আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিরোধী মতাবলম্বীদের গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (৮ অক্টোবর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ অভিযোগ দুটি আমলে নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের অপর দুই বিচারক হলেন মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
দুই মামলায় গুম ও নির্যাতনের অভিযোগ
প্রধান কৌঁসুলি মো. তাজুল ইসলাম আদালতে দুই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উপস্থাপন করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন জানান।
একটি মামলায় র্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে এবং অন্যটিতে ডিজিএফআইয়ের জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল (জেআইসি)-এ গুম ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুই মামলাতেই প্রধান আসামি শেখ হাসিনা। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ এবং র্যাব ও ডিজিএফআইয়ের একাধিক সাবেক মহাপরিচালক।
ট্রাইব্যুনাল ৩০ জন আসামির বিরুদ্ধেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ অক্টোবর।
গত বছর গঠিত বিশেষ তদন্ত কমিশন তাদের প্রতিবেদনে বলেছিল, শেখ হাসিনার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিরোধীদের গুমে জড়িত ছিলেন।
প্রতিবেদনে “আয়নাঘর” নামে কুখ্যাত গোপন আটককেন্দ্রের কথাও উল্লেখ করা হয়, যেখানে বন্দিদের নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সেই কেন্দ্র পরিদর্শন করে বলেন, “এটি বাংলাদেশের মানবাধিকারের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়।”
---
বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিরোধী মতাবলম্বীদের গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (৮ অক্টোবর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ অভিযোগ দুটি আমলে নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের অপর দুই বিচারক হলেন মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
দুই মামলায় গুম ও নির্যাতনের অভিযোগ
প্রধান কৌঁসুলি মো. তাজুল ইসলাম আদালতে দুই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উপস্থাপন করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন জানান।
একটি মামলায় র্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে এবং অন্যটিতে ডিজিএফআইয়ের জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল (জেআইসি)-এ গুম ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুই মামলাতেই প্রধান আসামি শেখ হাসিনা। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ এবং র্যাব ও ডিজিএফআইয়ের একাধিক সাবেক মহাপরিচালক।
ট্রাইব্যুনাল ৩০ জন আসামির বিরুদ্ধেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ অক্টোবর।
গত বছর গঠিত বিশেষ তদন্ত কমিশন তাদের প্রতিবেদনে বলেছিল, শেখ হাসিনার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিরোধীদের গুমে জড়িত ছিলেন।
প্রতিবেদনে “আয়নাঘর” নামে কুখ্যাত গোপন আটককেন্দ্রের কথাও উল্লেখ করা হয়, যেখানে বন্দিদের নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সেই কেন্দ্র পরিদর্শন করে বলেন, “এটি বাংলাদেশের মানবাধিকারের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়।”
---