ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
জিজ্ঞাসাবাদের নামে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে স্ত্রীসহ অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগে ফাউন্ডেশনের ১০ কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার, (১৪ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকার মহানগর হাকিম জুয়েল রানার আদালতে অভ্যুত্থানের সময় আহত ব্যক্তি বুলবুল শিকদারের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন মামলাটি করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ইলতুৎমিশ সওদাগর এনি সাংবাদিকদের বলেন, আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আসামিরা হলেন- ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভেরিফিকেশন অফিসার ইফতেখার হোসেন, এক্সিকিউটিভ মেম্বার সাবরিনা আফরোজ শ্রাবন্তী, কর্মকর্তা সাগর, মেহেদী হাসান প্রিন্স, আফজালু রহমান সায়েম, সাইদুর রহমান শাহিদ, আলিফ, জাহিদ ফাতেমা আফরিন পায়েল ও রেজা তানভীর এবং রাকিন, শামীম রেজা খান ও সোনিয়া আক্তার লুবনা। শেষের তিনজনের কোনো পরিচয় দেয়া হয়নি মামলায়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী’ আন্দোলনে সাবিনা ইয়াসমিনের স্বামী ও ছেলে মোটরসাইকেলে চিটাগাং রোডের মাদানী নগর মাদ্রাসার সামনে গেলে পুলিশ ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা আন্দোলনরত জনতার ওপর গুলি ও হামলা চালায়। এতে তার স্বামী বুলবুল শিকদার ও ছেলে গুরুতর আহত হন। স্বামীর হাঁটুর নিচে মারাত্মক আঘাত লাগে এবং ছেলের পা ভেঙে যায়।
এজাহারে বলা হয়, এরপর আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন গঠিত হলে সাবিনা ইয়াসমিন গত ২০ মার্চ বেলা ১১টার দিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল সংলগ্ন কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের অফিসে যান। সেখানে ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন ও অন্যান্য আসামি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তারা কীভাবে আহত হন জানতে চান। তারা আহত হওয়ার ঘটনা বর্ণনা করেন। তাদের জানানো হয়, তাদের ছেলে সেখান থেকে এক লাখ টাকার চেক নিয়ে গেছে। বুলবুল জুলাই যোদ্ধা গেজেট নম্বর এবং মেডিকেল কেস আইডি দেখালে ইফতেখার তখন ফাউন্ডেশনের দুই কর্মকর্তা সাগর ও মেহেদীকে ডেকে আনে।
ওই সময়কার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এজাহারে অভিযোগ করা হয়, তারা সাবিনা ইয়াসমিনকে বসিয়ে রেখে বুলবুলকে একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রাখে। কয়েক ঘণ্টা পার হয়ে গেলে স্বামীকে না পেয়ে ফোন দেন সাবিনা। সাগর কল ধরে বলেন, ‘ভুয়া যোদ্ধাকে জামাই আদর চলতেছে’। সাগর সাবিনাকেও ভেতরে যেতে বলেন। তারা তাকেও মারধর করে।
সাবিনার অভিযোগ, আসামিরা তাদের ‘ভুয়া জুলাই যোদ্ধা’ বলে হুমকি দেন, জোরপূর্বক মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করেন এবং তার ব্যাগ ও মোবাইল ছিনিয়ে নেন। নির্যাতনের ফলে তার স্বামী মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকেন।
মামলার আবেদনে তিনি বলেন, পরে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাদী আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
জিজ্ঞাসাবাদের নামে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে স্ত্রীসহ অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগে ফাউন্ডেশনের ১০ কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার, (১৪ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকার মহানগর হাকিম জুয়েল রানার আদালতে অভ্যুত্থানের সময় আহত ব্যক্তি বুলবুল শিকদারের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন মামলাটি করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ইলতুৎমিশ সওদাগর এনি সাংবাদিকদের বলেন, আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আসামিরা হলেন- ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভেরিফিকেশন অফিসার ইফতেখার হোসেন, এক্সিকিউটিভ মেম্বার সাবরিনা আফরোজ শ্রাবন্তী, কর্মকর্তা সাগর, মেহেদী হাসান প্রিন্স, আফজালু রহমান সায়েম, সাইদুর রহমান শাহিদ, আলিফ, জাহিদ ফাতেমা আফরিন পায়েল ও রেজা তানভীর এবং রাকিন, শামীম রেজা খান ও সোনিয়া আক্তার লুবনা। শেষের তিনজনের কোনো পরিচয় দেয়া হয়নি মামলায়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী’ আন্দোলনে সাবিনা ইয়াসমিনের স্বামী ও ছেলে মোটরসাইকেলে চিটাগাং রোডের মাদানী নগর মাদ্রাসার সামনে গেলে পুলিশ ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা আন্দোলনরত জনতার ওপর গুলি ও হামলা চালায়। এতে তার স্বামী বুলবুল শিকদার ও ছেলে গুরুতর আহত হন। স্বামীর হাঁটুর নিচে মারাত্মক আঘাত লাগে এবং ছেলের পা ভেঙে যায়।
এজাহারে বলা হয়, এরপর আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন গঠিত হলে সাবিনা ইয়াসমিন গত ২০ মার্চ বেলা ১১টার দিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল সংলগ্ন কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের অফিসে যান। সেখানে ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন ও অন্যান্য আসামি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তারা কীভাবে আহত হন জানতে চান। তারা আহত হওয়ার ঘটনা বর্ণনা করেন। তাদের জানানো হয়, তাদের ছেলে সেখান থেকে এক লাখ টাকার চেক নিয়ে গেছে। বুলবুল জুলাই যোদ্ধা গেজেট নম্বর এবং মেডিকেল কেস আইডি দেখালে ইফতেখার তখন ফাউন্ডেশনের দুই কর্মকর্তা সাগর ও মেহেদীকে ডেকে আনে।
ওই সময়কার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এজাহারে অভিযোগ করা হয়, তারা সাবিনা ইয়াসমিনকে বসিয়ে রেখে বুলবুলকে একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রাখে। কয়েক ঘণ্টা পার হয়ে গেলে স্বামীকে না পেয়ে ফোন দেন সাবিনা। সাগর কল ধরে বলেন, ‘ভুয়া যোদ্ধাকে জামাই আদর চলতেছে’। সাগর সাবিনাকেও ভেতরে যেতে বলেন। তারা তাকেও মারধর করে।
সাবিনার অভিযোগ, আসামিরা তাদের ‘ভুয়া জুলাই যোদ্ধা’ বলে হুমকি দেন, জোরপূর্বক মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করেন এবং তার ব্যাগ ও মোবাইল ছিনিয়ে নেন। নির্যাতনের ফলে তার স্বামী মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকেন।
মামলার আবেদনে তিনি বলেন, পরে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাদী আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।