নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তারা রাজধানীর দুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওরা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘গ’ সার্কেল) আবির হোসেন।
পুলিশ ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কায়েতপাড়া এলাকায় প্রভাব বিস্তার ও এলাকার জমি দখলকে কেন্দ্র করে ইউনিয়নটির সাবেক চেয়ারম্যান ও রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম এবং সাবেক ইউপি সদস্য ও পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মোশাররফ হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। শনিবার বিকেলে একটি জমিতে সাইনবোর্ড লাগানোকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এ নিয়ে পরে উভয়পক্ষ দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘রূপগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাতে নারী ও শিশুসহ পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লেগেছে। তবে তারা শঙ্কামুক্ত।
ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন জাকির হোসেন (৫০), মো. জুম্মন (১১) আলআমিন (২৭), আবুল হোসেন (৪২) ও মোসা. মারুফা (১৮)। তারা এলাকায় মোশাররফ হোসেনের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
এছাড়া, গুলিবিদ্ধ অপর পাঁচজন হলেন- মো. রুবেল (৩০), মো. নাইম (২২), নূর হোসেন (২৪), মো. ফয়সাল (৩৫) ও মো. হানিফ (২৪)। এলাকায় রফিকুল ইসলামের সমর্থক হিসেবে পরিচিত এই পাঁচজন রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রফিকুল ইসলামের ছোটভাই নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিকেলে মোশারফের লোকজন একটি জমি দখলে নিতে একটি কোম্পানির সাইনবোর্ড লাগানোর সময় স্থানীয় লোকজন ওই জমির মালিককে সাথে নিয়ে বাধা দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মোশাররফের লোকজন গ্রামবাসীর উপর হামলা চালায়। এতে অনেকেই হতাহত হয়েছে।’
এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান মিজানুর।
তবে, ঘটনার বিষয়ে কথা বলতে মোশাররফ হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবির হোসেন বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে পুরোনো দ্বন্দ্ব ছিল। এর আগেও তাদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। একই দ্বন্দ্বের জেরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জেনেছি।’
এই বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
রোববার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তারা রাজধানীর দুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওরা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘গ’ সার্কেল) আবির হোসেন।
পুলিশ ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কায়েতপাড়া এলাকায় প্রভাব বিস্তার ও এলাকার জমি দখলকে কেন্দ্র করে ইউনিয়নটির সাবেক চেয়ারম্যান ও রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম এবং সাবেক ইউপি সদস্য ও পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মোশাররফ হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। শনিবার বিকেলে একটি জমিতে সাইনবোর্ড লাগানোকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এ নিয়ে পরে উভয়পক্ষ দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘রূপগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাতে নারী ও শিশুসহ পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লেগেছে। তবে তারা শঙ্কামুক্ত।
ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন জাকির হোসেন (৫০), মো. জুম্মন (১১) আলআমিন (২৭), আবুল হোসেন (৪২) ও মোসা. মারুফা (১৮)। তারা এলাকায় মোশাররফ হোসেনের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
এছাড়া, গুলিবিদ্ধ অপর পাঁচজন হলেন- মো. রুবেল (৩০), মো. নাইম (২২), নূর হোসেন (২৪), মো. ফয়সাল (৩৫) ও মো. হানিফ (২৪)। এলাকায় রফিকুল ইসলামের সমর্থক হিসেবে পরিচিত এই পাঁচজন রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রফিকুল ইসলামের ছোটভাই নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিকেলে মোশারফের লোকজন একটি জমি দখলে নিতে একটি কোম্পানির সাইনবোর্ড লাগানোর সময় স্থানীয় লোকজন ওই জমির মালিককে সাথে নিয়ে বাধা দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মোশাররফের লোকজন গ্রামবাসীর উপর হামলা চালায়। এতে অনেকেই হতাহত হয়েছে।’
এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান মিজানুর।
তবে, ঘটনার বিষয়ে কথা বলতে মোশাররফ হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবির হোসেন বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে পুরোনো দ্বন্দ্ব ছিল। এর আগেও তাদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। একই দ্বন্দ্বের জেরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জেনেছি।’
এই বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।