তৃতীয়লিঙ্গ,যৌনকর্মীদের হয়রানি, সহিংসতামূলক নির্যাতন প্রতিরোধ ও বৈষম্য দূরীকরনে রাজধানীর তেজগাঁও অঞ্চলের ৬টি থানার সাব-ইন্সপেক্টর, কনস্টেবলসহ তৃতীয়লিঙ্গ ও যৌনকর্মীদের প্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এর কার্যালয়ে ‘যৌনকর্মী ও তৃতীয়লিঙ্গদের প্রতি হয়রানি, সহিংসতামূলক নির্যাতন প্রতিরোধ ও বৈষম্য দূরীকরণ শীর্ষক’ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক। বেসরকারি সংগঠন আশার আলো সোসাইটি ও দুর্জয় নারী সংঘ’র যৌথ উদ্যোগে এবং সেক্স ওয়ার্কারস এন্ড এলিস সাউথ এশিয়া’র অর্থায়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, গুড গভার্নেন্স হলো দেশের সকল মত ও পথের মানুষের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা। পুলিশের দায়িত্ব হচ্ছে এই বিষয়টা মাথায় রেখে নিজেদের কাজ করে যাওয়া। প্রতিটি নাগরিক আইনের চোখে সমান। তাই দায়িত্ব পালনের সময় কে এইচ আইভি আক্রান্ত, কে, তৃতীয়লিঙ্গ, কে যৌনকর্মী এইসব বিবেচনা না করে নিজেদের কর্তব্য করে যাওয়া।
তিনি বলেন, পুলিশের কাজ মিশে যাওয়া, তবে মিলে যাওয়া নয়। মনে রাখতে হবে পুলিশ সকল মানুষের সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। যেখানে বিপদ সেখানেই পুলিশের হস্তক্ষেপে সমাধানের জায়গা তৈরি করা পুলিশের কাজ।
পিএল এইচআইভি নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুদ্দিন মুন্না বলেন, এইডস আক্রান্ত ব্যক্তিরা সামাজিকভাবে বৈষম্যের শিকার। তারা যদি সমাজের মুলস্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাহলে তা আমাদের সকলের জন্যই ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে।
সচেতন তৃতীয়লিঙ্গ আধিকার যুব সংঘের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস শ্রাবন্তী বলেন, তৃতীয়লিঙ্গ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা পরিবার ও সমাজ থেকে বিভিন্ন বিরুপ আচরণের শিকার হয়। তাদেরকে সামাজিকভাবে মর্যাদা দেওয়া হয় না। তারা যদি এইসব বৈষম্য থেকে মুক্তি পায় এবং সমাজে স্বাভাবিক ভাবে বাঁচতে পারে তাহলে তারা সম্মানজনক কাজ করেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে।
ঝিনুক নারী সংঘের সভাপতি তানুজা আক্তার মিতু বলেন, যৌন কর্মিরা বিভিন্ন জায়গায় লাঞ্চিত হচ্ছে। পুলিশ ভাইদের বলব তারা যেন তাদের যৌন কর্মী হিসেবে বৈষম্য না করে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে তাদের পাশে দাঁড়ায়। যৌন কর্মিরা সেচ্ছায় তাদের এই পেশায় আসেন না। পারিবারিক এবং সামাজিকভাবে বৈষম্য এবং নির্যাতনের কারনেই একজন মেয়ে বাধ্য হয়ে এই পেশায় কাজ করেন। সমাজের এই সকল নির্যাতিত মেয়েদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। একজন মানুষ বিপদে পড়লে প্রথমেই পুলিশের সাহায্য প্রার্থনা করে। আমরা চাই পুলিশ ভাইরা কোন রকম স্টিগমাটাইজ না হয়ে সকলের পাশে দাঁড়াবে।
সেক্সওয়ার্কারস নেটওয়ার্ক এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার সাফিয়া আরিফিন বলেন, একজন যৌন কর্মী জীবিকার প্রয়োজনেই জীবন বিক্রি করে। তাদের উপার্জনের মাধ্যমেই তাদের পরিবার, সন্তানরা বেড়ে উঠে। তাদেরকে এক শ্রেণির মানুষ নির্যাতন করে। তাদের উপার্জিত অর্থ ছিনিয়ে নেয়। তাদের আইনি অধিকার পাওয়ার সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
আশার আলো সোসাইটির প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. সানোয়ার হোসেন আশার আলোর কার্যক্রম তুলে ধরেন এবং তার সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তেজগাঁও অঞ্চলের ৬ টি থানার পুলিশের সদস্য, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। নেটওয়ার্ক অব পিএলএইচআইভি এর সভাপতি আব্দুর রহমানের ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও সমাপনি বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
তৃতীয়লিঙ্গ,যৌনকর্মীদের হয়রানি, সহিংসতামূলক নির্যাতন প্রতিরোধ ও বৈষম্য দূরীকরনে রাজধানীর তেজগাঁও অঞ্চলের ৬টি থানার সাব-ইন্সপেক্টর, কনস্টেবলসহ তৃতীয়লিঙ্গ ও যৌনকর্মীদের প্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এর কার্যালয়ে ‘যৌনকর্মী ও তৃতীয়লিঙ্গদের প্রতি হয়রানি, সহিংসতামূলক নির্যাতন প্রতিরোধ ও বৈষম্য দূরীকরণ শীর্ষক’ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক। বেসরকারি সংগঠন আশার আলো সোসাইটি ও দুর্জয় নারী সংঘ’র যৌথ উদ্যোগে এবং সেক্স ওয়ার্কারস এন্ড এলিস সাউথ এশিয়া’র অর্থায়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, গুড গভার্নেন্স হলো দেশের সকল মত ও পথের মানুষের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা। পুলিশের দায়িত্ব হচ্ছে এই বিষয়টা মাথায় রেখে নিজেদের কাজ করে যাওয়া। প্রতিটি নাগরিক আইনের চোখে সমান। তাই দায়িত্ব পালনের সময় কে এইচ আইভি আক্রান্ত, কে, তৃতীয়লিঙ্গ, কে যৌনকর্মী এইসব বিবেচনা না করে নিজেদের কর্তব্য করে যাওয়া।
তিনি বলেন, পুলিশের কাজ মিশে যাওয়া, তবে মিলে যাওয়া নয়। মনে রাখতে হবে পুলিশ সকল মানুষের সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। যেখানে বিপদ সেখানেই পুলিশের হস্তক্ষেপে সমাধানের জায়গা তৈরি করা পুলিশের কাজ।
পিএল এইচআইভি নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুদ্দিন মুন্না বলেন, এইডস আক্রান্ত ব্যক্তিরা সামাজিকভাবে বৈষম্যের শিকার। তারা যদি সমাজের মুলস্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাহলে তা আমাদের সকলের জন্যই ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে।
সচেতন তৃতীয়লিঙ্গ আধিকার যুব সংঘের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস শ্রাবন্তী বলেন, তৃতীয়লিঙ্গ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা পরিবার ও সমাজ থেকে বিভিন্ন বিরুপ আচরণের শিকার হয়। তাদেরকে সামাজিকভাবে মর্যাদা দেওয়া হয় না। তারা যদি এইসব বৈষম্য থেকে মুক্তি পায় এবং সমাজে স্বাভাবিক ভাবে বাঁচতে পারে তাহলে তারা সম্মানজনক কাজ করেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে।
ঝিনুক নারী সংঘের সভাপতি তানুজা আক্তার মিতু বলেন, যৌন কর্মিরা বিভিন্ন জায়গায় লাঞ্চিত হচ্ছে। পুলিশ ভাইদের বলব তারা যেন তাদের যৌন কর্মী হিসেবে বৈষম্য না করে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে তাদের পাশে দাঁড়ায়। যৌন কর্মিরা সেচ্ছায় তাদের এই পেশায় আসেন না। পারিবারিক এবং সামাজিকভাবে বৈষম্য এবং নির্যাতনের কারনেই একজন মেয়ে বাধ্য হয়ে এই পেশায় কাজ করেন। সমাজের এই সকল নির্যাতিত মেয়েদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। একজন মানুষ বিপদে পড়লে প্রথমেই পুলিশের সাহায্য প্রার্থনা করে। আমরা চাই পুলিশ ভাইরা কোন রকম স্টিগমাটাইজ না হয়ে সকলের পাশে দাঁড়াবে।
সেক্সওয়ার্কারস নেটওয়ার্ক এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার সাফিয়া আরিফিন বলেন, একজন যৌন কর্মী জীবিকার প্রয়োজনেই জীবন বিক্রি করে। তাদের উপার্জনের মাধ্যমেই তাদের পরিবার, সন্তানরা বেড়ে উঠে। তাদেরকে এক শ্রেণির মানুষ নির্যাতন করে। তাদের উপার্জিত অর্থ ছিনিয়ে নেয়। তাদের আইনি অধিকার পাওয়ার সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
আশার আলো সোসাইটির প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. সানোয়ার হোসেন আশার আলোর কার্যক্রম তুলে ধরেন এবং তার সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তেজগাঁও অঞ্চলের ৬ টি থানার পুলিশের সদস্য, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। নেটওয়ার্ক অব পিএলএইচআইভি এর সভাপতি আব্দুর রহমানের ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও সমাপনি বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।