আপগ্রেডেশন নীতিমালায় ‘বৈষম্য’ দূর করার দাবি জানিয়ে লাগাতার কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের শিক্ষকরা। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন।
শিক্ষকদের অভিযোগ, তাদের অনেকেই প্রায় ১০ থেকে ১১ বছর যাবৎ স্কুলে কর্মরত, কিন্তু তাদের যে পদমর্যাদা থাকার কথা এখনো তার কোন অগ্রগতি হচ্ছে না। তাই তারা আপগ্রেডেশন নীতিমালায় ‘বৈষম্য’ দূর করার দাবি জানিয়েছেন।
কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক জান্নাতুন নাহার বলেন, ‘আমাদের স্কুলের অফিসাররা যারা চাকরি করেন, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংযুক্ত থাকার কারনে আপগ্রেডেশন নীতিমালার মধ্যে চলে এসেছে। আমরা তাদের পদমর্যাদায় ঈর্শান্বিত নই, তারা তাদের মর্যদা পাক। আমরা শিক্ষক তবুও তারা আমাদের থেকেও এগিয়ে গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমন্বয়ের কারনে। তারা চতুর্থ গ্রেডে পৌঁছে গেছে আর আমরা এখনও ষষ্ঠ গ্রেডে রয়ে গেছি। এভাবে আমরা মর্যাদার দিক দিয়েও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের শিক্ষক সমিতির সভাপতি আশুতোষ ব্যানার্জি বলেন, ‘বেতন বৈষম্য দূরীকরণে আমাদের এই কর্মসূচি। মূলত ২০১২ সালে স্কুলের এক নীতিমালা তৈরি করা হয়। সে অনুযায়ী শিক্ষকদের বেতন কাঠামো নির্ধারন করা হয়। তবে ২০২০ সালে যখন জাতীয় বেতন কাঠামো ঘোষণা করা হয়, সেসময় থেকে এই বৈষম্য তৈরি হয়েছে। বহুদিন যাবৎ আমরা এই বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছি।’
‘আজ ১৫ বছর হয়ে যাচ্ছে তা এখনো সমাধান হয়নি। এর আগে আমরা দুদিন মানববন্ধন করেছি। আজ থেকে লাগাতার কর্মসূচি পালন করবো আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত,’ বলেন এই শিক্ষক নেতা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
আপগ্রেডেশন নীতিমালায় ‘বৈষম্য’ দূর করার দাবি জানিয়ে লাগাতার কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের শিক্ষকরা। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন।
শিক্ষকদের অভিযোগ, তাদের অনেকেই প্রায় ১০ থেকে ১১ বছর যাবৎ স্কুলে কর্মরত, কিন্তু তাদের যে পদমর্যাদা থাকার কথা এখনো তার কোন অগ্রগতি হচ্ছে না। তাই তারা আপগ্রেডেশন নীতিমালায় ‘বৈষম্য’ দূর করার দাবি জানিয়েছেন।
কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক জান্নাতুন নাহার বলেন, ‘আমাদের স্কুলের অফিসাররা যারা চাকরি করেন, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংযুক্ত থাকার কারনে আপগ্রেডেশন নীতিমালার মধ্যে চলে এসেছে। আমরা তাদের পদমর্যাদায় ঈর্শান্বিত নই, তারা তাদের মর্যদা পাক। আমরা শিক্ষক তবুও তারা আমাদের থেকেও এগিয়ে গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমন্বয়ের কারনে। তারা চতুর্থ গ্রেডে পৌঁছে গেছে আর আমরা এখনও ষষ্ঠ গ্রেডে রয়ে গেছি। এভাবে আমরা মর্যাদার দিক দিয়েও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের শিক্ষক সমিতির সভাপতি আশুতোষ ব্যানার্জি বলেন, ‘বেতন বৈষম্য দূরীকরণে আমাদের এই কর্মসূচি। মূলত ২০১২ সালে স্কুলের এক নীতিমালা তৈরি করা হয়। সে অনুযায়ী শিক্ষকদের বেতন কাঠামো নির্ধারন করা হয়। তবে ২০২০ সালে যখন জাতীয় বেতন কাঠামো ঘোষণা করা হয়, সেসময় থেকে এই বৈষম্য তৈরি হয়েছে। বহুদিন যাবৎ আমরা এই বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছি।’
‘আজ ১৫ বছর হয়ে যাচ্ছে তা এখনো সমাধান হয়নি। এর আগে আমরা দুদিন মানববন্ধন করেছি। আজ থেকে লাগাতার কর্মসূচি পালন করবো আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত,’ বলেন এই শিক্ষক নেতা।