ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগে পাঁচ মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের গাফফার আলী আকাশের মরদেহ।
আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার,(০৬ নভেম্বর ২০২৫) দুপুরে সেনেরহুদা গ্রামের জান্নাতুল খাদরা কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল আজমের নেতৃত্বে একটি টিম। এ সময় পিবিআইয়ের ইন্সপেক্টর মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে।
জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মচারী গাফফার আলী ওরফে আকাশ (৩৫) গত ২১ মে বিকেলে অফিস শেষে চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন থেকে খুলনাগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠেছিলেন। দর্শনা হল্টে নামার কথা ছিল তার।
কিন্তু জয়রামপুর স্টেশনের অদূরে চলন্ত ট্রেন থেকে তাকে ফেলে দেয়া হয়। পরে স্থানীয়রা রেল লাইনের পাশে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেন।
ধারণা করা হয় দুর্ঘটনাবশত ট্রেন থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ না থাকায় সেদিন রাতেই মরদেহ হস্তান্তর করা হয় পরিবারকে এবং পরদিন জানাজা শেষে দাফন করা হয় সেনেরহুদা কবরস্থানে।
তবে পরবর্তীতে নতুন তথ্য আসতে শুরু করে। ট্রেনের কয়েকজন যাত্রী জানান, এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যা। এ তথ্য জানার পর নিহতের বাবা জিন্নাত আলী গত ২৬ মে দামুড়হুদা আমলী আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ট্রেনের জুনিয়র টিটিই লালন চক্রবর্তী, জিআরপির এসআই পারভেজ, কনস্টেবল কাদের, অ্যাটেনডেন্ট মিলন, সোহাগ মিয়াসহ আরও চার-পাঁচজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। অভিযোগে বলা হয়- ট্রেনে বিনা টিকেট যাত্রীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা তুলতে বাধা দেয়ায় তাদের সঙ্গে বাগ-বিতণ্ডা হয়, এরপরই আকাশকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে হত্যা করা হয়।
ঘটনার তদন্তে নতুন আলামত পাওয়ার পর আদালতের নির্দেশে তার মরদেহ উত্তোলন করা হলো।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগে পাঁচ মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের গাফফার আলী আকাশের মরদেহ।
আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার,(০৬ নভেম্বর ২০২৫) দুপুরে সেনেরহুদা গ্রামের জান্নাতুল খাদরা কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল আজমের নেতৃত্বে একটি টিম। এ সময় পিবিআইয়ের ইন্সপেক্টর মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে।
জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মচারী গাফফার আলী ওরফে আকাশ (৩৫) গত ২১ মে বিকেলে অফিস শেষে চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন থেকে খুলনাগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠেছিলেন। দর্শনা হল্টে নামার কথা ছিল তার।
কিন্তু জয়রামপুর স্টেশনের অদূরে চলন্ত ট্রেন থেকে তাকে ফেলে দেয়া হয়। পরে স্থানীয়রা রেল লাইনের পাশে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেন।
ধারণা করা হয় দুর্ঘটনাবশত ট্রেন থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ না থাকায় সেদিন রাতেই মরদেহ হস্তান্তর করা হয় পরিবারকে এবং পরদিন জানাজা শেষে দাফন করা হয় সেনেরহুদা কবরস্থানে।
তবে পরবর্তীতে নতুন তথ্য আসতে শুরু করে। ট্রেনের কয়েকজন যাত্রী জানান, এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যা। এ তথ্য জানার পর নিহতের বাবা জিন্নাত আলী গত ২৬ মে দামুড়হুদা আমলী আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ট্রেনের জুনিয়র টিটিই লালন চক্রবর্তী, জিআরপির এসআই পারভেজ, কনস্টেবল কাদের, অ্যাটেনডেন্ট মিলন, সোহাগ মিয়াসহ আরও চার-পাঁচজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। অভিযোগে বলা হয়- ট্রেনে বিনা টিকেট যাত্রীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা তুলতে বাধা দেয়ায় তাদের সঙ্গে বাগ-বিতণ্ডা হয়, এরপরই আকাশকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে হত্যা করা হয়।
ঘটনার তদন্তে নতুন আলামত পাওয়ার পর আদালতের নির্দেশে তার মরদেহ উত্তোলন করা হলো।