চৈত্রসংক্রান্তি ও পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে মহিলা সমিতি মিলনায়তনে নাট্যদল প্রাঙ্গণেমোর প্রযোজিত ‘শেষের কবিতা’ নাটকের দুই দিনের প্রদর্শনীর আয়োজন ছিল। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে নাট্যকর্মীরা মঞ্চে ওঠার অপেক্ষায় ছিলেন। তবে ‘তৌহিদি জনতা’ নামে হুমকির চিঠি পাওয়ার পর মিলনায়তন কর্তৃপক্ষ নাটকের প্রদর্শনী বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।
চিঠিতে বলা হয়, নাটকের প্রদর্শনীর সময় মহিলা সমিতিতে ভাঙচুর হলে এর দায় ‘তৌহিদি জনতা’ নেবে না। এই হুমকির প্রেক্ষিতে নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় মিলনায়তনের বরাদ্দ বাতিল করা হয় বলে জানান মহিলা সমিতির নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা শারমিন আরা। তিনি বলেন, “সকালে অফিসে এসেই আমরা একটা চিঠি পেয়েছি ‘তৌহিদি জনতা’ নামে। এরপরই আমরা নাটকের প্রদর্শনী বাতিল করি। মহিলা সমিতিতে নাটক ছাড়াও স্কুল, স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তাই আমরা ঝুঁকি নিতে চাইনি।”
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শেষের কবিতা’ উপন্যাস অবলম্বনে নাট্যরূপ দিয়েছেন অনন্ত হীরা এবং নির্দেশনা দিয়েছেন নূনা আফরোজ। এটি নাট্যদলটির ষষ্ঠ প্রযোজনা। অনন্ত হীরা ফেসবুকে লিখেছেন, “মহিলা সমিতি আজ সকাল ১০টায় ফোন করে জানাল, ‘তৌহিদি জনতা’ তাদের চিঠি দিয়েছে, মহিলা সমিতিতে যেন কোনো প্রদর্শনী করতে দেওয়া না হয়। আমরা মহিলা সমিতিকে দুই দিনের হল ভাড়া দিয়েছি। প্রচার, প্রকাশনায় সব খরচ করা হয়ে গেছে। আমাদের ছেলেমেয়েরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে এত দিন ধরে।”
তিনি আরও লেখেন, “আমরা মহিলা সমিতিকে বলেছি, আপনারা প্রশাসনের সাহায্য নিন। প্রশাসন অপারগতা প্রকাশ করলে না হয় আমরা প্রদর্শনী নাইবা করলাম। মহিলা সমিতি জানাল, কত কিছুই তো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, প্রশাসন তো বন্ধ করতে পারছে না। প্রশাসন কি সহযোগিতা করবেন আমাদের?”
নাটক বন্ধের প্রতিবাদে নাট্যকর্মীরা আজ রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় মহিলা সমিতির সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন। অনন্ত হীরা লিখেছেন, “আমরা আমাদের নাটক বন্ধের প্রতিবাদে আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বেইলি রোডে প্রতিবাদ সমাবেশ আহ্বান করছি। সে সকল নাট্যবন্ধু, দর্শকবন্ধু, সাংবাদিকবন্ধু আমাদের পাশে থাকতে চান, তাঁদের সবাইকে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বেইলি রোডে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।”
উল্লেখ্য, এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে মহিলা সমিতি মিলনায়তনে ‘ঢাকা মহানগর নাট্যোৎসব’ও হুমকির মুখে স্থগিত হয়েছিল।
রোববার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
চৈত্রসংক্রান্তি ও পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে মহিলা সমিতি মিলনায়তনে নাট্যদল প্রাঙ্গণেমোর প্রযোজিত ‘শেষের কবিতা’ নাটকের দুই দিনের প্রদর্শনীর আয়োজন ছিল। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে নাট্যকর্মীরা মঞ্চে ওঠার অপেক্ষায় ছিলেন। তবে ‘তৌহিদি জনতা’ নামে হুমকির চিঠি পাওয়ার পর মিলনায়তন কর্তৃপক্ষ নাটকের প্রদর্শনী বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।
চিঠিতে বলা হয়, নাটকের প্রদর্শনীর সময় মহিলা সমিতিতে ভাঙচুর হলে এর দায় ‘তৌহিদি জনতা’ নেবে না। এই হুমকির প্রেক্ষিতে নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় মিলনায়তনের বরাদ্দ বাতিল করা হয় বলে জানান মহিলা সমিতির নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা শারমিন আরা। তিনি বলেন, “সকালে অফিসে এসেই আমরা একটা চিঠি পেয়েছি ‘তৌহিদি জনতা’ নামে। এরপরই আমরা নাটকের প্রদর্শনী বাতিল করি। মহিলা সমিতিতে নাটক ছাড়াও স্কুল, স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তাই আমরা ঝুঁকি নিতে চাইনি।”
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শেষের কবিতা’ উপন্যাস অবলম্বনে নাট্যরূপ দিয়েছেন অনন্ত হীরা এবং নির্দেশনা দিয়েছেন নূনা আফরোজ। এটি নাট্যদলটির ষষ্ঠ প্রযোজনা। অনন্ত হীরা ফেসবুকে লিখেছেন, “মহিলা সমিতি আজ সকাল ১০টায় ফোন করে জানাল, ‘তৌহিদি জনতা’ তাদের চিঠি দিয়েছে, মহিলা সমিতিতে যেন কোনো প্রদর্শনী করতে দেওয়া না হয়। আমরা মহিলা সমিতিকে দুই দিনের হল ভাড়া দিয়েছি। প্রচার, প্রকাশনায় সব খরচ করা হয়ে গেছে। আমাদের ছেলেমেয়েরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে এত দিন ধরে।”
তিনি আরও লেখেন, “আমরা মহিলা সমিতিকে বলেছি, আপনারা প্রশাসনের সাহায্য নিন। প্রশাসন অপারগতা প্রকাশ করলে না হয় আমরা প্রদর্শনী নাইবা করলাম। মহিলা সমিতি জানাল, কত কিছুই তো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, প্রশাসন তো বন্ধ করতে পারছে না। প্রশাসন কি সহযোগিতা করবেন আমাদের?”
নাটক বন্ধের প্রতিবাদে নাট্যকর্মীরা আজ রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় মহিলা সমিতির সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন। অনন্ত হীরা লিখেছেন, “আমরা আমাদের নাটক বন্ধের প্রতিবাদে আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বেইলি রোডে প্রতিবাদ সমাবেশ আহ্বান করছি। সে সকল নাট্যবন্ধু, দর্শকবন্ধু, সাংবাদিকবন্ধু আমাদের পাশে থাকতে চান, তাঁদের সবাইকে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বেইলি রোডে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।”
উল্লেখ্য, এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে মহিলা সমিতি মিলনায়তনে ‘ঢাকা মহানগর নাট্যোৎসব’ও হুমকির মুখে স্থগিত হয়েছিল।