alt

সরকারি প্রকল্পে ১৫ বছরে ২ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি: শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

আওয়ামী লীগের শাসনামলে গত ১৫ বছরে সরকারি বিনিয়োগে প্রায় সাত লাখ কোটি টাকার পণ্য ও সেবা কেনায় দুর্নীতি হয়েছে বলে শ্বেতপত্র কমিটির এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এতে উল্লেখ করা হয়, এই ব্যয়ের মধ্যে ১ লাখ ৬১ হাজার থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা ঘুষ হিসেবে রাজনীতিবিদ, আমলা ও তাঁদের সহযোগীদের কাছে গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি অর্থ ব্যয়ের বড় অংশ সড়ক, সেতু, বিদ্যুৎ, হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে ৭৭ হাজার থেকে ৯৮ হাজার কোটি টাকা আমলাদের কাছে এবং ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা রাজনীতিবিদ ও তাঁদের সহযোগীদের কাছে পৌঁছেছে। এ অর্থ নগদে কিংবা উপঢৌকনের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে।

প্রকল্প বাস্তবায়নে যুক্ত ঠিকাদাররা ঘুষের অর্থ রাজনীতিবিদ ও আমলাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠিয়েছেন, যাঁদের অনেকে বিদেশে থাকেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, এই অর্থের একটি অংশ আবাসন, কৃষি, মৎস্য ও পরিবহন খাতে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সিঙ্গাপুরে এই অর্থ পাচার হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

সরকারি প্রকল্পগুলোর জন্য পুঞ্জীভূত ঋণ বর্তমানে ১৫৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা স্থানীয় মুদ্রায় ১৭ লাখ কোটি টাকার বেশি। এতে প্রতিজনের ওপর মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯৮ হাজার ৫৫৪ টাকা।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রকল্প অনুমোদনের আগেই যথাযথ মূল্যায়ন ও পেশাদারিত্বের অভাব থাকে। অনেক প্রকল্পের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বিবেচনা ছাড়াই অনুমোদন দেওয়া হয়। কিছু প্রকল্প শুধুমাত্র রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা বাড়ানোর লক্ষ্যে হাতে নেওয়া হয়েছিল।

শ্বেতপত্র কমিটির দাবি, এসব দুর্নীতি শুধুমাত্র উন্নয়ন কার্যক্রমের ব্যয়বহুল প্রকৃতির জন্য নয়, বরং সরকারি খাতের ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘমেয়াদি ত্রুটির ফল। প্রশাসনিক ও নীতি-পর্যায়ের অদক্ষতা এ পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।

ট্যাক্স ছাড়া বিদেশ থেকে কয়টি মোবাইল আনা যাবে জানালো সরকার

ছবি

প্রথমে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত তোলার সুযোগ পাবেন ৫ ব্যাংকের আমানতকারীরা

ছবি

কৃষিতে কর্মসংস্থান বেড়েছে, কমেছে শিল্পে: বিআইডিএস

ছবি

নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট বাজারে আসছে

ছবি

ঢাকায় চামড়া শিল্প প্রদর্শনী শুরু বৃহস্পতিবার

ছবি

ডিএসইতে অধিকাংশ শেয়ারের দরপতন, কমেছে সূচকও

ছবি

বাজারে আসছে অপো’র নতুন স্মার্টফোন এ৬

ছবি

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভর করছে বিনিয়োগ: জিইডির প্রতিবেদন

ছবি

সূচক ও শেয়ারদর বাড়লেও লেনদেন তলানিতে

ছবি

সেরা ভ্যাট দাতা সম্মাননা দেবে না এনবিআর

ছবি

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের জন্য বাজেট থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা ছাড়

ছবি

মিজানুর রশীদ সিটি ব্যাংকের নতুন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক

ছবি

৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

ছবি

নভেম্বরে দেশে এসেছে ২৮৯ কোটি ডলার প্রবাসী আয়

ছবি

বাজারে আসছে জাইস টেলিফটো ক্যামেরা সমৃদ্ধ ভিভো এক্স৩০০ প্রো

ছবি

শেয়ারবাজারে বড় দরপতন, লেনদেনেও ভাটা

ছবি

চার মাসে বিদেশি ঋণ ছাড় বেড়েছে ৩৯ শতাংশ

ছবি

সাগরে নতুন ৬৫ প্রজাতির মাছের সন্ধান

ছবি

১১ ব্যবসায়ীকে সম্মাননা দিল বিজিএপিএমইএ

ছবি

বিএসইসির সিদ্ধান্তহীনতায় লেনদেন বন্ধ এক ব্রোকারেজ হাউসের

ছবি

ঢাকায় প্রথমবারের মতো শুরু হলো গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো

ছবি

২০১৬ থেকে ২০২২ বাংলাদেশ ‘দুষ্টচক্রের ত্রিভুজে’ আটকে ছিল: হোসেন জিল্লুর

ছবি

চূড়ান্ত অনুমোদন পেল সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক

ছবি

লাফিয়ে বাড়ছে কৃষি খাতের খেলাপি ঋণ

ছবি

সূচকের পতনে সপ্তাহ শুরু, দর হারিয়েছে তিন শতাধিক শেয়ার

ছবি

পোশাক কারখানার জন্য ‘৩ মাস সংকটময় হতে পারে’

ছবি

বিসিক বিজয় মেলার পর্দা উঠছে সোমবার

ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুঁজিবাজার বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিবে বিএএসএম

ছবি

আওয়ামী লীগ আমলের কারখানা চালু রাখার পক্ষে ফখরুল

ছবি

ডলার সংকট নেই, রোজার পণ্য আমদানি নিয়ে শঙ্কা নেই: গভর্নর

ছবি

পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা

ছবি

খেলাপি ঋণ সংকট কাটাতে ৫ থেকে ১০ বছর লাগবে: গভর্নর

ছবি

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু আগামী সপ্তাহে

ছবি

সাউথইস্ট ব্যাংকের নতুন এমডি খালিদ মাহমুদ

ছবি

তানজিল চৌধুরী প্রাইম ব্যাংকের চেয়ারম্যান পুনর্নির্বাচিত

ছবি

জ্বালানি নিরাপত্তা শিল্পখাতের টেকসই উন্নয়নে অন্যতম অনুষঙ্গ: ডিসিসিআই

tab

সরকারি প্রকল্পে ১৫ বছরে ২ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি: শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

আওয়ামী লীগের শাসনামলে গত ১৫ বছরে সরকারি বিনিয়োগে প্রায় সাত লাখ কোটি টাকার পণ্য ও সেবা কেনায় দুর্নীতি হয়েছে বলে শ্বেতপত্র কমিটির এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এতে উল্লেখ করা হয়, এই ব্যয়ের মধ্যে ১ লাখ ৬১ হাজার থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা ঘুষ হিসেবে রাজনীতিবিদ, আমলা ও তাঁদের সহযোগীদের কাছে গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি অর্থ ব্যয়ের বড় অংশ সড়ক, সেতু, বিদ্যুৎ, হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে ৭৭ হাজার থেকে ৯৮ হাজার কোটি টাকা আমলাদের কাছে এবং ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা রাজনীতিবিদ ও তাঁদের সহযোগীদের কাছে পৌঁছেছে। এ অর্থ নগদে কিংবা উপঢৌকনের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে।

প্রকল্প বাস্তবায়নে যুক্ত ঠিকাদাররা ঘুষের অর্থ রাজনীতিবিদ ও আমলাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠিয়েছেন, যাঁদের অনেকে বিদেশে থাকেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, এই অর্থের একটি অংশ আবাসন, কৃষি, মৎস্য ও পরিবহন খাতে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সিঙ্গাপুরে এই অর্থ পাচার হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

সরকারি প্রকল্পগুলোর জন্য পুঞ্জীভূত ঋণ বর্তমানে ১৫৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা স্থানীয় মুদ্রায় ১৭ লাখ কোটি টাকার বেশি। এতে প্রতিজনের ওপর মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯৮ হাজার ৫৫৪ টাকা।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রকল্প অনুমোদনের আগেই যথাযথ মূল্যায়ন ও পেশাদারিত্বের অভাব থাকে। অনেক প্রকল্পের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বিবেচনা ছাড়াই অনুমোদন দেওয়া হয়। কিছু প্রকল্প শুধুমাত্র রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা বাড়ানোর লক্ষ্যে হাতে নেওয়া হয়েছিল।

শ্বেতপত্র কমিটির দাবি, এসব দুর্নীতি শুধুমাত্র উন্নয়ন কার্যক্রমের ব্যয়বহুল প্রকৃতির জন্য নয়, বরং সরকারি খাতের ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘমেয়াদি ত্রুটির ফল। প্রশাসনিক ও নীতি-পর্যায়ের অদক্ষতা এ পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।

back to top