alt

বাণিজ্যের আড়ালে ৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার---------

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : রোববার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

রপ্তানি বাণিজ্যের আড়ালে প্রায় ৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলার তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের অনুমোদন পেয়েছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। রোববার, (০৯ নভেম্বর ২০২৫) বিকেলে সিআইডির মালিবাগস্থ প্রধান কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিআইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

# সালমান এফ রহমানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে ১৭টি মানিলন্ডারিং আইনের

মামলার অভিযোগপত্র দাখিলে সিআইডিপ্রধানের অনুমোদন

# জমি ও ফ্ল্যাটসহ ৭শ’ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক করা হয়েছে: সিআইডি

প্রেস ব্রিফিংয়ে সিআইডিপ্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ছিবগাত উল্লাাহ, সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের অতিরিক্ত ডিআইজি আলি আকবর খান, সংস্থাটির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি রায়হান উদ্দিন খান। তারা মামলার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। সিআইডির প্রধানের অনুমোদনের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে দুই-একদিনের মধ্যে আদালতে এসব অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান (মিডিয়া) জানান, মামলার প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এএসএফ রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান এবং অন্য সহযোগীরা মিলে একাধিক করর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে ২০২০-২০২৪ সালের মধ্যে বৈদেশিক বাণিজের আড়ালে এ অর্থ পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

এ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- অ্যাডভ্যানসার গার্মেন্টস, অ্যাপোলো অ্যাপেয়ার্স, অটোমান লোপ অ্যাপারেলস, বেক্সটেক্স গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন গার্মেন্টসসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।

তদন্তে আরও উঠে আসছে, তারা এ সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জনতা ব্যাংক পিএলসি. মতিঝিল শাখা ঢাকা থেকে এলসি বা বিক্রয় চুক্তির ব্যবস্থা করেছিল। তবে রপ্তানির বিপরীতে অর্জিত অর্থ দেশে ফেরত আনা হয়নি।

এভাবে রপ্তানির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দুবাইয়ে আর আর গ্লোবার ট্রেডিং এর মাধ্যমে চলে যেত সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইউকে, ইউএসএ, আইয়ারল্যান্ড ও পৃথিবীর অন্যান্য দেশে।

আর আর গ্লোবার ট্রেডিংয়ের মালিকানা সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান এবং এএসএফ রহমানের ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের নামে নিবন্ধিত। এই প্রক্রিয়ায় ২০২০-২০২৪ সালের মধ্যে মোট ৯৬ লাখ ৯৬ হাজার ৬৮০ মার্কিন ডলার (যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২শ’ কোটি টাকা) রপ্তানি দেখানো হয়েছে।

কিন্তু রপ্তানির বিপরীতে অর্জিত অর্থ দেশে ফেরত আনা হয়নি, অর্থাৎ রপ্তানিমূল্য প্রত্যাবসন না করে বিদেশে অর্থপাচার করা হয়েছে। এ অর্থ পাচারের ঘটনায় সিআইডি বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মতিঝিল থানায় পৃথক ১৭টি মানিলন্ডারিং আইনে মামলা দায়ের করেছে।

ইতোমধ্যে এসব মামলা সংক্রান্তে আদালতের আদেশে আসামিদের বিভিন্ন সম্পদ ক্রোক করেছে সিআইডি। এরমধ্যে রয়েছে- ঢাকা জেলার দোহার থানা এলাকায় ২ হাজার শতাংশ জমি ও তদস্থিত স্থাপনা সমূহ, রাজধানীর গুলশানে ‘দ্য এনভয়’ বিল্ডিংয়ের ৬,১৮৯ দশমিক ৫৪ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট এবং গুলশান আবাসিক এলাকায়র ৬৮/এ রাস্তায় ৩১ নম্বর প্লটে অবস্থিত ২,৭১৩ বর্গফুটের আরও একটি ট্রিপ্লেক্স ফ্ল্যাট।

এছাড়াও সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার পাশাপাশি তাদের বিদেশ গমনও রোধ করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ক্রোককৃত সম্পত্তির বর্তমান আনুমানিক মূল্য ৬শ’-৭শ’ কোটি টাকা।

উল্লেখিত ১৭টি মামলায় বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এএসএফ রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান ও আহমেদ শাহরিয়ার রহমানসহ মোট ২৮ জন ব্যক্তি ও জড়িত মোট ১৯টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগের তদন্ত শেষে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের জন্য সিআইডির প্রধান কর্তৃক অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

উক্ত আসামিদের মধ্যে জেল হাজতে থাকা সালমান এফ রহমানকে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পাশাপাশি বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও শেয়ার হোল্ডার ওয়াসিউর রহমানকে গত জুলাই মাসে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।

ট্রেড বেইজড মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে প্রায় ৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিভিন্ন দেশে পাচারের ঘটনা উদ্ঘাটনসহ তদন্তসংক্রান্ত অন্যান্য যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ পূর্বক দ্রুততম সময়ে তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে দায়েরকৃত ১৭টি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের কার্যক্রম শেষে করেছে সিআইডি ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

মানিলন্ডারিংয়ের মতো জটিল ও সময় সাপেক্ষে ১৭টি মামলার তদন্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট তার দায়িত্ব শেষ করেছে বলে সিআইডি জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রের অর্থপাচারে জড়িত বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীদের আইনের আওতায় আনা এবং আর্থিক স্বার্থ সংরক্ষণে সিআইডির এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

ছবি

১০ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা ‘আত্মসাৎ’: এস আলমসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

‘প্লট দুর্নীতি’: হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপের মামলায় আরও ২২ জনের সাক্ষ্য

ছবি

কাজী নাবিলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, ৩২ কোটি টাকার সম্পদ জব্দের আদেশ

ছবি

চেতনানাশক খাইয়ে সিএনজি ছিনতাই, চক্রের ৯ সদস্য গ্রেপ্তার

ছবি

জিমেইল হ্যাক করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৭ লাখ টাকা উধাও

ছবি

বিনিয়োগের ফাঁদে ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ২

ছবি

ট্রেন থেকে ফেলে হত্যা, ৫ মাস পর আকাশের মরদেহ উত্তোলন

ছবি

দুর্নীতির মামলায় এস কে সুরের বিচার শুরু

২৪৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ডিসি অফিসের কর্মচারীর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা

আসামিপক্ষের আইনজীবীর প্রশ্ন ‘মানহানিকর’, ট্রাইব্যুনালের ‘সতর্কতা’

ছবি

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৬

ছবি

আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক এমডিকে ৫ কোটি টাকা জরিমানা

ছবি

দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডসের দুই সাবেক কর্মকর্তা কারাগারে

জকিগঞ্জ সীমান্তে অনুপ্রবেশ: পতাকা বৈঠকে বিএসএফ’র দুঃখ প্রকাশ

ছবি

সিলেটে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

ছবি

সিলেটে আ.লীগ নেতা হত্যা মামলায় ছেলে আসাদ ৩ দিনের রিমান্ডে

ছবি

দেওয়ানগঞ্জ বালু মহলে অভিযান, একজনকে জরিমানা

ছবি

শাহজালালে পেটে ইয়াবা পাচার: গ্রেপ্তার পান্নু দুইদিনের রিমান্ডে

ছবি

বিরুদ্ধে ৪২ মামলা, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসায়’ অভিযোগ তার

ছবি

নরসিংদীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

মোহাম্মদপুরে বাসে তরুণীকে হেনস্তার ভিডিও ভাইরাল, হেনস্তাকারী গ্রেপ্তার

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পিয়ন জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১শ’ কোটি টাকা পাচারের মামলা

ছবি

পার্বতীপুরে ভবানীপুর-মধ্যপাড়া রেলপথের ফিসপ্লেটসহ ৬ হাজার নাটবল্টু চুরি

সঞ্চয়পত্রের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার ৪০ জন: অধিকারের প্রতিবেদন

ছবি

‘অর্থ পাচার’: রন ও রিকের বিরুদ্ধে দুই অভিযোগপত্র দুদকের

ছবি

এস আলমের আরও ৪৬৯ একর জমি জব্দের আদেশ

ছবি

খুলনায় জোড়া খুন: ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

সোনারগাঁয়ে ডাকাতির মালামাল ভাগ নিয়ে দুই ডাকাত গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৩

ছবি

অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার

ছবি

পার্বতীপুরে লগি-বৈঠার নির্মম গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

ছবি

সিরাজদিখানে র‌্যাব পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় আমামি গ্রেপ্তার

ছবি

বাঘায় চর দখলের সংঘর্ষে গুলিতে ২ জন নিহত

ছবি

সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে

ছবি

জেনেভা ক্যাম্পে বোমা বিস্ফোরণে যুবক নিহতের মামলায় ৪ জন রিমান্ডে

ছবি

মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি: ৮ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সিআইডির মানিলন্ডারিং আইনে মামলা

tab

বাণিজ্যের আড়ালে ৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার---------

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রোববার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

রপ্তানি বাণিজ্যের আড়ালে প্রায় ৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলার তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের অনুমোদন পেয়েছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। রোববার, (০৯ নভেম্বর ২০২৫) বিকেলে সিআইডির মালিবাগস্থ প্রধান কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিআইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

# সালমান এফ রহমানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে ১৭টি মানিলন্ডারিং আইনের

মামলার অভিযোগপত্র দাখিলে সিআইডিপ্রধানের অনুমোদন

# জমি ও ফ্ল্যাটসহ ৭শ’ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক করা হয়েছে: সিআইডি

প্রেস ব্রিফিংয়ে সিআইডিপ্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ছিবগাত উল্লাাহ, সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের অতিরিক্ত ডিআইজি আলি আকবর খান, সংস্থাটির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি রায়হান উদ্দিন খান। তারা মামলার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। সিআইডির প্রধানের অনুমোদনের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে দুই-একদিনের মধ্যে আদালতে এসব অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান (মিডিয়া) জানান, মামলার প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এএসএফ রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান এবং অন্য সহযোগীরা মিলে একাধিক করর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে ২০২০-২০২৪ সালের মধ্যে বৈদেশিক বাণিজের আড়ালে এ অর্থ পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

এ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- অ্যাডভ্যানসার গার্মেন্টস, অ্যাপোলো অ্যাপেয়ার্স, অটোমান লোপ অ্যাপারেলস, বেক্সটেক্স গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন গার্মেন্টসসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।

তদন্তে আরও উঠে আসছে, তারা এ সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জনতা ব্যাংক পিএলসি. মতিঝিল শাখা ঢাকা থেকে এলসি বা বিক্রয় চুক্তির ব্যবস্থা করেছিল। তবে রপ্তানির বিপরীতে অর্জিত অর্থ দেশে ফেরত আনা হয়নি।

এভাবে রপ্তানির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দুবাইয়ে আর আর গ্লোবার ট্রেডিং এর মাধ্যমে চলে যেত সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইউকে, ইউএসএ, আইয়ারল্যান্ড ও পৃথিবীর অন্যান্য দেশে।

আর আর গ্লোবার ট্রেডিংয়ের মালিকানা সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান এবং এএসএফ রহমানের ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের নামে নিবন্ধিত। এই প্রক্রিয়ায় ২০২০-২০২৪ সালের মধ্যে মোট ৯৬ লাখ ৯৬ হাজার ৬৮০ মার্কিন ডলার (যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২শ’ কোটি টাকা) রপ্তানি দেখানো হয়েছে।

কিন্তু রপ্তানির বিপরীতে অর্জিত অর্থ দেশে ফেরত আনা হয়নি, অর্থাৎ রপ্তানিমূল্য প্রত্যাবসন না করে বিদেশে অর্থপাচার করা হয়েছে। এ অর্থ পাচারের ঘটনায় সিআইডি বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মতিঝিল থানায় পৃথক ১৭টি মানিলন্ডারিং আইনে মামলা দায়ের করেছে।

ইতোমধ্যে এসব মামলা সংক্রান্তে আদালতের আদেশে আসামিদের বিভিন্ন সম্পদ ক্রোক করেছে সিআইডি। এরমধ্যে রয়েছে- ঢাকা জেলার দোহার থানা এলাকায় ২ হাজার শতাংশ জমি ও তদস্থিত স্থাপনা সমূহ, রাজধানীর গুলশানে ‘দ্য এনভয়’ বিল্ডিংয়ের ৬,১৮৯ দশমিক ৫৪ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট এবং গুলশান আবাসিক এলাকায়র ৬৮/এ রাস্তায় ৩১ নম্বর প্লটে অবস্থিত ২,৭১৩ বর্গফুটের আরও একটি ট্রিপ্লেক্স ফ্ল্যাট।

এছাড়াও সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার পাশাপাশি তাদের বিদেশ গমনও রোধ করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ক্রোককৃত সম্পত্তির বর্তমান আনুমানিক মূল্য ৬শ’-৭শ’ কোটি টাকা।

উল্লেখিত ১৭টি মামলায় বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এএসএফ রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান ও আহমেদ শাহরিয়ার রহমানসহ মোট ২৮ জন ব্যক্তি ও জড়িত মোট ১৯টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগের তদন্ত শেষে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের জন্য সিআইডির প্রধান কর্তৃক অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

উক্ত আসামিদের মধ্যে জেল হাজতে থাকা সালমান এফ রহমানকে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পাশাপাশি বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও শেয়ার হোল্ডার ওয়াসিউর রহমানকে গত জুলাই মাসে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।

ট্রেড বেইজড মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে প্রায় ৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিভিন্ন দেশে পাচারের ঘটনা উদ্ঘাটনসহ তদন্তসংক্রান্ত অন্যান্য যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ পূর্বক দ্রুততম সময়ে তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে দায়েরকৃত ১৭টি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের কার্যক্রম শেষে করেছে সিআইডি ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

মানিলন্ডারিংয়ের মতো জটিল ও সময় সাপেক্ষে ১৭টি মামলার তদন্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট তার দায়িত্ব শেষ করেছে বলে সিআইডি জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রের অর্থপাচারে জড়িত বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীদের আইনের আওতায় আনা এবং আর্থিক স্বার্থ সংরক্ষণে সিআইডির এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

back to top