ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
যশোরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যার দায়ে এক যুবককে ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত জহিরুল ইসলাম বিশ্বাস ওরফে বাবু (৩৬) যশোর সদর উপজেলার জগন্নাথপুর বিশ্বাসপাড়ার মশিউর বিশ্বাসের ছেলে। গত সোমবার দুপুরে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক জাকির হোসেন টিপু এই রায় ঘোষণা করেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বাবু রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পিপি মাহাবুবুর রহমান।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা গ্রামে জহিরুল ইসলামের শ্বশুরবাড়ি। সেখান থেকে তিনি স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বিথি (৩২) এবং দুই মেয়ে সুমাইয়া (৯) ও সাফিয়াকে (২) নিয়ে ২০২২ সালের ১৫ জুলাই দুপুরে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। এর আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। এর জের ধরে ফেরার পথে অভয়নগর উপজেলার চাঁপাতলা গ্রামে স্ত্রী ও দুই কন্যাসন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বাবু। এরপর মরদেহগুলো যশোর-খুলনা মহাসড়কের পাশে চেঙ্গুটিয়া এলাকার একটি বাগানে ফেলে রাখেন। পরে পরিবারের কাছে বিষয়টি জানিয়ে নিজেই বসুন্দিয়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে গিয়ে সব খুলে বলেন। এরপর তাকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়।
এঘটনায় সাবিনা ইয়াসমিন বিথির বাবা মুজিবর রহমান অভয়নগর থানায় মামলা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ১১ বছর আগে বাবুর সঙ্গে বিথির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ চলছিল। এছাড়া বিভিন্ন দাবিতে বিথিকে মারধর করতেন বাবু। এক পর্যায়ে তাকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তারপরও নির্যাতন থামেনি। ঘটনার দিনও ঝগড়া এবং মারধর করা হয় বিথিকে। বাড়িতে নেওয়ার পথে তিনজনকেই শ্বাসরোধে হত্যা করেন বাবু বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। পুলিশের তদন্তেও এই বিষয়টি উঠে আসে। তদন্তের পর অভয়নগর থানার এসআই গোলাম হোসেন ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর বাবুর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। সোমবার এই মামলার রায়ে আদালত বাবুকে ফাঁসির আদেশ দেন এবং আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫
যশোরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যার দায়ে এক যুবককে ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত জহিরুল ইসলাম বিশ্বাস ওরফে বাবু (৩৬) যশোর সদর উপজেলার জগন্নাথপুর বিশ্বাসপাড়ার মশিউর বিশ্বাসের ছেলে। গত সোমবার দুপুরে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক জাকির হোসেন টিপু এই রায় ঘোষণা করেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বাবু রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পিপি মাহাবুবুর রহমান।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা গ্রামে জহিরুল ইসলামের শ্বশুরবাড়ি। সেখান থেকে তিনি স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বিথি (৩২) এবং দুই মেয়ে সুমাইয়া (৯) ও সাফিয়াকে (২) নিয়ে ২০২২ সালের ১৫ জুলাই দুপুরে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। এর আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। এর জের ধরে ফেরার পথে অভয়নগর উপজেলার চাঁপাতলা গ্রামে স্ত্রী ও দুই কন্যাসন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বাবু। এরপর মরদেহগুলো যশোর-খুলনা মহাসড়কের পাশে চেঙ্গুটিয়া এলাকার একটি বাগানে ফেলে রাখেন। পরে পরিবারের কাছে বিষয়টি জানিয়ে নিজেই বসুন্দিয়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে গিয়ে সব খুলে বলেন। এরপর তাকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়।
এঘটনায় সাবিনা ইয়াসমিন বিথির বাবা মুজিবর রহমান অভয়নগর থানায় মামলা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ১১ বছর আগে বাবুর সঙ্গে বিথির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ চলছিল। এছাড়া বিভিন্ন দাবিতে বিথিকে মারধর করতেন বাবু। এক পর্যায়ে তাকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তারপরও নির্যাতন থামেনি। ঘটনার দিনও ঝগড়া এবং মারধর করা হয় বিথিকে। বাড়িতে নেওয়ার পথে তিনজনকেই শ্বাসরোধে হত্যা করেন বাবু বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। পুলিশের তদন্তেও এই বিষয়টি উঠে আসে। তদন্তের পর অভয়নগর থানার এসআই গোলাম হোসেন ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর বাবুর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। সোমবার এই মামলার রায়ে আদালত বাবুকে ফাঁসির আদেশ দেন এবং আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।