন ১৫০ টাকা আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।’
বেচাবিক্রি কমেছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আজ বাজারে লোকজন অনেক কম। স্কুল, কলেজ ছুটি হইছে, অনেক পরিবার গ্রামে চলে গেছে। যারা শুধু চাকরি করে তারাই শুধু আছে।’
দামের দিক থেকে খুচরা বাজারের সঙ্গে মিল দেখা যায় পাইকারি আড়তেও। তিন দিন ধরে আলুর দাম বাড়ছে, জানালেন পাইকারি আড়তদাররাও।
আলুর দরদামের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি আড়ত বিক্রমপুর ভান্ডারের পরিচালক বাবুল মিয়া সংবাদকে বলেন, ‘রংপুরের আলু বিক্রি পাইকারিতে কেজি বিক্রি করছি ৩৬ টাকায়। আর মুন্সীগঞ্জের আলু ৩৩ টাকায়।’
দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘লোকালে আলু নাই সব আলুর স্টোরে ঢুকছে। তাই দাম বাড়ছে। আমদানি না হলে ঈদের আগে আলু পাইকারিতে ৪০ টাকা দাঁড়াবে।’
এ বছর বেশি দাম দিয়ে আলু খেতে হবে, গত বৃহস্পতিবারই এমন কথা বলেছিলেন বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী। তিনি সেদিন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রোগবালাইয়ের কারণে এ বছর অন্তত ২০ শতাংশ আলুর উৎপাদন কম হয়েছে। গত বছর কোল্ডস্টোরেজে যেসব আলু সংরক্ষণ করা হয়েছিল সেগুলোর দাম ছিল ৮ থেকে ১২ টাকা কেজি। এবারে সেগুলোর দাম ২৫ থেকে ৩০ টাকা। তিনি বলেন, কৃত্রিম সংকট ও বাজার অস্থিরতার কারণে ভালো দাম পেয়ে কৃষকরা অন্তত ৩০ শতাংশ আলু আগেই মাঠ থেকে তুলে বাজারে বিক্রি করে দিয়েছে। এতে করে বড় একটি সংকট তৈরি হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জের কোল্ডস্টোরেজগুলোতেও গত বছরের তুলনায় এ বছর ৩০ শতাংশ কম আলু সংরক্ষণ হয়েছে। এছাড়া ঠাকুরগাঁও, রংপুরের মতো জায়গাগুলোতে ১০ থেকে ২০ শতাংশ কম আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে।’
এদিকে গরুর মাংসও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারের গরুর মাংস বিক্রেতা সিরাজুল হক সংবাদকে বলেন, ‘খামারিরা আর ব্যাপারীরা একজোট হয়ে কসাইরে জবাই করতাছে।’
তিনি বলেন, ব্যাপারীদের যেখানে ৪০টি গরুর অর্ডার দেয়া হয় সেখানে দিচ্ছে ৩০টা। যেখানে ৩০টির অর্ডার দেয়া হয় সেখানে দেয়া হচ্ছে ২০টা। গরু খামারিরা কিনছে।
গরুর মাংসের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ টাকা শুনে দেয় দৌড়।’
‘গরুর মাংস আমদানি বন্ধ হয়েছে। একদিক দিয়ে ভালোই হয়েছে। ওই মাংস নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে, গরু আমদানি হলে ৫০০ টাকার মাংস খাওয়ানো যাইতো’, বলেও জানান তিনি।
তিন প্রহরে সবজির দাম তিন ধরনের হয়ে থাকে। সকালে দাম বেশি থাকে। বিকেলে একটু কম থাকে। আর রাতে ব্যবসায়ীরা যে দরে মাল কেনেন, অনেক সময় সে দরেই বিক্রি করেতে হয় তাদের।
সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কমা বাড়ার বিষয়ে ‘এ সপ্তাহে কিছু কিছু সবজির দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়ছে আবার কিছুটার দাম কিছু কমছে। যেমন বাড়ার মধ্যে আলুর দাম বাড়ছে কেজিতে পাঁচ টাকা। এক পিস লাউয়ের দাম বাড়ছে ১০ টাকা। শসার দাম কিছুটা কমছে, বিক্রি করছি ৬০ টাকায়।’
বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে তুলে ধরে ওই বাজারের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম স্বপন সংবাদকে বলেন, ‘এই যে আপনি এত লেখালেখি করেন কিছু করতে পারছেন? কিছু করতে পারবেন না। কারণ, আমরা নিজ নিজ জায়গায় সবাই খারাপ, নষ্ট হয়েছি, পচে গেছি। শুধু নিজেরটাই বুঝি। কে খাইলো কে না খাইলো সেটা দেখার সময় নেই। শুধু একটাই ধান্দা, কীভাবে বড় হওয়া যাবে, কীভাবে দেশের টাকা পাচার করা যাবে।’
রোজার শুরুতে কেজি ১৪০ টাকা ছুঁয়ে আসা লম্বা বেগুন মানও বাজারভেদে বিক্রি ৪০-৬০ টাকা কেজি দরে। আর শতটাকায় ছুঁয়ে আসা শসাও বিক্রি হচ্ছে- ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা আর কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে।
চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখনও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল। খুচরা বাজারে বিআর-২৮ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে আর মিনিকেট নামক চাল বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৫ টাকায়। এছাড়া ডালও বাড়তি দমে বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারে নিউ সেনবাগ রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী মনসুর আহমেদ সংবাদকে বলেন, ‘রোজা শুরুর পরপর সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা। ঈদের আগে দাম কমার সম্ভাবনা দেখছি না।’ সরকারের পক্ষ যে ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে ডিম বাদে আর কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে সেভাবে কার্যকর হয়নি।
শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪
খুচরা বাজারে আবার বেড়েছে আলুর দাম। তিন দিনের ব্যবধানে বাজারভেদে কেজি প্রতি বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। গতকাল রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশে উৎপাদিত ডায়মন্ড ও কার্ডিনাল জাতের আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। একই জাতের আলু খুচরা বাজারে গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৩৫ থেকে ৩৮ টাকায়। আর দেশি জাতের লাল আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকয়।
সরকারের বেঁধে দেয়া দাম কার্যকর হয়নি মাংসের বাজারেও। বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাংস। বাজারভেদে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭২০ থেকে ৭৮০ টাকা কেজি দরে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়।
টিসিবির গতকালের বাজারদরের মূল্যতালিকায় দেখা যায়, আলু বিক্রি হয়েছে কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। গত বছর একই সময়ে আলু বিক্রি হয়েছে কেজি ২২ থেকে ২৫ টাকায়। ১ বছরের ব্যবধানে পণ্যটির দাম বৃদ্ধির হার ৮০ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এছাড়া গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা, জিরা মসলা বিক্রি হয়েছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়। সরু চাল বিক্রি হয়েছে ৬৫ থেকে ৭৬ টাকা, মাঝারি চাল ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা আর মোটা চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকা।
টিসিবির হিসেব অনুযায়ী মুগডাল, আলু, দেশি রসুন, জিরা, ব্রয়লার মুরগির মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, ধনে, চিনির মূল্য হ্রাস পেয়েছে।
রাজধানীর শ্যামলী কাঁচাবাজারের দেশি পেঁয়াজ-রসুন-আদা-আলু বিক্রেতা সাজ্জাদ হোসেন সংবাদকে বলেন, ‘আলুর দামটা বাড়তেছে। আজ আলু বিক্রি করছি কেজি ৪৫ টাকা। একই আলু তিন দিন আগে বিক্রি করেছি ৪০ টাকায়। কারণ গতকাল পাইকারি আড়তের বাছাই করা আলু কিনতে আমাদেরই পড়েছে কেজি ৩৮ টাকা। আমদানি আদা কেজি ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, আমদানি রসুন ২২০ টাকা, রসুন, দেশি রসুন ১৫০ টাকা আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।’
বেচাবিক্রি কমেছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আজ বাজারে লোকজন অনেক কম। স্কুল, কলেজ ছুটি হইছে, অনেক পরিবার গ্রামে চলে গেছে। যারা শুধু চাকরি করে তারাই শুধু আছে।’
দামের দিক থেকে খুচরা বাজারের সঙ্গে মিল দেখা যায় পাইকারি আড়তেও। তিন দিন ধরে আলুর দাম বাড়ছে, জানালেন পাইকারি আড়তদাররাও।
আলুর দরদামের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি আড়ত বিক্রমপুর ভান্ডারের পরিচালক বাবুল মিয়া সংবাদকে বলেন, ‘রংপুরের আলু বিক্রি পাইকারিতে কেজি বিক্রি করছি ৩৬ টাকায়। আর মুন্সীগঞ্জের আলু ৩৩ টাকায়।’
দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘লোকালে আলু নাই সব আলুর স্টোরে ঢুকছে। তাই দাম বাড়ছে। আমদানি না হলে ঈদের আগে আলু পাইকারিতে ৪০ টাকা দাঁড়াবে।’
এ বছর বেশি দাম দিয়ে আলু খেতে হবে, গত বৃহস্পতিবারই এমন কথা বলেছিলেন বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী। তিনি সেদিন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রোগবালাইয়ের কারণে এ বছর অন্তত ২০ শতাংশ আলুর উৎপাদন কম হয়েছে। গত বছর কোল্ডস্টোরেজে যেসব আলু সংরক্ষণ করা হয়েছিল সেগুলোর দাম ছিল ৮ থেকে ১২ টাকা কেজি। এবারে সেগুলোর দাম ২৫ থেকে ৩০ টাকা। তিনি বলেন, কৃত্রিম সংকট ও বাজার অস্থিরতার কারণে ভালো দাম পেয়ে কৃষকরা অন্তত ৩০ শতাংশ আলু আগেই মাঠ থেকে তুলে বাজারে বিক্রি করে দিয়েছে। এতে করে বড় একটি সংকট তৈরি হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জের কোল্ডস্টোরেজগুলোতেও গত বছরের তুলনায় এ বছর ৩০ শতাংশ কম আলু সংরক্ষণ হয়েছে। এছাড়া ঠাকুরগাঁও, রংপুরের মতো জায়গাগুলোতে ১০ থেকে ২০ শতাংশ কম আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে।’
এদিকে গরুর মাংসও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারের গরুর মাংস বিক্রেতা সিরাজুল হক সংবাদকে বলেন, ‘খামারিরা আর ব্যাপারীরা একজোট হয়ে কসাইরে জবাই করতাছে।’
তিনি বলেন, ব্যাপারীদের যেখানে ৪০টি গরুর অর্ডার দেয়া হয় সেখানে দিচ্ছে ৩০টা। যেখানে ৩০টির অর্ডার দেয়া হয় সেখানে দেয়া হচ্ছে ২০টা। গরু খামারিরা কিনছে।
গরুর মাংসের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ টাকা শুনে দেয় দৌড়।’
‘গরুর মাংস আমদানি বন্ধ হয়েছে। একদিক দিয়ে ভালোই হয়েছে। ওই মাংস নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে, গরু আমদানি হলে ৫০০ টাকার মাংস খাওয়ানো যাইতো’, বলেও জানান তিনি।
তিন প্রহরে সবজির দাম তিন ধরনের হয়ে থাকে। সকালে দাম বেশি থাকে। বিকেলে একটু কম থাকে। আর রাতে ব্যবসায়ীরা যে দরে মাল কেনেন, অনেক সময় সে দরেই বিক্রি করেতে হয় তাদের।
সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কমা বাড়ার বিষয়ে ‘এ সপ্তাহে কিছু কিছু সবজির দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়ছে আবার কিছুটার দাম কিছু কমছে। যেমন বাড়ার মধ্যে আলুর দাম বাড়ছে কেজিতে পাঁচ টাকা। এক পিস লাউয়ের দাম বাড়ছে ১০ টাকা। শসার দাম কিছুটা কমছে, বিক্রি করছি ৬০ টাকায়।’
বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে তুলে ধরে ওই বাজারের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম স্বপন সংবাদকে বলেন, ‘এই যে আপনি এত লেখালেখি করেন কিছু করতে পারছেন? কিছু করতে পারবেন না। কারণ, আমরা নিজ নিজ জায়গায় সবাই খারাপ, নষ্ট হয়েছি, পচে গেছি। শুধু নিজেরটাই বুঝি। কে খাইলো কে না খাইলো সেটা দেখার সময় নেই। শুধু একটাই ধান্দা, কীভাবে বড় হওয়া যাবে, কীভাবে দেশের টাকা পাচার করা যাবে।’
রোজার শুরুতে কেজি ১৪০ টাকা ছুঁয়ে আসা লম্বা বেগুন মানও বাজারভেদে বিক্রি ৪০-৬০ টাকা কেজি দরে। আর শতটাকায় ছুঁয়ে আসা শসাও বিক্রি হচ্ছে- ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা আর কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে।
চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখনও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল। খুচরা বাজারে বিআর-২৮ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে আর মিনিকেট নামক চাল বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৫ টাকায়। এছাড়া ডালও বাড়তি দমে বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারে নিউ সেনবাগ রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী মনসুর আহমেদ সংবাদকে বলেন, ‘রোজা শুরুর পরপর সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা। ঈদের আগে দাম কমার সম্ভাবনা দেখছি না।’ সরকারের পক্ষ যে ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে ডিম বাদে আর কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে সেভাবে কার্যকর হয়নি।