ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরতে ব্যস্ত চাঁদপুর ও শরিয়তপুর জেলার অনেক জেলে। স্বল্প সংখ্যক জেলে জালসহ নৌকা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ধরা পড়লেও সিংহভাগ আইন অমান্যকারী জেলেই রয়ে যাচ্ছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এমন অভিযোগ মেঘনা-পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকার পর্যবেক্ষক মহলের।
নির্দেশনা মানছে না চাঁদপুর ও শরিয়তপুর জেলার অনেক জেলে
চাঁদপুর শহর এলাকার আশপাশে মা ইলিশ নিধন এবং বিক্রি করার অভিযোগ করছেন অনেক প্রত্যক্ষদর্শী। মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫ এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার, (১৪ অক্টোবর ২০২৫) চাঁদপুর ও শরিয়তপুর জেলার মেঘনা ও পদ্মা নদীতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে টাস্কফোর্স। এ সময় ৪৫ জেলেকে বিপুল পরিমাণ কারেন্ট জালসহ আটক, ১৫টি নৌকা এবং ১০০ কেজি মাছ জব্দ করা হয়েছে।
নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে তাতে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার, ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ এর অংশ হিসেবে চাঁদপুর সদর উপজেলা এবং শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ, নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলাধীন মেঘনা ও পদ্মা নদীতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন নৌ-পুলিশ, চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান। অভিযানে আরও অংশ নেন- চাঁদপুর সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, নরসিংহপুর, সুরেশ্বর ও মাঝিরঘাট নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জরা এবং শরীয়তপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তার প্রতিনিধি।
অভিযান চলাকালে মোট ৪৫ জন জেলেকে আটক করা হয়, যার মধ্যে ৯ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। এ সময় ১৫টি নৌকা ও ১ কোটি ৫০ লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। আটককৃত মাছের পরিমাণ প্রায় ১০০ কেজি, যা পরবর্তীতে স্থানীয় দুস্থ মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। আটককৃত জেলেদের বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা রুজু করার প্রক্রিয়া চলছে।
অভিযান শেষে চাঁদপুর অঞ্চলের নৌ-পুলিশ সুপার বলেন, ‘সরকার ঘোষিত মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফলভাবে বাস্তবায়নে নৌ-পুলিশ সর্বদা তৎপর রয়েছে। নিষিদ্ধ সময়ে যারা ইলিশ আহরণে লিপ্ত হবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য- ইলিশ রক্ষা করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই ইলিশ সম্পদ নিশ্চিত করা।’
চাঁদপুর জেলা প্রশাসন, নৌ-পুলিশ, মৎস্য অধিদপ্তর, কোস্টগার্ড ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম এবং অভিযান দু’টোই চলবে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরতে ব্যস্ত চাঁদপুর ও শরিয়তপুর জেলার অনেক জেলে। স্বল্প সংখ্যক জেলে জালসহ নৌকা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ধরা পড়লেও সিংহভাগ আইন অমান্যকারী জেলেই রয়ে যাচ্ছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এমন অভিযোগ মেঘনা-পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকার পর্যবেক্ষক মহলের।
নির্দেশনা মানছে না চাঁদপুর ও শরিয়তপুর জেলার অনেক জেলে
চাঁদপুর শহর এলাকার আশপাশে মা ইলিশ নিধন এবং বিক্রি করার অভিযোগ করছেন অনেক প্রত্যক্ষদর্শী। মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫ এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার, (১৪ অক্টোবর ২০২৫) চাঁদপুর ও শরিয়তপুর জেলার মেঘনা ও পদ্মা নদীতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে টাস্কফোর্স। এ সময় ৪৫ জেলেকে বিপুল পরিমাণ কারেন্ট জালসহ আটক, ১৫টি নৌকা এবং ১০০ কেজি মাছ জব্দ করা হয়েছে।
নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে তাতে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার, ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ এর অংশ হিসেবে চাঁদপুর সদর উপজেলা এবং শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ, নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলাধীন মেঘনা ও পদ্মা নদীতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন নৌ-পুলিশ, চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান। অভিযানে আরও অংশ নেন- চাঁদপুর সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, নরসিংহপুর, সুরেশ্বর ও মাঝিরঘাট নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জরা এবং শরীয়তপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তার প্রতিনিধি।
অভিযান চলাকালে মোট ৪৫ জন জেলেকে আটক করা হয়, যার মধ্যে ৯ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। এ সময় ১৫টি নৌকা ও ১ কোটি ৫০ লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। আটককৃত মাছের পরিমাণ প্রায় ১০০ কেজি, যা পরবর্তীতে স্থানীয় দুস্থ মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। আটককৃত জেলেদের বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা রুজু করার প্রক্রিয়া চলছে।
অভিযান শেষে চাঁদপুর অঞ্চলের নৌ-পুলিশ সুপার বলেন, ‘সরকার ঘোষিত মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফলভাবে বাস্তবায়নে নৌ-পুলিশ সর্বদা তৎপর রয়েছে। নিষিদ্ধ সময়ে যারা ইলিশ আহরণে লিপ্ত হবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য- ইলিশ রক্ষা করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই ইলিশ সম্পদ নিশ্চিত করা।’
চাঁদপুর জেলা প্রশাসন, নৌ-পুলিশ, মৎস্য অধিদপ্তর, কোস্টগার্ড ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম এবং অভিযান দু’টোই চলবে।