এডিস মশার প্রজনন ঘটতে পারে এবং পরিবেশের জন্য হুমকি এমন দ্রব্যাদি কেনার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এসব দ্রব্যের মূল্য নিধারণ করে একটি তালিকাও প্রকাশ করেছে ডিএনসিসি।
সংস্থাটি বলছে, প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের কার্যালয়ে গিয়ে যে কেউ এসব দ্রব্য জমা দিয়ে নগদ অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে। ঈদের পর এটি বাস্তবায়ন করা হবে। তবে কত তারিখ থেকে এসব দ্রব্য কেনা শুরু হবে তা জানানো হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) গুলশানের নগর ভবনে করপোরেশন সভায় ওই ঘোষণা দিয়ে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আশা করি এর ফলে জনগণ অব্যবহৃত দ্রব্যাদি যত্রতত্র ফেলা বন্ধ করবে এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি সংগ্রহ করে সিটি করপোরেশনে জমা দিবে।’
সভায় কাউন্সিলরদের সম্মতিক্রমে পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি ও সেগুলো সংগ্রহের জন্য মূল্য নির্ধারণ করা হয়। ডিএনসিসির’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- চিপসের প্যাকেট/সমজাতীয় প্যাকেট (১০০টি) ১০০ টাকা, আইসক্রিমের কাপ, ডিসপোজেবলব গ্লাস/কাপ (১০০টি) ১০০ টাকা ও অব্যবহৃত পলিথিন (প্রতি কেজি) ৫০ টাকা।
এছাড়াও ডাবের খোসা (প্রতিটি) ২ টাকা, মাটি/ প্লাস্টিক/ মেলামাইন/ সিরামিক ইত্যাদির পাত্র (প্রতিটি) ৩ টাকা, পরিত্যক্ত টায়ার (প্রতিটি) ৫০টাকা, কনডেন্সড মিল্কের কৌটা (প্রতিটি), পরিত্যক্ত কমোড/বেসিন ইত্যাদি (প্রতিটি) ১০০ টাকা, অন্যান্য পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের দ্রব্যাদি (প্রতি কেজি) ১০ টাকায় কেনা হবে।
সভায় মেয়র আতিক বলেন, ‘প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের কার্যালয়ে গিয়ে যেকেউ উল্লিখিত দ্রব্যাদি জমা দিয়ে নগদ অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে। প্রতিটি ওয়ার্ডের ক্রয়কৃত পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি প্রতিদিন নিয়মিতভাবে সংগ্রহ করে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা নিকটবর্তী এসটিএস (সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন) এ অপসারণ করবে। জনগণকে সম্পৃক্ত করে প্রতিটি ওয়ার্ডকে পরিচ্ছন্ন করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ।’
ঈদের পর ডেঙ্গুবিষয়ক ক্যাম্পেইন
সভায় মেয়র আরও বলেন, ঈদের পর ডেঙ্গুবিষয়ক ক্যাম্পেইন শুরু হবে। এজন্য কাউন্সিলরদের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ঈদের পর থেকেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে জনগণকে সচেতন করতে ক্যাম্পেইন শুরু করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা, রাজনীতিবিদ, ইমাম, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সবাইকে নিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে মতবিনিময় সভা করতে হবে, সচেতনতামূলক র্যালি করতে হবে।’
মেয়র বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ওষুধ প্রয়োগ করা, পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করার পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা জরুরি। জনগণের মাঝে বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে এডিসের লার্ভা যেন জন্মাতে না পারে সেজন্য নিজেদের ঘর বাড়ি, অফিস পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ছাদে, বারান্দায়, পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা, মাটির পাত্র, খাবারের প্যাকেট, অব্যবহৃত কমোড এগুলোতে পানি জমতে দেয়া যাবে না।’
বৃহস্পতিবার, ০৪ এপ্রিল ২০২৪
এডিস মশার প্রজনন ঘটতে পারে এবং পরিবেশের জন্য হুমকি এমন দ্রব্যাদি কেনার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এসব দ্রব্যের মূল্য নিধারণ করে একটি তালিকাও প্রকাশ করেছে ডিএনসিসি।
সংস্থাটি বলছে, প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের কার্যালয়ে গিয়ে যে কেউ এসব দ্রব্য জমা দিয়ে নগদ অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে। ঈদের পর এটি বাস্তবায়ন করা হবে। তবে কত তারিখ থেকে এসব দ্রব্য কেনা শুরু হবে তা জানানো হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) গুলশানের নগর ভবনে করপোরেশন সভায় ওই ঘোষণা দিয়ে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আশা করি এর ফলে জনগণ অব্যবহৃত দ্রব্যাদি যত্রতত্র ফেলা বন্ধ করবে এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি সংগ্রহ করে সিটি করপোরেশনে জমা দিবে।’
সভায় কাউন্সিলরদের সম্মতিক্রমে পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি ও সেগুলো সংগ্রহের জন্য মূল্য নির্ধারণ করা হয়। ডিএনসিসির’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- চিপসের প্যাকেট/সমজাতীয় প্যাকেট (১০০টি) ১০০ টাকা, আইসক্রিমের কাপ, ডিসপোজেবলব গ্লাস/কাপ (১০০টি) ১০০ টাকা ও অব্যবহৃত পলিথিন (প্রতি কেজি) ৫০ টাকা।
এছাড়াও ডাবের খোসা (প্রতিটি) ২ টাকা, মাটি/ প্লাস্টিক/ মেলামাইন/ সিরামিক ইত্যাদির পাত্র (প্রতিটি) ৩ টাকা, পরিত্যক্ত টায়ার (প্রতিটি) ৫০টাকা, কনডেন্সড মিল্কের কৌটা (প্রতিটি), পরিত্যক্ত কমোড/বেসিন ইত্যাদি (প্রতিটি) ১০০ টাকা, অন্যান্য পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের দ্রব্যাদি (প্রতি কেজি) ১০ টাকায় কেনা হবে।
সভায় মেয়র আতিক বলেন, ‘প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের কার্যালয়ে গিয়ে যেকেউ উল্লিখিত দ্রব্যাদি জমা দিয়ে নগদ অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে। প্রতিটি ওয়ার্ডের ক্রয়কৃত পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি প্রতিদিন নিয়মিতভাবে সংগ্রহ করে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা নিকটবর্তী এসটিএস (সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন) এ অপসারণ করবে। জনগণকে সম্পৃক্ত করে প্রতিটি ওয়ার্ডকে পরিচ্ছন্ন করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ।’
ঈদের পর ডেঙ্গুবিষয়ক ক্যাম্পেইন
সভায় মেয়র আরও বলেন, ঈদের পর ডেঙ্গুবিষয়ক ক্যাম্পেইন শুরু হবে। এজন্য কাউন্সিলরদের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ঈদের পর থেকেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে জনগণকে সচেতন করতে ক্যাম্পেইন শুরু করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা, রাজনীতিবিদ, ইমাম, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সবাইকে নিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে মতবিনিময় সভা করতে হবে, সচেতনতামূলক র্যালি করতে হবে।’
মেয়র বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ওষুধ প্রয়োগ করা, পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করার পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা জরুরি। জনগণের মাঝে বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে এডিসের লার্ভা যেন জন্মাতে না পারে সেজন্য নিজেদের ঘর বাড়ি, অফিস পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ছাদে, বারান্দায়, পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা, মাটির পাত্র, খাবারের প্যাকেট, অব্যবহৃত কমোড এগুলোতে পানি জমতে দেয়া যাবে না।’