শ্রমিকের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব, যেখানে সব শ্রমিকের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে এবং তাদের অবদানকে মূল্য দেয়া হবে।’
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার যৌথভাবে আয়োজিত সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান এবং সুষ্ঠু পরিবেশে কাজের জন্য মূল ইস্যুতে অংশীজনদের জড়িত করা এই সংলাপের উদ্দেশ্য ছিল।
শ্রম সংস্কারে ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সঠিক কাজের প্রচার এবং সামাজিক ন্যায়বিচারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের উদ্দেশ্য অবিচল রয়েছে।’
এদিকে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন শ্রম সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বহুপক্ষীয় সংলাপের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘বর্তমান সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও শোভন কাজ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে। এই নীতিগুলো আমাদের জাতীয় উন্নয়ন কৌশলসমূহে গভীরভাবে সম্পৃক্ত, যার মধ্যে রয়েছে জিবি রোডম্যাপ (২০২১-২০২৬) এবং বাংলাদেশের শ্রম খাতের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০২১-২০২৬)। এছাড়া বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ টেকসই প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে এগুলো অপরিহার্য।’
সংলাপে বক্তারা গঠনমূলক আলোচনা, জ্ঞানের বিস্তার ও অংশীদারিত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। আলোচনায় যুক্ত হয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা, মালিক, শ্রমিক, বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি, উন্নয়ন অংশীদার ও গণমাধ্যমের কর্মকর্তার।
সংলাপে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমাদের যৌথ প্রচেষ্টা সঠিক ও কার্যকরী নীতিমালা তৈরি করছে। এর মূল লক্ষ্য আমাদের কর্মশক্তির জীবনযাত্রার উন্নতির পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে তাদের মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’
আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পৌটিআইনেন বলেন, ‘সফল এলডিসি গ্রাজুয়েশনের জন্য বাংলাদেশকে প্রধান উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো, যেমন চাকরি সৃষ্টি, প্রমাণভিত্তিক মজুরি নীতিমালা এবং পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের প্রতি জোর দেয়া দরকার। আইএলও এই লক্ষ্যগুলো অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের জন্য একটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অংশীদার হিসেবে কাজ করছে।’
সংলাপটিতে তিনটি প্যানেল আলোচনায় যুক্ত হয়েছেন সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা। যেখানে গ্লোবাল এক্সেলারেটর ফর জবস, প্রমাণ-ভিত্তিক জাতীয় মজুরি নীতিমালা এবং পেশাগত নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যের মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি প্যানেলে কর্মস্থলের চ্যালেঞ্জ ও সুযোগগুলোর ওপর বিস্তারিত আলোচনা হয়।
রোববার, ৩১ মার্চ ২০২৪
শ্রমিকের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব, যেখানে সব শ্রমিকের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে এবং তাদের অবদানকে মূল্য দেয়া হবে।’
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার যৌথভাবে আয়োজিত সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান এবং সুষ্ঠু পরিবেশে কাজের জন্য মূল ইস্যুতে অংশীজনদের জড়িত করা এই সংলাপের উদ্দেশ্য ছিল।
শ্রম সংস্কারে ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সঠিক কাজের প্রচার এবং সামাজিক ন্যায়বিচারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের উদ্দেশ্য অবিচল রয়েছে।’
এদিকে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন শ্রম সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বহুপক্ষীয় সংলাপের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘বর্তমান সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও শোভন কাজ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে। এই নীতিগুলো আমাদের জাতীয় উন্নয়ন কৌশলসমূহে গভীরভাবে সম্পৃক্ত, যার মধ্যে রয়েছে জিবি রোডম্যাপ (২০২১-২০২৬) এবং বাংলাদেশের শ্রম খাতের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০২১-২০২৬)। এছাড়া বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ টেকসই প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে এগুলো অপরিহার্য।’
সংলাপে বক্তারা গঠনমূলক আলোচনা, জ্ঞানের বিস্তার ও অংশীদারিত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। আলোচনায় যুক্ত হয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা, মালিক, শ্রমিক, বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি, উন্নয়ন অংশীদার ও গণমাধ্যমের কর্মকর্তার।
সংলাপে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমাদের যৌথ প্রচেষ্টা সঠিক ও কার্যকরী নীতিমালা তৈরি করছে। এর মূল লক্ষ্য আমাদের কর্মশক্তির জীবনযাত্রার উন্নতির পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে তাদের মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’
আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পৌটিআইনেন বলেন, ‘সফল এলডিসি গ্রাজুয়েশনের জন্য বাংলাদেশকে প্রধান উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো, যেমন চাকরি সৃষ্টি, প্রমাণভিত্তিক মজুরি নীতিমালা এবং পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের প্রতি জোর দেয়া দরকার। আইএলও এই লক্ষ্যগুলো অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের জন্য একটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অংশীদার হিসেবে কাজ করছে।’
সংলাপটিতে তিনটি প্যানেল আলোচনায় যুক্ত হয়েছেন সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা। যেখানে গ্লোবাল এক্সেলারেটর ফর জবস, প্রমাণ-ভিত্তিক জাতীয় মজুরি নীতিমালা এবং পেশাগত নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যের মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি প্যানেলে কর্মস্থলের চ্যালেঞ্জ ও সুযোগগুলোর ওপর বিস্তারিত আলোচনা হয়।