রাঙামাটিতে চাঁদাবাজির এক মামলায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কেন্দ্রীয় সংগঠক মাইকেল চাকমাকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তাওহিদুল হক এই রায় ঘোষণা করেন। তবে বিষয়টি জানা যায় বৃহস্পতিবার।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী প্রসাদেব চাকমা জানিয়েছেন, ২০০৭ সালে রাঙামাটির লংগদু থানায় দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলায় মাইকেল চাকমা ও সুমন চাকমা নামের আরও একজনকে আট বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
মাইকেল চাকমা ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় সংগঠক। ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে ঢাকায় ফেরার পথে তিনি নিখোঁজ হন বলে তার পরিবার ও দল অভিযোগ করেছিল। এরপর থেকে দীর্ঘদিন তার কোনো খোঁজ মেলেনি।
মাইকেল চাকমাকে ‘গুম’ করা হয়েছে বলে দাবি করে ইউপিডিএফ, তাদের সহযোগী সংগঠন, মানবাধিকারকর্মী ও নাগরিক সমাজ তার সন্ধানের দাবিতে বিভিন্ন সময় কর্মসূচি পালন করে আসছিল। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ কয়েকটি সংগঠনও এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারের কাছে তার খোঁজ জানতে চায়।
এর মধ্যে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর মাইকেল চাকমার খোঁজ মেলে বলে দাবি করে ইউপিডিএফ।
এরপর আবারও তার বিরুদ্ধে পুরোনো চাঁদাবাজির মামলায় আদালত কারাদণ্ডের রায় দিলেন।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন,
> “মাইকেল চাকমা পাঁচ বছরের বেশি সময় গুমের শিকার হয়ে নির্যাতন সহ্য করেছেন। এই সময়ে এসে তাকে নতুন করে কারাদণ্ড দেওয়ার কী মানে আছে? মাইকেল চাকমাকে রাষ্ট্রের এত ভয় পাওয়ার কারণ কী?”
রায়ের বিষয়ে ইউপিডিএফের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি।
---
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
রাঙামাটিতে চাঁদাবাজির এক মামলায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কেন্দ্রীয় সংগঠক মাইকেল চাকমাকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তাওহিদুল হক এই রায় ঘোষণা করেন। তবে বিষয়টি জানা যায় বৃহস্পতিবার।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী প্রসাদেব চাকমা জানিয়েছেন, ২০০৭ সালে রাঙামাটির লংগদু থানায় দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলায় মাইকেল চাকমা ও সুমন চাকমা নামের আরও একজনকে আট বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
মাইকেল চাকমা ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় সংগঠক। ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে ঢাকায় ফেরার পথে তিনি নিখোঁজ হন বলে তার পরিবার ও দল অভিযোগ করেছিল। এরপর থেকে দীর্ঘদিন তার কোনো খোঁজ মেলেনি।
মাইকেল চাকমাকে ‘গুম’ করা হয়েছে বলে দাবি করে ইউপিডিএফ, তাদের সহযোগী সংগঠন, মানবাধিকারকর্মী ও নাগরিক সমাজ তার সন্ধানের দাবিতে বিভিন্ন সময় কর্মসূচি পালন করে আসছিল। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ কয়েকটি সংগঠনও এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারের কাছে তার খোঁজ জানতে চায়।
এর মধ্যে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর মাইকেল চাকমার খোঁজ মেলে বলে দাবি করে ইউপিডিএফ।
এরপর আবারও তার বিরুদ্ধে পুরোনো চাঁদাবাজির মামলায় আদালত কারাদণ্ডের রায় দিলেন।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন,
> “মাইকেল চাকমা পাঁচ বছরের বেশি সময় গুমের শিকার হয়ে নির্যাতন সহ্য করেছেন। এই সময়ে এসে তাকে নতুন করে কারাদণ্ড দেওয়ার কী মানে আছে? মাইকেল চাকমাকে রাষ্ট্রের এত ভয় পাওয়ার কারণ কী?”
রায়ের বিষয়ে ইউপিডিএফের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি।
---