জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে মধ্যরাতে এক নারী শিক্ষার্থীকে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়ার ঘটনায় মসজিদের ইমামকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে প্রশাসন। এ ঘটনায় ইমামকে অব্যাহতিদেশ দিয়ে পাঁচ সদস্যের একটি উচ্চতর তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন।
প্রক্টর জাহাঙ্গীর বলেন, গত ১৬ মে রাত ১১.৩০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে কেন্দ্রীয় মসজিদে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়ার খবর পাই। সঙ্গে সঙ্গে একজন সহকারী প্রক্টরকে ঘটনাস্থলে পাঠাই। এসময় মসজিদের প্রধান ইমামকে ফোন দিলে তিনি ওই নারী শিক্ষার্থীকে কথা শিখিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলায়। তা আমি আবার ফোনের অপরপাশ থেকে শুনতে পাই।
তিনি আরও বলেন, ওই নারী শিক্ষার্থী যখন ঘুমায় তখন মসজিদের লাইট চালু ছিলো, কিন্তু ঘুম থেকে উঠার পর দেখে লাইট বন্ধ। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা তো ঘটতে পারতো। সহকারী প্রক্টর ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই ইমাম মেয়েটিকে দ্রুত হলে পাঠিয়ে দেয়। এখানে ইমামের দায়িত্বের অবহেলা ছিলো, তাই তাঁকে নামাজ পড়ানো থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তাছাড়া তাঁকে প্রক্টর অফিসেও আসতে বলা হয়েছিলো,কিন্তু এখনও তিনি যোগাযোগ করেননি। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বলেন, তদন্তের জন্য গতকাল সন্ধ্যায় দাপ্তরিক চিঠি পেয়েছেন। তদন্তের অংশ হিসেবে এখন তাঁরা সবার সঙ্গে কথা বলবেন। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দেবেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম ছালাহ্ উদ্দীন বলেন, আমি ওই ছাত্রীকে চিনতামও না। মসজিদের ভেতরে একজন মেয়ে শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন জেনে আমি সাথে সাথে প্রক্টরকে ফোন দিয়ে জানিয়েছিলাম। আমার মনে কোনো খারাপ চিন্তা থাকলে মেয়েটিকে দেখতে পেয়েই আমি প্রশাসনকে অবগত করতাম না। এখন তারা দায়িত্ব অবহেলার অজুহাত দেখিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আমাকে অপসারণ করেছে।
মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে মধ্যরাতে এক নারী শিক্ষার্থীকে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়ার ঘটনায় মসজিদের ইমামকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে প্রশাসন। এ ঘটনায় ইমামকে অব্যাহতিদেশ দিয়ে পাঁচ সদস্যের একটি উচ্চতর তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন।
প্রক্টর জাহাঙ্গীর বলেন, গত ১৬ মে রাত ১১.৩০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে কেন্দ্রীয় মসজিদে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়ার খবর পাই। সঙ্গে সঙ্গে একজন সহকারী প্রক্টরকে ঘটনাস্থলে পাঠাই। এসময় মসজিদের প্রধান ইমামকে ফোন দিলে তিনি ওই নারী শিক্ষার্থীকে কথা শিখিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলায়। তা আমি আবার ফোনের অপরপাশ থেকে শুনতে পাই।
তিনি আরও বলেন, ওই নারী শিক্ষার্থী যখন ঘুমায় তখন মসজিদের লাইট চালু ছিলো, কিন্তু ঘুম থেকে উঠার পর দেখে লাইট বন্ধ। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা তো ঘটতে পারতো। সহকারী প্রক্টর ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই ইমাম মেয়েটিকে দ্রুত হলে পাঠিয়ে দেয়। এখানে ইমামের দায়িত্বের অবহেলা ছিলো, তাই তাঁকে নামাজ পড়ানো থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তাছাড়া তাঁকে প্রক্টর অফিসেও আসতে বলা হয়েছিলো,কিন্তু এখনও তিনি যোগাযোগ করেননি। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বলেন, তদন্তের জন্য গতকাল সন্ধ্যায় দাপ্তরিক চিঠি পেয়েছেন। তদন্তের অংশ হিসেবে এখন তাঁরা সবার সঙ্গে কথা বলবেন। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দেবেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম ছালাহ্ উদ্দীন বলেন, আমি ওই ছাত্রীকে চিনতামও না। মসজিদের ভেতরে একজন মেয়ে শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন জেনে আমি সাথে সাথে প্রক্টরকে ফোন দিয়ে জানিয়েছিলাম। আমার মনে কোনো খারাপ চিন্তা থাকলে মেয়েটিকে দেখতে পেয়েই আমি প্রশাসনকে অবগত করতাম না। এখন তারা দায়িত্ব অবহেলার অজুহাত দেখিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আমাকে অপসারণ করেছে।