ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
যশোরে ইয়াবা ব্যবসায় বাধা দেয়ায় এবং ইজিবাইক চুরি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ সময় দু’পক্ষের সংঘর্ষে ছয়জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে যশোর সদর উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত চঞ্চল মাহমুদ (৩০) ডাকাতিয়া গ্রামের মধু গাজীর ছেলে। আহতরা হলেন- চঞ্চলের পিতা মধু গাজী, মা হাসিনা বেগম ও ছোট ভাই তুহিন এবং হামলাকারী রবিউল ইসলাম (৩৮), তার ভাই বিল্লাল হোসেন (৪০) ও রবিউলের ছেলে মুন্না (১৮)।
ডাকাতিয়ার আলোচিত মাদক ও চোর সিন্ডিকেট প্রধান রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী চক্র হামলা চালিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এরা হলো- সিন্ডিকেট প্রধান রবিউল ইসলাম, তার ভাই বিল্লাল হোসেন ও ছেলে মুন্না।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি ডাকাতিয়া গ্রামের মধু গাজীর ছেলে চঞ্চল মাহমুদের একটি ইজিবাইক চুরি হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা এবং ভুক্তভোগী চঞ্চল এলাকার আলোচিত চোর সিন্ডিকেট প্রধান রবিউল ইসলাম গংকে সন্দেহ করে এবং স্থানীয়দের মাধ্যমে ইজিবাইকটি ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ জানায়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে চোর সিন্ডিকেট প্রথম রবিউল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
এছাড়াও এলাকায় অভিযোগ রয়েছে, রবিউল ও বিল্লাল এলাকায় ইয়াবার ব্যবসা করে। ইয়াবা বিক্রিতে বাধা দেয়ায় চঞ্চল ও তার পিতার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল রবিউল ও বিল্লাল। এই বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে রবিউলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। তারা চঞ্চলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। চঞ্চল মাহমুদ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যান তার বাবা মধু গাজী, মা হাসিনা বেগম ও ছোট ভাই তুহিন। সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করে। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হলে হামলাকারী রবিউল, বিল্লাল এবং মুন্নাও আহত হন।
সংঘর্ষ চলাকালে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে গেলে হামলাকারীরা চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে আনার পর চঞ্চল মাহমুদকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। গুরুতর জখম হওয়া মধু গাজীর অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
হামলায় নিহত চঞ্চলের পিতা মধু গাজী জানান, রবিউল ও বিল্লালের নেতৃত্বে এলাকায় প্রকাশ্যে ইয়াবার ব্যবসা চলে। এতে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আমার ছেলে চঞ্চল হোসেন তাদের ইয়াবা ব্যবসায় বাধা দেয়ায় তারা ক্ষুব্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে চঞ্চল ডাকাতিয়া গ্রামের ডাক্তার ইসরাইল হোসেনের বাড়ির সামনের রাস্তায় ছিল। এসময় রবিউল বিল্লাল ও মুন্নাসহ কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এসময় তিনি (মধু গাজী) এগিয়ে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।
তখন পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারী তিনজনকে মারধর করে।
এদিকে এই হামলা ও হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে যশোর কোতোয়ালি থানা, জেলা গোয়েন্দা শাখাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল এলাকায় খোঁজখবর নেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে রবিউল, মুন্না ও বিল্লালকে আটক করা হয়।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আবুল হাসনাত জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গোলযোগে দুইপক্ষের পাল্টাপাল্টি ছুরিকাঘাতে বাবা ও ছেলেসহ ৫ জন আহত হন। এরমধ্যে চঞ্চল নামে একজন মারা গেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা পুলিশের হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
যশোরে ইয়াবা ব্যবসায় বাধা দেয়ায় এবং ইজিবাইক চুরি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ সময় দু’পক্ষের সংঘর্ষে ছয়জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে যশোর সদর উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত চঞ্চল মাহমুদ (৩০) ডাকাতিয়া গ্রামের মধু গাজীর ছেলে। আহতরা হলেন- চঞ্চলের পিতা মধু গাজী, মা হাসিনা বেগম ও ছোট ভাই তুহিন এবং হামলাকারী রবিউল ইসলাম (৩৮), তার ভাই বিল্লাল হোসেন (৪০) ও রবিউলের ছেলে মুন্না (১৮)।
ডাকাতিয়ার আলোচিত মাদক ও চোর সিন্ডিকেট প্রধান রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী চক্র হামলা চালিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এরা হলো- সিন্ডিকেট প্রধান রবিউল ইসলাম, তার ভাই বিল্লাল হোসেন ও ছেলে মুন্না।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি ডাকাতিয়া গ্রামের মধু গাজীর ছেলে চঞ্চল মাহমুদের একটি ইজিবাইক চুরি হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা এবং ভুক্তভোগী চঞ্চল এলাকার আলোচিত চোর সিন্ডিকেট প্রধান রবিউল ইসলাম গংকে সন্দেহ করে এবং স্থানীয়দের মাধ্যমে ইজিবাইকটি ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ জানায়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে চোর সিন্ডিকেট প্রথম রবিউল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
এছাড়াও এলাকায় অভিযোগ রয়েছে, রবিউল ও বিল্লাল এলাকায় ইয়াবার ব্যবসা করে। ইয়াবা বিক্রিতে বাধা দেয়ায় চঞ্চল ও তার পিতার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল রবিউল ও বিল্লাল। এই বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে রবিউলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। তারা চঞ্চলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। চঞ্চল মাহমুদ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যান তার বাবা মধু গাজী, মা হাসিনা বেগম ও ছোট ভাই তুহিন। সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করে। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হলে হামলাকারী রবিউল, বিল্লাল এবং মুন্নাও আহত হন।
সংঘর্ষ চলাকালে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে গেলে হামলাকারীরা চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে আনার পর চঞ্চল মাহমুদকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। গুরুতর জখম হওয়া মধু গাজীর অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
হামলায় নিহত চঞ্চলের পিতা মধু গাজী জানান, রবিউল ও বিল্লালের নেতৃত্বে এলাকায় প্রকাশ্যে ইয়াবার ব্যবসা চলে। এতে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আমার ছেলে চঞ্চল হোসেন তাদের ইয়াবা ব্যবসায় বাধা দেয়ায় তারা ক্ষুব্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে চঞ্চল ডাকাতিয়া গ্রামের ডাক্তার ইসরাইল হোসেনের বাড়ির সামনের রাস্তায় ছিল। এসময় রবিউল বিল্লাল ও মুন্নাসহ কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এসময় তিনি (মধু গাজী) এগিয়ে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।
তখন পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারী তিনজনকে মারধর করে।
এদিকে এই হামলা ও হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে যশোর কোতোয়ালি থানা, জেলা গোয়েন্দা শাখাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল এলাকায় খোঁজখবর নেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে রবিউল, মুন্না ও বিল্লালকে আটক করা হয়।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আবুল হাসনাত জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গোলযোগে দুইপক্ষের পাল্টাপাল্টি ছুরিকাঘাতে বাবা ও ছেলেসহ ৫ জন আহত হন। এরমধ্যে চঞ্চল নামে একজন মারা গেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা পুলিশের হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।